অর্থনৈতিক রিপোর্টার
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীতে (এডিপি) সরকারের নেওয়া বরাদ্দের বিপরীতে প্রথম দুই মাসে স্থবিরতা থাকলেও তৃতীয় মাসে উন্নয়ন কার্যক্রমে গতি ফিরেছে। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে ৫ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ।
এটি গত অর্থবছেরের একই সময়ের চেয়ে বেশি। সরকারের নেওয়া নানা উদ্যোগের ফলে এডিপি বাস্তবায়নের অগ্রগতি বেড়েছে। রোববার বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ণ বিভাগের (আইএমইডি) প্রকাশিত মাসিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
চলতি অর্থবছর (২-২৫-২৬) সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে বরাদ্দ ২ লাখ ৩৮ হাজার কোটি টাকার বেশি। প্রথম তিন মাসে খরচ হয়েছে ১২ হাজার ১৫৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ বরাদ্দের তুলনায় ৫ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ খরচ করতে সক্ষম হয়েছে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো।
আইএমইডির তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, একক মাস হিসেবে সেপ্টেম্বরে খরচ হয়েছে ৬ হাজার ৪৪৩ কোটি টাকা। একক মাস হিসেবে খরচ হয়েছে ২ দশমিক ৭ শতাংশ, এটিও গত অর্থবছরের ২ দশমিক ১৮ শতাংশের তুলনায় বেশি।
এ অর্থবছরে ১ হাজার ১৯৮টি প্রকল্প চলমান রয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ১৫টি বিনিয়োগ প্রকল্প। এসব প্রকল্পের মধ্যে সরকারি অর্থায়ন থেকে গত তিন মাসে খরচ হয়েছে ৬ হাজার ৩০৭ কোটি টাকা, বিদেশি ঋণ থেকে খরচ হয়েছে ৫ হাজার ৭৪ কোটি টাকা, মন্ত্রণালয়গুলোর নিজস্ব অর্থায়ন হয়েছে ৭৭৭ কোটি টাকা।
গত অর্থবছরের শেষে এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছিল মাত্র ৬৮ শতাংশ। নতুন অর্থবছরের শুরুতেই আরও নীচে গিয়েছিল (২-৩ % মাত্র প্রথম দুই মাসে)। এটি নিয়ে সরকারের উদ্বেগও ছিল। পরিকল্পনামন্ত্রী ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ সম্প্রতি উদ্বেগ জানিয়ে বলেছিলেন, বেশ কিছু প্রকল্পের ঠিকাদাররা পালিয়ে যাওয়ায় এডিপি বাস্তবায়ন কম। তাছাড়া সরকারি কর্মকর্তারা কেউ নতুন করে প্রকল্প পরিচালকও হতে চান না বলে জানান তিনি।
প্রকল্প-ব্যবস্থাপনা ও ঠিকাদার নিয়োগ, পরিচালক বদল, রাজনৈতিক অস্থিরতা — এসব একসাথে মিলিয়ে “প্রকল্প ফ্লো” বন্ধ বা ধীর হয়েছে বলেও মত দেন তিনি। তাছাড়া সরকারি বাজেট ও এডিপির বরাদ্দে কঠোরতা বাড়ছে, ঋণ ও ঘাটতি কমানোর তাগিদ রয়েছে — ফলে বিনিয়োগ বা উন্নয়ন প্রকল্প একপ্রকার অপেক্ষামূলক অবস্থায় রয়েছে।
প্রথম তিন মাসের উন্নয়ন কার্যক্রমে ৫ শতাংশের বেশি খরচ হলেও সেটি স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় খুবই কম। বিশেষ কভিডের সময়ও অর্থাৎ ২০২১-২২ অর্থবছরেও একই সময়ে খরচ হয়েছিল বরাদ্দের ৮ শতাংশের বেশি।
সম্প্রতি আইএমইডির এক পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে, বিভিন্ন প্রকল্পের প্রায় দুই শতাধিক ঠিকাদার পালিয়ে গিয়েছেন।
সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এডিপির তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৫৭টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে ১০টি মন্ত্রণালয় এখনও ১ শতাংশও খরচ করতে পারেনি। এরমধ্যে বেশ কিছু মন্ত্রণালয় এক টাকাও খরচ করতে পারেনি।
তবে এ সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি খরচ করেছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। তিন মাসে এ সংস্থাটির খরচ হয়েছে বরাদ্দের ১৬ শতাংশের বেশি।
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীতে (এডিপি) সরকারের নেওয়া বরাদ্দের বিপরীতে প্রথম দুই মাসে স্থবিরতা থাকলেও তৃতীয় মাসে উন্নয়ন কার্যক্রমে গতি ফিরেছে। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে ৫ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ।
এটি গত অর্থবছেরের একই সময়ের চেয়ে বেশি। সরকারের নেওয়া নানা উদ্যোগের ফলে এডিপি বাস্তবায়নের অগ্রগতি বেড়েছে। রোববার বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ণ বিভাগের (আইএমইডি) প্রকাশিত মাসিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
