সরদার আনিছ
ঈদের আগে রাজধানীর বাজারে ব্রয়লার মুরগি কেজিপ্রতি বিক্রি হয়েছিল ২১০ থেকে ২৩০ টাকায়। বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ থেকে ১৮০ টাকায়। সেই হিসাবে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ৫০ থেকে ৬০ টাকার মতো কমেছে। গতকাল শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের আগে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় মুরগির দাম বেড়েছিল, এখন চাহিদা কম, তাই দামও কমে গেছে। তবে পোল্ট্রি খামারিদের দাবি, করপোরেট কোম্পানি পুরো পোল্ট্রি শিল্প দখলের ষড়যন্ত্রে নেমেছে। তাই সিন্ডিকেট করে মুরগি ও ডিমের দাম কমিয়ে ব্যাপক লোকসানের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।
বাজারে দেশি ও সোনালি মুরগির দামও কমেছে। গত মাসের শেষদিকে দেশি মুরগির দাম সর্বোচ্চ কেজিপ্রতি ৭০০ টাকায় বিক্রি হয়। কিন্তু বর্তমানে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কমে ৬২০ থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর সোনালি মুরগি ঈদের আগ মুহূর্তে কেজিপ্রতি সর্বোচ্চ ৩৩০ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে ২৪০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লেয়ার (লাল) মুরগি আগের দামেই ২৯০ থেকে ৩০০ টাকা এবং লেয়ার (সাদা) মুরগি ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কারওয়ানবাজারের মাসাফিয়া ব্রয়লার হাউসের ব্যবসায়ী ইসমাইল বলেন, ঈদের আগে ব্রয়লার মুরগি সর্বোচ্চ ২৫০ টাকা ও সোনালি মুরগি ৩৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল কিন্তু ঈদের পর তা কমে গেছে। ব্রয়লার মুরগি ১৬৫ টাকা থেকে ১৮০ টাকা এবং সোনালি (কক) ২৩০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বিএম ব্রয়লার হাউসের মুন্না বলেন, লেয়ার মুরগির দাম তেমন উঠানামা করেনি। তবে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কেজিতে অন্তত ৪০ থেকে ৫০ টাকা কমেছে। চাহিদা কমে যাওয়ায় দাম কমে গেছে।
মুরগির ডিমের দাম ঈদের আগের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। ঈদের আগে ফার্মের মুরগির ডিম (সাদা) এক ডজন ১০৫ টাকায় বিক্রি হতো, গতকাল শনিবার তা বিক্রি হয়েছে ১১০ টাকায়। আর ফার্মের মুরগির ডিম (লাল) এক ডজন ১১৫ টাকায় বিক্রি হতো, গতকাল তা ১২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে রাজধানীর বিভিন্ন মহল্লার দোকানগুলোতে ১৩০ টাকা ডজন বিক্রি হতে দেখা গেছে।
হাঁসের দামও কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কমে বর্তমানে ৬৫০ থেকে ৬৬০ টাকায় কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে। হাঁস ও মুরগির দাম কমলেও গরু ও ছাগলের মাংসের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। বর্তমানে গরুর মাংস ৭৪০ থেকে ৭৫০ টাকা, ছাগলের মাংস ১ হাজার ১০০ এবং খাসির মাংস ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, গরু ও ছাগলের মাংসের দাম কমার সম্ভাবনা নেই।
তেজতুরি বাজারের বাসিন্দা আছিয়া নামের এক নারী নিয়মিত বাজার করেন কারওয়ানবাজার থেকে। তিনি বলেন, ঈদের আগের তুলনায় ব্রয়লার মুরগি কিনেছি অনেক কম দামে। দুই কেজি কিনেছি ৩৪০ টাকায়। এমনটিই সব সময় থাকা দরকার।
এদিকে মুরগির দাম হঠাৎ অস্বাভাবিক কমে যাওয়ায় ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়েছেন খামারিরা। প্রান্তিক খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ) অব্যাহত লোকসানের মুখে পড়ে ১ মে থেকে দেশেজুড়ে ডিম ও মুরগি উৎপাদনকারী সব খামার বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে।
সংগঠনটির সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, দেশজুড়ে প্রান্তিক ডিম ও মুরগি খামারিদের মধ্যে হাহাকার দেখা দিয়েছে। গত দুই মাসে তারা ১ হাজার ২৬০ কোটি টাকা লোকসানের মুখে পড়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে পোল্ট্রি খাত ধ্বংসের মুখে পড়লেও সরকার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর নীরবতায় কিছু করপোরেট কোম্পানি পুরো পোল্ট্রি শিল্প দখলের ষড়যন্ত্রে নেমেছে। তারা শুধু ফিড, বাচ্চা ও ওষুধ নয়— ডিম ও মুরগির বাজারও নিয়ন্ত্রণ করছে। কৃত্রিম সংকট তৈরি করে প্রান্তিক খামারিদের ঠেলে দিচ্ছে ‘কন্ট্রাক্ট ফার্মিং’-এর দাসত্বে।
ঈদের আগে রাজধানীর বাজারে ব্রয়লার মুরগি কেজিপ্রতি বিক্রি হয়েছিল ২১০ থেকে ২৩০ টাকায়। বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ থেকে ১৮০ টাকায়। সেই হিসাবে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ৫০ থেকে ৬০ টাকার মতো কমেছে। গতকাল শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের আগে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় মুরগির দাম বেড়েছিল, এখন চাহিদা কম, তাই দামও কমে গেছে। তবে পোল্ট্রি খামারিদের দাবি, করপোরেট কোম্পানি পুরো পোল্ট্রি শিল্প দখলের ষড়যন্ত্রে নেমেছে। তাই সিন্ডিকেট করে মুরগি ও ডিমের দাম কমিয়ে ব্যাপক লোকসানের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।
