ঈদ সামনে রেখে কেনাকাটা

মুরগি পেঁয়াজ আদার দাম বাড়লেও বেশিরভাগ পণ্যের দাম নিম্নমুখী

সরদার আনিছ
প্রকাশ : ২৬ মার্চ ২০২৫, ১১: ৩৯

পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে মুরগি ও আদা-পেঁয়াজের দাম কিছুটা বাড়লেও আলুসহ তরিতরকারির দাম আরেক দফা কমেছে। চাল-ডাল, তেল ও মসলাসহ বেশকিছু পণ্যের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। সব মিলিয়ে বাজারে বেশিরভাগ পণ্যের দাম স্থিতিশীল রয়েছে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের ব্রয়লার হাউসের বিক্রেতা আবু সায়েম বলেন, সব ধরনের মুরগির দাম কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেড়েছে। হঠাৎ করেই এ দাম বাড়ানো হয়েছে। কয়েকদিন আগেও ব্রয়লার মুরগি ১৮০ টাকা বিক্রি হলেও দুই-তিনদিন থেকে কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে বর্তমানে ২২০ টাকায়, লেয়ার ৩২০ টাকা, সোনালি ৩২০ টাকা, দেশি ৬০০ টাকা ও হাঁস ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংসের দামও কিছুটা বেড়ে বর্তমানে ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা কেজি ও খাসির মাংস এক হাজার ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

মগবাজার এলাকার সাবিহা সুলতানা বলেন, হঠাৎ করেই মুরগির দাম বেড়ে গেছে। ১৮০ টাকার ব্রয়লার কিনেছি ২২০ টাকায় আর ২৮০ টাকার সোনালি মুরগি ৩২০ টাকায় কিনেছি।

মাংস বিক্রেতা কালু মিয়া বলেন, ঈদকে সামনে রেখে চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় সামনে সব ধরনের মাংসের দাম আরো বাড়তে পারে। তবে ঈদের কয়েকদিন পর কমে আসবে।

কাঁচাবাজারের শবজি বিক্রেতা নাজমুল বলেন, ঈদকে সামনে রেখে পেঁয়াজের দাম কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়ে ৩৬ থেকে ৪০ টাকায় এবং আদা কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে এলাচের দাম কেজিতে ১০০ থেকে ২০০ টাকা কমলেও অন্যান্য মসলার দাম স্থিতিশীল রয়েছে। দেশি রসুন বাজারে ওঠায় দাম নাগালের মধ্যেই রয়েছে। চীন থেকে আনা রসুন ২২০ থেকে ২৩০ টাকায় বিক্রি হলেও নতুন রসুন ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

রমজানের শুরু ও মাঝামাঝি সময়ে দাম কিছুটা বাড়লেও বর্তমানে অনেক সবজির আরেক দফা দাম কমেছে। আলুর দাম আরেক দফা কমে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ১৭ টাকায়। এ ছাড়া কাঁচামরিচ ৩০ থেকে ৪০ টাকা, গাজর ২০ থেকে ২৫ টাকা, বেগুন ৪০ থেকে ৬০, শিম ৩০ থেকে ৪০, ফুলকপি প্রতি পিস ২০ টাকা, টমেটো ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

চাহিদা কমে যাওয়ায় খেজুরের দাম আরেক দফা কমেছে। খোলা খেজুর ১২০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বর্তমানে প্রতি কেজি খেজুরের দাম বছরের ব্যবধানে কমেছে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ।

কারওয়ান বাজারের ফল বিক্রেতা আবু সাঈদ বলেন, কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা কমে আপেল ২৬০, কমলা ২৬০, ডালিম ৩৫০, নাশপাতি ২৮০, আঙুর ২৫০ থেকে ৩৫০, মাল্টা ২২০ এবং তরমুজ ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বিক্রেতারা বলছেন, তরমুজের চাহিদা কমে যাওয়ায় দাম আরো কমবে।

ইফতারের প্রধান উপাদান ছোলা, চিনি ও বেসনের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। ছোলা ৯৫ থেকে ১০০ টাকা দরে, খেসারি ডাল ১১০ থেকে ১২০ টাকা, বেসন ১১০ টাকা, চিনি ১২০ টাকা, মুড়ি-চিড়া প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর নয়াবাজারের ব্যবসায়ী আশফাকুর রহমান বলেন, এবার বেশিরভাগ পণ্যের দাম নিম্নমুখী। ওই ধারা এখনো অব্যাহত রয়েছে।

কারওয়ান বাজারের চাটখিল রাইস এজেন্সির রাসেল মিয়া বলেন, নতুন করে চালের দাম না বাড়লেও দুই সপ্তাহ আগে মিনিকেটের দাম কেজিতে তিন থেকে চার টাকা বেড়েছে। তবে মোটা ও মাঝারি চালের দাম স্থিতিশীল রয়েছে।

বর্তমানে ভালোমানের মিনিকেট চাল মানভেদে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মোটা স্বর্ণা গুটিচাল বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৪ টাকায়। আটাশ আর পাইজামের কেজি ৬০ থেকে ৬২ টাকাতেই মিলছে। নাজিরশাইল চাল (মোটা) ৭২ টাকা আর চিকন নাজিরশাইল ৭৬ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ‘গরিবের’ মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৫৬ টাকায়।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত