এখন থেকে ব্যাংকগুলোর নিট মুনাফা না হলে উৎসাহ বোনাস দেওয়া যাবে না। একইসঙ্গে রেগুলেটরি মূলধন ও প্রভিশন ঘাটতি থাকলে এ ধরনের বোনাস দিতে পারবে না।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, ব্যাংকিং খাতের বর্তমান পরিস্থিতি এবং আর্থিক সক্ষমতা পর্যালোচনায় আনরিয়ালাইজড আয় দেখিয়ে প্রণোদনা বা বোনাস দেওয়া হচ্ছে, যা ব্যাংকের আর্থিক সুশাসন এবং সুদক্ষ ব্যাংকিং ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী— কোনো ব্যাংক শুধুমাত্র প্রকৃত আয়-ব্যয়ের ভিত্তিতে নির্ধারিত নিট মুনাফা অর্জন করতে পারলেই বোনাস দিতে পারবে। পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকে কোনো ধরনের উৎসাহ বোনাস দেওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়া কোনো ব্যাংকের রেগুলেটরি মূলধনে ঘাটতি বা সঞ্চিতি ঘাটতি থাকলে বোনাস দেওয়া যাবে না। এমনকি কোনো বিলম্ব সুবিধা দেওয়া হলেও তা মুনাফা হিসাবের ক্ষেত্রে বিবেচনায় নেওয়া যাবে না।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরও বলেছে, বোনাস প্রদানের ক্ষেত্রে শ্রেণীকৃত ও অবলোপনকৃত ঋণ আদায়ে দৃশ্যমান অগ্রগতি এবং বিভিন্ন ব্যাংকিং সূচকের বাস্তব উন্নতি থাকতে হবে।
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে ২০২৫ সালের ‘রাষ্ট্র-মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের কর্মচারীদের ইনসেনটিভ বোনাস নির্দেশিকা’ অনুসরণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