বাজারে দেশি ও সোনালি মুরগির দামও কমেছে। গত মাসের শেষদিকে দেশি মুরগির দাম সর্বোচ্চ কেজিপ্রতি ৭০০ টাকায় বিক্রি হয়। কিন্তু বর্তমানে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কমে ৬২০ থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর সোনালি মুরগি ঈদের আগ মুহূর্তে কেজিপ্রতি সর্বোচ্চ ৩৩০ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে ২৪০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লেয়ার (লাল) মুরগি আগের দামেই ২৯০ থেকে ৩০০ টাকা এবং লেয়ার (সাদা) মুরগি ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কারওয়ানবাজারের মাসাফিয়া ব্রয়লার হাউসের ব্যবসায়ী ইসমাইল বলেন, ঈদের আগে ব্রয়লার মুরগি সর্বোচ্চ ২৫০ টাকা ও সোনালি মুরগি ৩৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল কিন্তু ঈদের পর তা কমে গেছে। ব্রয়লার মুরগি ১৬৫ টাকা থেকে ১৮০ টাকা এবং সোনালি (কক) ২৩০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বিএম ব্রয়লার হাউসের মুন্না বলেন, লেয়ার মুরগির দাম তেমন উঠানামা করেনি। তবে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কেজিতে অন্তত ৪০ থেকে ৫০ টাকা কমেছে। চাহিদা কমে যাওয়ায় দাম কমে গেছে।
মুরগির ডিমের দাম ঈদের আগের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। ঈদের আগে ফার্মের মুরগির ডিম (সাদা) এক ডজন ১০৫ টাকায় বিক্রি হতো, গতকাল শনিবার তা বিক্রি হয়েছে ১১০ টাকায়। আর ফার্মের মুরগির ডিম (লাল) এক ডজন ১১৫ টাকায় বিক্রি হতো, গতকাল তা ১২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে রাজধানীর বিভিন্ন মহল্লার দোকানগুলোতে ১৩০ টাকা ডজন বিক্রি হতে দেখা গেছে।
হাঁসের দামও কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কমে বর্তমানে ৬৫০ থেকে ৬৬০ টাকায় কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে। হাঁস ও মুরগির দাম কমলেও গরু ও ছাগলের মাংসের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। বর্তমানে গরুর মাংস ৭৪০ থেকে ৭৫০ টাকা, ছাগলের মাংস ১ হাজার ১০০ এবং খাসির মাংস ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, গরু ও ছাগলের মাংসের দাম কমার সম্ভাবনা নেই।
তেজতুরি বাজারের বাসিন্দা আছিয়া নামের এক নারী নিয়মিত বাজার করেন কারওয়ানবাজার থেকে। তিনি বলেন, ঈদের আগের তুলনায় ব্রয়লার মুরগি কিনেছি অনেক কম দামে। দুই কেজি কিনেছি ৩৪০ টাকায়। এমনটিই সব সময় থাকা দরকার।
এদিকে মুরগির দাম হঠাৎ অস্বাভাবিক কমে যাওয়ায় ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়েছেন খামারিরা। প্রান্তিক খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ) অব্যাহত লোকসানের মুখে পড়ে ১ মে থেকে দেশেজুড়ে ডিম ও মুরগি উৎপাদনকারী সব খামার বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে।
সংগঠনটির সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, দেশজুড়ে প্রান্তিক ডিম ও মুরগি খামারিদের মধ্যে হাহাকার দেখা দিয়েছে। গত দুই মাসে তারা ১ হাজার ২৬০ কোটি টাকা লোকসানের মুখে পড়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে পোল্ট্রি খাত ধ্বংসের মুখে পড়লেও সরকার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর নীরবতায় কিছু করপোরেট কোম্পানি পুরো পোল্ট্রি শিল্প দখলের ষড়যন্ত্রে নেমেছে। তারা শুধু ফিড, বাচ্চা ও ওষুধ নয়— ডিম ও মুরগির বাজারও নিয়ন্ত্রণ করছে। কৃত্রিম সংকট তৈরি করে প্রান্তিক খামারিদের ঠেলে দিচ্ছে ‘কন্ট্রাক্ট ফার্মিং’-এর দাসত্বে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী বর্তমান রিজার্ভের পরিমাণ ২৭ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার।
৪ ঘণ্টা আগেফের বড় ধরনের তারল্য সংকটে পড়েছে দেশের শেয়ারবাজার। বুধবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হয়েছে মাত্র ৩৫৫ কোটি টাকা, যা গত চার মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে গত ২৩ জুন ডিএসইতে সর্বনিম্ন ২৭৬ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছিল।
৫ ঘণ্টা আগেদাবা বিশ্বকাপে বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিনিধিত্বকারী মনন রেজা নীড়ের বিশ্বজয়ের যাত্রার অংশীদার হতে পেরে গর্বিত বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ।
৬ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি ছয়টি ব্যাংক থেকে প্রতি ডলার ১২১ টাকা ৮০ পয়সা দরে ৩৮ মিলিয়ন ডলার কিনেছে। চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ব্যাংকগুলো থেকে মোট ২ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
৭ ঘণ্টা আগে