স্টাফ রিপোর্টার
একদিনের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের ঝাঁজ কমে অর্ধেকে নেমেছে। আগের দিন শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচা বাজারে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও রোববার বিক্রি হয়েছে ১৪০ থেকে ১৬০টাকা কেজি দরে।
রোববার বিকাল ৫টার দিকে কারওয়ানবাজারের মসজিদের পূর্বদিকের কাঁচা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, কাঁচা মরিচ ১৪০ থেকে ১৬০টাকা কেজি বলে দোকানিরা হাঁকাচ্ছেন। বেশ কয়েকটি দোকানে মরিচের পরিমাণও অনেক। তবে ক্রেতাদের ভিড় কম।
অথচ একদিন আগেও বাজারের এই চিত্র ছিল সম্পূর্ণ বিপরীত। শনিবার ৩২০ টাকা কেজি বলে দোকানিরা অন্যদিকে তাকিয়ে থাকতেন। ক্রেতারা দামাদামি করারও সুযোগ পাননি।
কারওয়ান বাজারের দোকানি রোমান মিয়া বলেন, গত বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ ৪৪০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে। এরপর শুক্র ও শনিবারও ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। রোববার সকাল থেকে কাঁচা মরিচের দাম অর্ধেকে নেমে গেছে। মরিচের পাশাপাশি সবজির দামও কেজিতে ১০ তেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। রোববার দাম কমে বেগুন ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজি বিক্রি হতে দেখা গেছে।
এই দোকানি বলেন, দুর্গাপূজার ছুটি শেষে দেশের বিভিন্ন বন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু হওয়ায় কাঁচা মরিচের দাম কমেছে। এই কয়দিন ভারত থেকে আমদানি বন্ধ থাকায় এবং টানা বৃষ্টির কারণে মরিচের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে গিয়েছিল।
এদিকে রোববার দুপুরে দিনাজপুর স্থলবন্দর আমদানি রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী বলেন, শনিবার সকাল থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় কাঁচা মরিচ বোঝাই ট্রাক আসতে শুরু করেছে। বন্দরে কাঁচা মরিচ আসায় রোববার সকাল থেকে কেজিতে ১০০ টাকা দাম কমেছে স্থানীয় বাজারে।
বন্দরের আমদানিকারক ব্যবসায়ীরা বলছেন, টানা ৮ দিন আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকায় কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে যায়। আমদানি বাড়লে দামেআরো কমে আসবে বলে জানান তারা।
হিলি স্থলবন্দর কাস্টম বিভাগের রাজস্ব কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন জানান, শনিবার বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ভারত থেকে ৪টি ট্রাকে প্রায় ৩০ টন কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে। রোববার দুপুর পর্যন্ত আরও ৪ টি ট্রাকে ৩০ টন কাঁচা মরিচ আমদানি করা হয়েছে। আমদানি করা কাঁচা মরিচের ট্রাক দ্রুত খালাসের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। খালাস করা কাঁচা মরিচ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাইকাররা ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে। ফলে কাঁচামরিচের দাম কমে আসবে।
আমদানিকারকেরা বলেন, ভারতে বৃষ্টির কারণে আমদানির গতি কিছুটা কম হচ্ছে। এর পরও আমদানির গতি বৃদ্ধি করতে ব্যবসায়ীরা ভারতের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন।
হিলি স্থলবন্দরের কাঁচা মরিচ ব্যবসায়ী নুজরুল ইসলাম বলেন, দুর্গাপূজায় বন্ধের কারণে কাঁচামরিচের বাজার ঊর্ধ্বমুখী ছিল। আমদানি শুরু হওয়ায় দাম এখন কমে আসবে। রোববার হিলি স্থলবন্দরে মানভেদে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে। যা গত সপ্তাহে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়।
বন্দরের কাঁচা মরিচ ব্যবসায়ী প্লাবন রায় বলেন, পূজার ছুটির পর শনিবার থেকে আমদানি শুরু হয়েছে। ভারতের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে এসব কাঁচা মরিচ আমদানি হচ্ছে। ভারতেও বৃষ্টি হচ্ছে, তাই পর্যাপ্ত কাঁচামরিচ আমদানি করতে পারছি না। বৃষ্টি কমলে আমদানি বাড়বে।
