কাওসার আলম
পূর্ব আফ্রিকায় অবস্থিত কেনিয়া প্রজাতন্ত্রের সঙ্গে দ্বৈত কর পরিহার চুক্তি (ডিটিএ) করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। চুক্তির শর্তের বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে। আগামী অক্টোবর বা নভেম্বর মাসে এ চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ চুক্তি সই হলে দুই দেশের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ট্যাক্সজনিত জটিলতা কমবে এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে এনবিআর কর্মকর্তারা মনে করছেন।
চুক্তির বিষয়ে এনবিআর সদস্য (আন্তর্জাতিক কর) মো. লুৎফুল আজীম আমার দেশকে বলেন, কেনিয়ার সঙ্গে দ্বৈত কর পরিহার চুক্তির বিষয়ে আমরা মতৈক্যে পৌঁছেছি। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের অক্টোবর বা নভেম্বর মাসে এ চুক্তি সই হতে পারে। চুক্তিটি ঢাকায় বা নাইরোবিতে স্বাক্ষর হতে পারে। চুক্তির স্থান ও সময় নির্ধারণের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে।
জানা গেছে, গত ২০২২ সালে কেনিয়ার সঙ্গে দ্বৈত কর পরিহার চুক্তির বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়। দুদেশের মধ্যে এ নিয়ে মোট তিন দফা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের স্কয়ারসহ কয়েকটি কোম্পানি কেনিয়ায় বিনিয়োগ করছে। দ্বৈত কর পরিহার চুক্তি হলে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলো দুই দেশে আয়কর প্রদানের ক্ষেত্রে সুবিধা ভোগ করবে।
প্রসঙ্গত, দ্বৈত কর হচ্ছে একই আয়ের ওপর দুই দেশের কর দাবি করা। উদাহরণ হিসেবে ধরুন আপনি বাংলাদেশি নাগরিক; কিন্তু আপনি যুক্তরাজ্য বা অন্য দেশ থেকেও কিছু আয় করেন। তাহলে বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি যুক্তরাজ্যসহ অপর যেসব দেশ থেকে আয় করছেন, সেসব দেশের সরকারও সেই আয়ের ওপর কর দাবি করতে পারে। দ্বৈত কর পরিহার চুক্তির মাধ্যমে একই আয়ের ওপর এ ধরনের করারোপ পরিহার করা যায়। চুক্তির আওতায় করদাতা কর ছাড় কিংবা কর রেয়াত পদ্ধতিতে উপকৃত হতে পারেন। কর ছাড় পদ্ধতিতে একটি দেশ সম্পূর্ণভাবে কর ছাড় দেয় এবং অন্য দেশ কেবল করারোপ করে। কর রেয়াত পদ্ধতিতে একটি দেশে কর পরিশোধ করা হলে অন্য দেশ কর নির্ধারণের সময় তা বিবেচনায় নেয় (রেয়াত দেয়)।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছেÑআমেরিকা, ইংল্যান্ড, চীন, আরব আমিরাত, কানাডা, জার্মানি, ভারত, পাকিস্তানসহ ৪১টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বৈত কর পরিহার চুক্তি রয়েছে। তবে এ অঞ্চলের দেশগুলোর তুলনায় এ সংখ্যা অনেক কম। এটি বাড়ানোর জন্য চেষ্টা চলছে। বর্তমানে অস্ট্রিয়া ও আজারবাইজানের সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে আলোচনা চলছে। ইতোমধ্যে দুই দেশের মধ্যে দুটি মিটিং হয়েছে। এছাড়া উজবেকিস্তান ও হাঙ্গেরির সঙ্গেও আলোচনা শুরুর প্রক্রিয়া চলছে।