চলতি অর্থবছর (২-২৫-২৬) সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে বরাদ্দ ২ লাখ ৩৮ হাজার কোটি টাকার বেশি। প্রথম তিন মাসে খরচ হয়েছে ১২ হাজার ১৫৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ বরাদ্দের তুলনায় ৫ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ খরচ করতে সক্ষম হয়েছে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো।
আইএমইডির তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, একক মাস হিসেবে সেপ্টেম্বরে খরচ হয়েছে ৬ হাজার ৪৪৩ কোটি টাকা। একক মাস হিসেবে খরচ হয়েছে ২ দশমিক ৭ শতাংশ, এটিও গত অর্থবছরের ২ দশমিক ১৮ শতাংশের তুলনায় বেশি।
এ অর্থবছরে ১ হাজার ১৯৮টি প্রকল্প চলমান রয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ১৫টি বিনিয়োগ প্রকল্প। এসব প্রকল্পের মধ্যে সরকারি অর্থায়ন থেকে গত তিন মাসে খরচ হয়েছে ৬ হাজার ৩০৭ কোটি টাকা, বিদেশি ঋণ থেকে খরচ হয়েছে ৫ হাজার ৭৪ কোটি টাকা, মন্ত্রণালয়গুলোর নিজস্ব অর্থায়ন হয়েছে ৭৭৭ কোটি টাকা।
গত অর্থবছরের শেষে এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছিল মাত্র ৬৮ শতাংশ। নতুন অর্থবছরের শুরুতেই আরও নীচে গিয়েছিল (২-৩ % মাত্র প্রথম দুই মাসে)। এটি নিয়ে সরকারের উদ্বেগও ছিল। পরিকল্পনামন্ত্রী ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ সম্প্রতি উদ্বেগ জানিয়ে বলেছিলেন, বেশ কিছু প্রকল্পের ঠিকাদাররা পালিয়ে যাওয়ায় এডিপি বাস্তবায়ন কম। তাছাড়া সরকারি কর্মকর্তারা কেউ নতুন করে প্রকল্প পরিচালকও হতে চান না বলে জানান তিনি।
প্রকল্প-ব্যবস্থাপনা ও ঠিকাদার নিয়োগ, পরিচালক বদল, রাজনৈতিক অস্থিরতা — এসব একসাথে মিলিয়ে “প্রকল্প ফ্লো” বন্ধ বা ধীর হয়েছে বলেও মত দেন তিনি। তাছাড়া সরকারি বাজেট ও এডিপির বরাদ্দে কঠোরতা বাড়ছে, ঋণ ও ঘাটতি কমানোর তাগিদ রয়েছে — ফলে বিনিয়োগ বা উন্নয়ন প্রকল্প একপ্রকার অপেক্ষামূলক অবস্থায় রয়েছে।
প্রথম তিন মাসের উন্নয়ন কার্যক্রমে ৫ শতাংশের বেশি খরচ হলেও সেটি স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় খুবই কম। বিশেষ কভিডের সময়ও অর্থাৎ ২০২১-২২ অর্থবছরেও একই সময়ে খরচ হয়েছিল বরাদ্দের ৮ শতাংশের বেশি।
সম্প্রতি আইএমইডির এক পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে, বিভিন্ন প্রকল্পের প্রায় দুই শতাধিক ঠিকাদার পালিয়ে গিয়েছেন।
সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এডিপির তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৫৭টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে ১০টি মন্ত্রণালয় এখনও ১ শতাংশও খরচ করতে পারেনি। এরমধ্যে বেশ কিছু মন্ত্রণালয় এক টাকাও খরচ করতে পারেনি।
তবে এ সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি খরচ করেছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। তিন মাসে এ সংস্থাটির খরচ হয়েছে বরাদ্দের ১৬ শতাংশের বেশি।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামকে আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে বহুল আলোচিত সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান এলআর গ্লোবালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রিয়াজ ইসলামকেও অনুরূপ শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে বিনিয়োগের সুবর্ণ সুযোগ কাজে লাগাতে দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীদের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)।
৯ ঘণ্টা আগেব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, অডিট টিমের তদন্ত শেষে অনিয়মের পূর্ণাঙ্গ চিত্র ও দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একইসঙ্গে ব্যাংকের পক্ষ থেকে দুর্নীতি দমন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে যাতে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের দ্রুত আইনী শাস্তিমুলক ব্যবস্হার মুখোমুখি করা যায়।
১ দিন আগেবাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি (বিপিপিএ) সরকারি ক্রয় বিষয়ে মন্ত্রণালয় পর্যায়ে সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং উচ্চ-পদস্থ নীতি নির্ধারণী কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছে।
১ দিন আগে