হিলি বাজারের কাঁচা মরিচ ব্যবসায়ী অনিল চন্দ্র বলেন, গত শুক্রবারও দেশি কাঁচা মরিচ ২৬০ টাকায় বিক্রি করেছি। শনিবার ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে। তাই আজ রোববার ১০০ টাকা কমে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। আজ ভারতীয় কাঁচা মরিচ বাজারে এলে দাম আরও কমে আসবে।
হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ বিভাগের কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বলেন, দুর্গাপূজার ছুটি শেষে শনিবার থেকে আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়েছে। যেহেতু কাঁচা মরিচ পচনশীল পণ্য, তাই দ্রুত ছাড় করণে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে আমদানিকারকদের। প্রতি টন কাঁচা মরিচ ৫০০ ডলারে শুল্কায়ন করা হচ্ছে। আর প্রতি কেজিতে শুল্ক দিতে হচ্ছে ৩৬ টাকা ৪০ পয়সা। আমদানি বাড়লে কাঁচা মরিচের দাম আরও কমবে।
এদিকে বেনাপোল আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি মহসিন মিলনও আমার দেশকে জানিয়েছেন, পূজার বন্দের পর ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি শুরু হওয়ায় স্থানীয় বাজারে দাম কমতে শুরু করেছে। ২/১ দিনের মধ্যে দাম আরো কমবে।
তিনি বলেন, প্রতি কেজি মরিচ আমদানির পর সব খরচ মিলিয়ে বেনাপোল বন্দরে দাম দাঁড়ায় সর্বোচ্চ ৮০ টাকার মতো। আমরা ২-১ টাকা লাভেই তা বিক্রি করছি। কিন্তু মধ্যসত্ত্বভোগীরা কারসাজি করে অতিরিক্ত মুনাফা লুটছে। তিনি বলেন, এ জন্য সরকারকে বাজারে মনিটরিং জোরদার করে কারসাজি বন্ধ করতে হবে।
একদিনের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের ঝাঁজ কমে অর্ধেকে নেমেছে। আগের দিন শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচা বাজারে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও রোববার বিক্রি হয়েছে ১৪০ থেকে ১৬০টাকা কেজি দরে।
রোববার বিকাল ৫টার দিকে কারওয়ানবাজারের মসজিদের পূর্বদিকের কাঁচা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, কাঁচা মরিচ ১৪০ থেকে ১৬০টাকা কেজি বলে দোকানিরা হাঁকাচ্ছেন। বেশ কয়েকটি দোকানে মরিচের পরিমাণও অনেক। তবে ক্রেতাদের ভিড় কম।
অথচ একদিন আগেও বাজারের এই চিত্র ছিল সম্পূর্ণ বিপরীত। শনিবার ৩২০ টাকা কেজি বলে দোকানিরা অন্যদিকে তাকিয়ে থাকতেন। ক্রেতারা দামাদামি করারও সুযোগ পাননি।
কারওয়ান বাজারের দোকানি রোমান মিয়া বলেন, গত বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ ৪৪০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে। এরপর শুক্র ও শনিবারও ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। রোববার সকাল থেকে কাঁচা মরিচের দাম অর্ধেকে নেমে গেছে। মরিচের পাশাপাশি সবজির দামও কেজিতে ১০ তেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। রোববার দাম কমে বেগুন ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজি বিক্রি হতে দেখা গেছে।
এই দোকানি বলেন, দুর্গাপূজার ছুটি শেষে দেশের বিভিন্ন বন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু হওয়ায় কাঁচা মরিচের দাম কমেছে। এই কয়দিন ভারত থেকে আমদানি বন্ধ থাকায় এবং টানা বৃষ্টির কারণে মরিচের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে গিয়েছিল।
এদিকে রোববার দুপুরে দিনাজপুর স্থলবন্দর আমদানি রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী বলেন, শনিবার সকাল থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় কাঁচা মরিচ বোঝাই ট্রাক আসতে শুরু করেছে। বন্দরে কাঁচা মরিচ আসায় রোববার সকাল থেকে কেজিতে ১০০ টাকা দাম কমেছে স্থানীয় বাজারে।
বন্দরের আমদানিকারক ব্যবসায়ীরা বলছেন, টানা ৮ দিন আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকায় কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে যায়। আমদানি বাড়লে দামেআরো কমে আসবে বলে জানান তারা।