দ্বৈত কর পরিহার চুক্তির প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে জানতে চাইলে লুৎফুল আজীম বলেন, যে কোনো ব্যবসা বা বিনিয়োগের জন্য ট্যাক্স বা কর একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। সাধারণত যেসব দেশে করহার কম, বিনিয়োগকারীরা সেসব দেশে তাদের বিনিয়োগের ব্যাপারে আগ্রহী থাকেন বেশি। কিন্তু যেসব দেশে করহার বেশি, সেসব দেশে বিনিয়োগ করতে চান না। দ্বৈত কর পরিহার চুক্তি না থাকলে একই আয়ের ওপর বিনিয়োগকারীকে তার নিজ দেশে এবং যে দেশে বিনিয়োগ করেছেনÑসেই দেশেও আয়কর দিতে হবে। এর ফলে একই আয়ের ওপর দুবার কর দিতে হয়। ফলে বিনিয়োগকারীর জন্য এটি বাড়তি বোঝা তৈরি হয়। কিন্তু দুই দেশের দ্বৈত কর পরিহার চুক্তি থাকলে আয়কর হারের মধ্যে একটা বণ্টন ব্যবস্থা থাকে। একটি অংশ বিনিয়োগকারীকে তার নিজ দেশে এবং অপর অংশ যে দেশে বিনিয়োগ করেছেন, সে দেশে পরিশোধের সুযোগ পান। এর ফলে দ্বৈত কর থেকে সুরক্ষা পান বিনিয়োগকারীরা। এজন্য বিদেশি বিনিয়োগের জন্য দ্বৈত কর পরিহার চুক্তি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শুধু বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়বেÑবিষয়টি এমন নয়। কেনিয়ায় বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোও বিনিয়োগের সুবিধা শুধু বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানই নয়, দ্বৈত কর পরিহার চুক্তির সুবিধার আওতায় সাধারণ নাগরিকরাও থাকেন বলে জানান এনবিআরের এই সদস্য।
পূর্ব আফ্রিকায় অবস্থিত কেনিয়া প্রজাতন্ত্রের সঙ্গে দ্বৈত কর পরিহার চুক্তি (ডিটিএ) করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। চুক্তির শর্তের বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে। আগামী অক্টোবর বা নভেম্বর মাসে এ চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ চুক্তি সই হলে দুই দেশের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ট্যাক্সজনিত জটিলতা কমবে এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে এনবিআর কর্মকর্তারা মনে করছেন।
চুক্তির বিষয়ে এনবিআর সদস্য (আন্তর্জাতিক কর) মো. লুৎফুল আজীম আমার দেশকে বলেন, কেনিয়ার সঙ্গে দ্বৈত কর পরিহার চুক্তির বিষয়ে আমরা মতৈক্যে পৌঁছেছি। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের অক্টোবর বা নভেম্বর মাসে এ চুক্তি সই হতে পারে। চুক্তিটি ঢাকায় বা নাইরোবিতে স্বাক্ষর হতে পারে। চুক্তির স্থান ও সময় নির্ধারণের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে।
জানা গেছে, গত ২০২২ সালে কেনিয়ার সঙ্গে দ্বৈত কর পরিহার চুক্তির বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়। দুদেশের মধ্যে এ নিয়ে মোট তিন দফা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের স্কয়ারসহ কয়েকটি কোম্পানি কেনিয়ায় বিনিয়োগ করছে। দ্বৈত কর পরিহার চুক্তি হলে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলো দুই দেশে আয়কর প্রদানের ক্ষেত্রে সুবিধা ভোগ করবে।
প্রসঙ্গত, দ্বৈত কর হচ্ছে একই আয়ের ওপর দুই দেশের কর দাবি করা। উদাহরণ হিসেবে ধরুন আপনি বাংলাদেশি নাগরিক; কিন্তু আপনি যুক্তরাজ্য বা অন্য দেশ থেকেও কিছু আয় করেন। তাহলে বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি যুক্তরাজ্যসহ অপর যেসব দেশ থেকে আয় করছেন, সেসব দেশের সরকারও সেই আয়ের ওপর কর দাবি করতে পারে। দ্বৈত কর পরিহার চুক্তির মাধ্যমে একই আয়ের ওপর এ ধরনের করারোপ পরিহার করা যায়। চুক্তির আওতায় করদাতা কর ছাড় কিংবা কর রেয়াত পদ্ধতিতে উপকৃত হতে পারেন। কর ছাড় পদ্ধতিতে একটি দেশ সম্পূর্ণভাবে কর ছাড় দেয় এবং অন্য দেশ কেবল করারোপ করে। কর রেয়াত পদ্ধতিতে একটি দেশে কর পরিশোধ করা হলে অন্য দেশ কর নির্ধারণের সময় তা বিবেচনায় নেয় (রেয়াত দেয়)।