পাঁচ ব্যাংকের বিনিয়োগকারীদের সরকার চাইলে ক্ষতিপূরণ দিতে পারে: বাংলাদেশ ব্যাংক

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
প্রকাশ : ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২১: ২৯
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২১: ৩৮

পাঁচ ব্যাংক একীভূতকরণের প্রক্রিয়ায় সাধারণ বিনিয়োগকারী বা শেয়ারধারীদের স্বার্থ সংরক্ষণের আপাতত কোনো সুযোগ নেই বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার্থে সরকার প্রয়োজনে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে।

বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

বিজ্ঞাপন

আলোচ্য পাঁচ ব্যাংক হলো, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী, ইউনিয়ন, এক্সিম ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক সর্বোত্তম চর্চার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিসের (এফসিডিও) কারিগরি সহায়তা ও মতামতের আলোকে ‘ব্যাংক রেজল্যুশন অধ্যাদেশ, ২০২৫’ প্রণয়ন করেছে। এ অধ্যাদেশে রেজল্যুশনের আওতাধীন ব্যাংকগুলোর আমানতকারী, শেয়ারধারক ও অন্য পাওনাদারের অধিকারের বিষয়টি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

এতে আরো বলা হয়, অধ্যাদেশের ধারা ১৬(২)(ট), ২৮(৫), ৩৭(২)(গ) এবং ৩৮(২) অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনে রেজল্যুশন টুলস প্রয়োগের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের শেয়ারধারক, দায়ী ব্যক্তি, অতিরিক্ত টিয়ার-১ মূলধন ধারক, টিয়ার-২ মূলধন ধারক ব্যতীত সাবঅর্ডিনেটেড ডেট হোল্ডারদের ওপর লোকসান আরোপ করতে পারবে। এছাড়া ধারা ৪০ অনুযায়ী যদি কোনো তফসিলি ব্যাংক অবসায়ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিলুপ্ত করা হয় এবং সে প্রক্রিয়ায় শেয়ারধারকরা স্বাভাবিক অবস্থার তুলনায় বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হন, তাহলে ওই অতিরিক্ত ক্ষতির পার্থক্যের জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নিযুক্ত স্বতন্ত্র পেশাদার মূল্যায়নকারী ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করবেন এবং প্রাপ্য হলে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা যাবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, আন্তর্জাতিক কনসালটিং ফার্ম দ্বারা পরিচালিত অ্যাসেট কোয়ালিটি রিভিউ (একিউআর) এবং বিশেষ পরিদর্শনে দেখা গেছে, পাঁচটি ব্যাংক বর্তমানে বড় ধরনের লোকসানে রয়েছে এবং তাদের নিট অ্যাসেট ভ্যালু ঋণাত্মক। এ পরিস্থিতিতে গত ২৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুষ্ঠিত ব্যাংকিং সেক্টর ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভায় (অধ্যাদেশের ধারা ৪২ অনুযায়ী গঠিত) সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, পাঁচটি সংকটাপন্ন ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের রেজল্যুশন প্রক্রিয়ায় ব্যাংকের লোকসানের দায়ভার বহন করতে হবে।

সমস্যাগ্রস্ত এই পাঁচটি ব্যাংক একীভূত করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ লক্ষ্যে ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদ বিলুপ্ত করে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে। একীভূত উদ্যোগে আমানতকারীদের স্বার্থ দেখা হলেও বিনিয়োগকারীদের জন্য আর্থিক কোনো সুবিধা রাখা হয়নি। এ নিয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে বিষয়টি আরো স্পষ্ট করে বিজ্ঞপ্তি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত