সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
রাজনৈতিক মানসিকতার গুণগত পরিবর্তন না হলে ব্যাংকিং খাতের কোনো সংস্কারই কাজে আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, আমরা অনেক উদ্যোগ হাতে নিয়েছি। এসব বাস্তবায়ন নির্ভর করবে পরবর্তী রাজনৈতিক মতাদর্শ বা সরকারের ইচ্ছার ওপর। তারা সহযোগিতা না করলে রিস্ক বেইজড সুপারভিশন করেও অনিয়ম ঠেকানো সম্ভব হবে না।
আগামীতে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে যাতে নির্মোহভাবে কাজ করতে দেওয়া হয়, রাজনৈতিকভাবে প্রতিহত যাতে না করা হয় সেদিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে আহসান এইচ মনসুর বলেন, এজন্য আইনগতভাবে কিছু ব্যবস্থা এবং বিধিনিষেধ দৃষ্টান্ত হিসেবে স্থাপন করতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক আগেও সব তথ্য বের করেছে। কিন্তু রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের জন্য পদক্ষেপ নিতে পারেনি। এই পরিবর্তনটা রাজনীতিবিদদেরই করতে হবে।
সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ‘রিস্ক বেইজড সুপারভিশন’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর, নির্বাহী পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আহসান এইচ মনুসর বলেন, ২০২৬ সাল থেকে রিস্ক বেইজস সুপারভিশন শুরু হবে। ইতোমধ্যে ২০টি ব্যাংকের সঙ্গে পাইলটিং কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি ৪১টি ব্যাংককেও নিয়ে আসা হবে। ৬১টি ব্যাংককে ১২টি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। এই গ্রুপগুলো ভাগে ভাগে ব্যাংকগুলোর ওপর নজর রাখবে।
এই ব্যবস্থার মাধ্যমে রাজনৈতিক ঝুঁকি রোধ করা সম্ভব হবে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে গভর্নর বলেন, ব্যাংক খাতে রাজনৈতিক ঝুঁকি কমাতে হলে রাজনীতিকেই শুদ্ধ হতে হবে। রাজনীতিকে অশুদ্ধ রেখে পলিটিক্যাল রিস্ক কমানো যাবে না। এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। বাংলাদেশ ব্যাংককে কতটা স্বায়ত্তশাসন দেওয়া যায় সেটা নিয়েও চিন্তা করছি। এ ব্যাপারে আমরা সরকারের কাছে যাব আমাদের প্রতিবেদন নিয়ে। কারণ বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসন একটা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। স্বায়ত্তশাসনের ফলে ব্যাংক খাতের শৃঙ্খলা ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপমুক্ত রাখা যাবে।
ব্যাংকগুলোতে স্বতন্ত্র পরিচালক বাড়ানো সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে আহসান এইচ মনসুর বলেন, ব্যাংকগুলোতে স্বতন্ত্র পরিচালক ৫০ শতাংশ করার জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এসব পরিচালক একটা প্যানেল থেকে নিতে হবে। বিভিন্ন পেশাদার লোক নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক এই প্যানেলটি তৈরি করবে। ব্যাংকগুলো সেখান থেকে স্বতন্ত্র পরিচালক বাছাই করে নিবে। যদি ব্যাংক মনে করে কোনো বিশেষ ব্যক্তি প্যানেলে নেই সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করতে পারবে। তবে নিজেদের পরিচিত কাউকে বসিয়ে দেবে তা হবে না। যোগ্য লোককেই দিতে হবে।
মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে গভর্নর বলেন, মূল্যস্ফীতি ৭ থেকে ৮ শতাংশ নামানোর প্রত্যাশা । মূল্যস্ফীতি কমলে ভালো। এখনো বাজারে স্বস্তি আছে। চালের দাম কিছুটা বেড়েছে। এটা বাড়ছে কেন সেটা জানা নেই। রোজার ঈদের পর সামগ্রিক দাম বাড়েনি। কিছু ব্যাংক থেকে আমানতকারীরা টাকা পাচ্ছে না এ প্রসঙ্গে গভর্নর বলেন, টাকা ফেরত এক-দুইদিনে দেওয়া সম্ভব নয়। ক্ষুদ্র আমানতকারীদের টাকা ছাপিয়ে আমরা একটা সহায়তা দিয়েছি।
আমানতকারীদের ধৈর্য ধরতে হবে। তাদের আমানত ফেরত দেওয়ার জন্যই ব্যাংক কোম্পানি অ্যাক্ট করা হয়েছে, যাতে সংকটে থাকা ব্যাংকগুলোকে সরকারি মালিকানায় নিয়ে নেওয়া যায়। তবে আমরা কোনো ব্যাংককে জোর করে একীভূত করব না। কেউ যদি নিজের সক্ষমতা দিয়ে চলতে পারে তাহলে সে চলবে ।