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছেÑআমেরিকা, ইংল্যান্ড, চীন, আরব আমিরাত, কানাডা, জার্মানি, ভারত, পাকিস্তানসহ ৪১টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বৈত কর পরিহার চুক্তি রয়েছে। তবে এ অঞ্চলের দেশগুলোর তুলনায় এ সংখ্যা অনেক কম। এটি বাড়ানোর জন্য চেষ্টা চলছে। বর্তমানে অস্ট্রিয়া ও আজারবাইজানের সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে আলোচনা চলছে। ইতোমধ্যে দুই দেশের মধ্যে দুটি মিটিং হয়েছে। এছাড়া উজবেকিস্তান ও হাঙ্গেরির সঙ্গেও আলোচনা শুরুর প্রক্রিয়া চলছে।
দ্বৈত কর পরিহার চুক্তির প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে জানতে চাইলে লুৎফুল আজীম বলেন, যে কোনো ব্যবসা বা বিনিয়োগের জন্য ট্যাক্স বা কর একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। সাধারণত যেসব দেশে করহার কম, বিনিয়োগকারীরা সেসব দেশে তাদের বিনিয়োগের ব্যাপারে আগ্রহী থাকেন বেশি। কিন্তু যেসব দেশে করহার বেশি, সেসব দেশে বিনিয়োগ করতে চান না। দ্বৈত কর পরিহার চুক্তি না থাকলে একই আয়ের ওপর বিনিয়োগকারীকে তার নিজ দেশে এবং যে দেশে বিনিয়োগ করেছেনÑসেই দেশেও আয়কর দিতে হবে। এর ফলে একই আয়ের ওপর দুবার কর দিতে হয়। ফলে বিনিয়োগকারীর জন্য এটি বাড়তি বোঝা তৈরি হয়। কিন্তু দুই দেশের দ্বৈত কর পরিহার চুক্তি থাকলে আয়কর হারের মধ্যে একটা বণ্টন ব্যবস্থা থাকে। একটি অংশ বিনিয়োগকারীকে তার নিজ দেশে এবং অপর অংশ যে দেশে বিনিয়োগ করেছেন, সে দেশে পরিশোধের সুযোগ পান। এর ফলে দ্বৈত কর থেকে সুরক্ষা পান বিনিয়োগকারীরা। এজন্য বিদেশি বিনিয়োগের জন্য দ্বৈত কর পরিহার চুক্তি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শুধু বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়বেÑবিষয়টি এমন নয়। কেনিয়ায় বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোও বিনিয়োগের সুবিধা শুধু বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানই নয়, দ্বৈত কর পরিহার চুক্তির সুবিধার আওতায় সাধারণ নাগরিকরাও থাকেন বলে জানান এনবিআরের এই সদস্য।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামকে আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে বহুল আলোচিত সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান এলআর গ্লোবালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রিয়াজ ইসলামকেও অনুরূপ শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে বিনিয়োগের সুবর্ণ সুযোগ কাজে লাগাতে দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীদের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)।
১ দিন আগেব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, অডিট টিমের তদন্ত শেষে অনিয়মের পূর্ণাঙ্গ চিত্র ও দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একইসঙ্গে ব্যাংকের পক্ষ থেকে দুর্নীতি দমন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে যাতে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের দ্রুত আইনী শাস্তিমুলক ব্যবস্হার মুখোমুখি করা যায়।
১ দিন আগেবাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি (বিপিপিএ) সরকারি ক্রয় বিষয়ে মন্ত্রণালয় পর্যায়ে সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং উচ্চ-পদস্থ নীতি নির্ধারণী কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছে।
২ দিন আগে