হিলি স্থলবন্দর কাস্টম বিভাগের রাজস্ব কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন জানান, শনিবার বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ভারত থেকে ৪টি ট্রাকে প্রায় ৩০ টন কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে। রোববার দুপুর পর্যন্ত আরও ৪ টি ট্রাকে ৩০ টন কাঁচা মরিচ আমদানি করা হয়েছে। আমদানি করা কাঁচা মরিচের ট্রাক দ্রুত খালাসের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। খালাস করা কাঁচা মরিচ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাইকাররা ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে। ফলে কাঁচামরিচের দাম কমে আসবে।
আমদানিকারকেরা বলেন, ভারতে বৃষ্টির কারণে আমদানির গতি কিছুটা কম হচ্ছে। এর পরও আমদানির গতি বৃদ্ধি করতে ব্যবসায়ীরা ভারতের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন।
হিলি স্থলবন্দরের কাঁচা মরিচ ব্যবসায়ী নুজরুল ইসলাম বলেন, দুর্গাপূজায় বন্ধের কারণে কাঁচামরিচের বাজার ঊর্ধ্বমুখী ছিল। আমদানি শুরু হওয়ায় দাম এখন কমে আসবে। রোববার হিলি স্থলবন্দরে মানভেদে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে। যা গত সপ্তাহে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়।
বন্দরের কাঁচা মরিচ ব্যবসায়ী প্লাবন রায় বলেন, পূজার ছুটির পর শনিবার থেকে আমদানি শুরু হয়েছে। ভারতের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে এসব কাঁচা মরিচ আমদানি হচ্ছে। ভারতেও বৃষ্টি হচ্ছে, তাই পর্যাপ্ত কাঁচামরিচ আমদানি করতে পারছি না। বৃষ্টি কমলে আমদানি বাড়বে।
হিলি বাজারের কাঁচা মরিচ ব্যবসায়ী অনিল চন্দ্র বলেন, গত শুক্রবারও দেশি কাঁচা মরিচ ২৬০ টাকায় বিক্রি করেছি। শনিবার ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে। তাই আজ রোববার ১০০ টাকা কমে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। আজ ভারতীয় কাঁচা মরিচ বাজারে এলে দাম আরও কমে আসবে।
হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ বিভাগের কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বলেন, দুর্গাপূজার ছুটি শেষে শনিবার থেকে আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়েছে। যেহেতু কাঁচা মরিচ পচনশীল পণ্য, তাই দ্রুত ছাড় করণে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে আমদানিকারকদের। প্রতি টন কাঁচা মরিচ ৫০০ ডলারে শুল্কায়ন করা হচ্ছে। আর প্রতি কেজিতে শুল্ক দিতে হচ্ছে ৩৬ টাকা ৪০ পয়সা। আমদানি বাড়লে কাঁচা মরিচের দাম আরও কমবে।
এদিকে বেনাপোল আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি মহসিন মিলনও আমার দেশকে জানিয়েছেন, পূজার বন্দের পর ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি শুরু হওয়ায় স্থানীয় বাজারে দাম কমতে শুরু করেছে। ২/১ দিনের মধ্যে দাম আরো কমবে।
তিনি বলেন, প্রতি কেজি মরিচ আমদানির পর সব খরচ মিলিয়ে বেনাপোল বন্দরে দাম দাঁড়ায় সর্বোচ্চ ৮০ টাকার মতো। আমরা ২-১ টাকা লাভেই তা বিক্রি করছি। কিন্তু মধ্যসত্ত্বভোগীরা কারসাজি করে অতিরিক্ত মুনাফা লুটছে। তিনি বলেন, এ জন্য সরকারকে বাজারে মনিটরিং জোরদার করে কারসাজি বন্ধ করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী বর্তমান রিজার্ভের পরিমাণ ২৭ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার।
১ ঘণ্টা আগেফের বড় ধরনের তারল্য সংকটে পড়েছে দেশের শেয়ারবাজার। বুধবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হয়েছে মাত্র ৩৫৫ কোটি টাকা, যা গত চার মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে গত ২৩ জুন ডিএসইতে সর্বনিম্ন ২৭৬ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছিল।
১ ঘণ্টা আগেদাবা বিশ্বকাপে বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিনিধিত্বকারী মনন রেজা নীড়ের বিশ্বজয়ের যাত্রার অংশীদার হতে পেরে গর্বিত বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ।
৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি ছয়টি ব্যাংক থেকে প্রতি ডলার ১২১ টাকা ৮০ পয়সা দরে ৩৮ মিলিয়ন ডলার কিনেছে। চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ব্যাংকগুলো থেকে মোট ২ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
৩ ঘণ্টা আগে