রিজার্ভ ডলারে রাখা হবে কি না এমন প্রশ্নে আহসান এইচ মনসুর বলেন, আমাদের আমদানি-রপ্তানি সবকিছুই ডলারে হচ্ছে। তারপরও কেন তা ডলারে রাখব না। তবে আমরা রিজার্ভের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে পুনর্বিবেচনা করব। এখানে গুণগত কোনো পরিবর্তনের প্রয়োজন আছে কি না। এছাড়া আন্তর্জাতিক কিছু পারমর্শদাতা প্রতিষ্ঠানের কাছে যাব নতুন কিছু করতে পারি কি না। কারণ আশা করি রিজার্ভ ৩১ থেকে ৪০ বিলিয়ন ডলারে যাবে। তাই রিজার্ভটা ভালোভাবে বিনিয়োগ করতে হবে। অর্থের সদ্ব্যবহার করতে হবে। তবে পায়রা বন্দর প্রকল্পের মতো বিনিয়োগ করা যাবে না, যেখানে বিনিয়োগ করলে আসল টাকাটা হারিয়ে যাবে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দেশের ব্যাংক খাতের তদারকিতে সময়োপযোগী এবং মৌলিক পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। লক্ষ্য হচ্ছে, তদারকি ব্যবস্থা আরো দক্ষ, কার্যকর ও আধুনিক করে তোলা। এজন্য ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ঝুঁকিভিত্তিক তদারকি (রিস্ক বেইজড সুপারভিশন) ব্যবস্থা চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক একটি বিস্তৃত কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের সব তফসিলি ব্যাংকে পর্যায়ক্রমে এ নতুন কাঠামো বাস্তবায়ন করা হবে।
রাজনৈতিক মানসিকতার গুণগত পরিবর্তন না হলে ব্যাংকিং খাতের কোনো সংস্কারই কাজে আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, আমরা অনেক উদ্যোগ হাতে নিয়েছি। এসব বাস্তবায়ন নির্ভর করবে পরবর্তী রাজনৈতিক মতাদর্শ বা সরকারের ইচ্ছার ওপর। তারা সহযোগিতা না করলে রিস্ক বেইজড সুপারভিশন করেও অনিয়ম ঠেকানো সম্ভব হবে না।
আগামীতে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে যাতে নির্মোহভাবে কাজ করতে দেওয়া হয়, রাজনৈতিকভাবে প্রতিহত যাতে না করা হয় সেদিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে আহসান এইচ মনসুর বলেন, এজন্য আইনগতভাবে কিছু ব্যবস্থা এবং বিধিনিষেধ দৃষ্টান্ত হিসেবে স্থাপন করতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক আগেও সব তথ্য বের করেছে। কিন্তু রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের জন্য পদক্ষেপ নিতে পারেনি। এই পরিবর্তনটা রাজনীতিবিদদেরই করতে হবে।
সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ‘রিস্ক বেইজড সুপারভিশন’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর, নির্বাহী পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আহসান এইচ মনুসর বলেন, ২০২৬ সাল থেকে রিস্ক বেইজস সুপারভিশন শুরু হবে। ইতোমধ্যে ২০টি ব্যাংকের সঙ্গে পাইলটিং কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি ৪১টি ব্যাংককেও নিয়ে আসা হবে। ৬১টি ব্যাংককে ১২টি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। এই গ্রুপগুলো ভাগে ভাগে ব্যাংকগুলোর ওপর নজর রাখবে।
এই ব্যবস্থার মাধ্যমে রাজনৈতিক ঝুঁকি রোধ করা সম্ভব হবে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে গভর্নর বলেন, ব্যাংক খাতে রাজনৈতিক ঝুঁকি কমাতে হলে রাজনীতিকেই শুদ্ধ হতে হবে। রাজনীতিকে অশুদ্ধ রেখে পলিটিক্যাল রিস্ক কমানো যাবে না। এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। বাংলাদেশ ব্যাংককে কতটা স্বায়ত্তশাসন দেওয়া যায় সেটা নিয়েও চিন্তা করছি। এ ব্যাপারে আমরা সরকারের কাছে যাব আমাদের প্রতিবেদন নিয়ে। কারণ বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসন একটা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। স্বায়ত্তশাসনের ফলে ব্যাংক খাতের শৃঙ্খলা ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপমুক্ত রাখা যাবে।
ব্যাংকগুলোতে স্বতন্ত্র পরিচালক বাড়ানো সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে আহসান এইচ মনসুর বলেন, ব্যাংকগুলোতে স্বতন্ত্র পরিচালক ৫০ শতাংশ করার জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এসব পরিচালক একটা প্যানেল থেকে নিতে হবে। বিভিন্ন পেশাদার লোক নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক এই প্যানেলটি তৈরি করবে। ব্যাংকগুলো সেখান থেকে স্বতন্ত্র পরিচালক বাছাই করে নিবে। যদি ব্যাংক মনে করে কোনো বিশেষ ব্যক্তি প্যানেলে নেই সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করতে পারবে। তবে নিজেদের পরিচিত কাউকে বসিয়ে দেবে তা হবে না। যোগ্য লোককেই দিতে হবে।
মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে গভর্নর বলেন, মূল্যস্ফীতি ৭ থেকে ৮ শতাংশ নামানোর প্রত্যাশা । মূল্যস্ফীতি কমলে ভালো। এখনো বাজারে স্বস্তি আছে। চালের দাম কিছুটা বেড়েছে। এটা বাড়ছে কেন সেটা জানা নেই। রোজার ঈদের পর সামগ্রিক দাম বাড়েনি। কিছু ব্যাংক থেকে আমানতকারীরা টাকা পাচ্ছে না এ প্রসঙ্গে গভর্নর বলেন, টাকা ফেরত এক-দুইদিনে দেওয়া সম্ভব নয়। ক্ষুদ্র আমানতকারীদের টাকা ছাপিয়ে আমরা একটা সহায়তা দিয়েছি।
আমানতকারীদের ধৈর্য ধরতে হবে। তাদের আমানত ফেরত দেওয়ার জন্যই ব্যাংক কোম্পানি অ্যাক্ট করা হয়েছে, যাতে সংকটে থাকা ব্যাংকগুলোকে সরকারি মালিকানায় নিয়ে নেওয়া যায়। তবে আমরা কোনো ব্যাংককে জোর করে একীভূত করব না। কেউ যদি নিজের সক্ষমতা দিয়ে চলতে পারে তাহলে সে চলবে ।
রিজার্ভ ডলারে রাখা হবে কি না এমন প্রশ্নে আহসান এইচ মনসুর বলেন, আমাদের আমদানি-রপ্তানি সবকিছুই ডলারে হচ্ছে। তারপরও কেন তা ডলারে রাখব না। তবে আমরা রিজার্ভের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে পুনর্বিবেচনা করব। এখানে গুণগত কোনো পরিবর্তনের প্রয়োজন আছে কি না। এছাড়া আন্তর্জাতিক কিছু পারমর্শদাতা প্রতিষ্ঠানের কাছে যাব নতুন কিছু করতে পারি কি না। কারণ আশা করি রিজার্ভ ৩১ থেকে ৪০ বিলিয়ন ডলারে যাবে। তাই রিজার্ভটা ভালোভাবে বিনিয়োগ করতে হবে। অর্থের সদ্ব্যবহার করতে হবে। তবে পায়রা বন্দর প্রকল্পের মতো বিনিয়োগ করা যাবে না, যেখানে বিনিয়োগ করলে আসল টাকাটা হারিয়ে যাবে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দেশের ব্যাংক খাতের তদারকিতে সময়োপযোগী এবং মৌলিক পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। লক্ষ্য হচ্ছে, তদারকি ব্যবস্থা আরো দক্ষ, কার্যকর ও আধুনিক করে তোলা। এজন্য ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ঝুঁকিভিত্তিক তদারকি (রিস্ক বেইজড সুপারভিশন) ব্যবস্থা চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক একটি বিস্তৃত কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের সব তফসিলি ব্যাংকে পর্যায়ক্রমে এ নতুন কাঠামো বাস্তবায়ন করা হবে।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামকে আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে বহুল আলোচিত সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান এলআর গ্লোবালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রিয়াজ ইসলামকেও অনুরূপ শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে বিনিয়োগের সুবর্ণ সুযোগ কাজে লাগাতে দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীদের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)।
২১ ঘণ্টা আগেব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, অডিট টিমের তদন্ত শেষে অনিয়মের পূর্ণাঙ্গ চিত্র ও দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একইসঙ্গে ব্যাংকের পক্ষ থেকে দুর্নীতি দমন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে যাতে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের দ্রুত আইনী শাস্তিমুলক ব্যবস্হার মুখোমুখি করা যায়।
১ দিন আগেবাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি (বিপিপিএ) সরকারি ক্রয় বিষয়ে মন্ত্রণালয় পর্যায়ে সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং উচ্চ-পদস্থ নীতি নির্ধারণী কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছে।
২ দিন আগে