অর্থনৈতিক রিপোর্টার
দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি উন্নয়নে ম্যাক্রো ইকোনমি সমৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরাটন হোটেলে ৪৭তম সার্কফাইন্যান্স গভর্নরস গ্রুপ মিটিং ও সিম্পোজিয়ামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন গভর্নর।
আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘নীতিনির্ধারক, রাজনীতিবিদ, আমলাসহ সবাইকে অর্থনীতির পলিসি তৈরি করার ক্ষেত্রে কৌশল ও পদ্ধতিগত নানা দিক অনুসরণ করতে হবে। অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে হলে ম্যাক্রো ইকোনমি খাতের স্থিতিশীলতার কোনো বিকল্প নেই। কারণ, বিশ্বের যে কোনো দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে পূর্বশর্তই হলো ম্যাক্রো ইকোনমির স্থিতিশীলতা। এটা আমাদের করতেই হবেÑযদি যথাযথ অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি আমরা চাই।’
তাছাড়া আর্থিক উদ্দেশ্য সফল হওয়ার জন্য ডিজিটাল প্রযুক্তির সফল ব্যবহার করতে হবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর।
গভর্নর বলেন, ‘সার্কভুক্ত দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান উদ্দেশ্য হওয়া উচিত গ্যাপ নিয়ে কাজ করা। আর্থিক উদ্দেশ্য পূরণে ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ও ডিজিটাল টেকনোলজিকে একসঙ্গে নিয়ে কাজ করতে হবে।’
গভর্নর বলেন, ‘অর্থনীতিকে উন্নয়ন করেÑএমন জাতীয় ইনস্ট্রুমেন্ট আমাদের ব্যবহার করতে হবে। ভুটানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক কিউআর কোড ব্যবহার করছে। ক্ষুদ্র পরিসরে হলেও এটা তাদের অর্থনীতিতে উপকার আসছে, যা সামনে আরো বৃহৎ পরিসরে তাদের কাজে আসবে। আমরা কোন ফরমেটে কিউআর কোড ব্যবহার করছি, তা জানি না। তবে এটার সঠিক ব্যবহার নিয়ে আমাদের আবার চিন্তা করা উচিত। সার্কভুক্ত দেশগুলো থেকে বিভিন্ন ধরনের ধারণা, তাদের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে জানা যাবে।’
নীতিনির্ধারণ পর্যায় ও প্রযুক্তি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়ার জায়গা আরো বেশি এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তাছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার একটি সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎও রয়েছে। এক্ষেত্রে ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশনের সঙ্গে প্রযুক্তির ব্যবহার প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন গভর্নর।
গভর্নর বলেন, ‘অর্থনীতিতে প্রযুক্তির ব্যবহারে নানারকম উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রত্যেকটি দেশের ফাইন্যান্সিয়াল লিটারেসি (শিক্ষা) আলাদা। বাংলাদেশের প্রত্যেকটি স্কুলকে একটি ব্যাংকের সঙ্গে থাকতে হবে। প্রত্যেক স্কুলশিক্ষার্থীর একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। ব্যাংকিং কার্যক্রমের সঙ্গে এবং কীভাবে একটি অ্যাকাউন্ট চালাতে হয়Ñসে সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে।’
তাছাড়া ফাইন্যান্সিয়াল খাতে সর্বপ্রথম লিঙ্গবৈষম্য দূর করতে হবে। এটা প্রধান চ্যালেঞ্জ। ধর্ম ও সোশ্যাল বাধা তাদের অতিক্রম করতে হবে বলে মনে করেন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।
তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো মধ্যে প্রায় একটি বড় অংশ আর্থিক বা ফাইন্যান্সিয়াল নেটওয়ার্কের মধ্যে নেই। আর্থিক খাতের দিকে দক্ষিণ এশিয়ার প্রত্যেকটি দেশ ভালো করার চেষ্টা করছে। একদিকে বাংলাদেশ ভালো করছে, আরেকদিকে ভুটান; আবার অন্যদিকে ভারত ভালো করছে। প্রত্যেকের কাছেই ভালো উদাহরণ পাওয়া যাচ্ছে। সেটা নিয়েই সামনে এগিয়ে যেতে হবে। কোন জায়গায় আমাদের উন্নতি করতে হবে, সেটা বুঝতে হবে।’
সার্কভুক্ত দেশগুলোর পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে এগোতে পারলে আরো বেশি মানুষ আর্থিক অন্তর্ভুক্তির আওতায় আসবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
এ সময় তিনি বলেন, এখনো বহু মানুষ আর্থিক নেটওয়ার্কের বাইরে আছে।
দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ব্যবস্থা গড়ে তোলা এখন এক বড় চ্যালেঞ্জ। দক্ষিণ এশিয়া দেশগুলো বিভিন্নভাবে এগিয়ে যাচ্ছে; তবে নিজেদের মধ্যে জানা তথ্য ও জ্ঞানগুলো কাজে লাগাতে হবে। যার মাধ্যমে প্রতিটি দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সমৃদ্ধি উন্নত হবে।
নিজেদের মধ্যে অর্থনৈতিক জ্ঞান সমন্বয় করতে পারলে সামগ্রিকভাবে সবাই সমৃদ্ধ হবে বলেও মনে করেন গভর্নর। ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের বিভিন্ন পদ্ধতি সম্পর্কে জানার মাধ্যমে আমরা আরো বেশি অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক সমাজ গড়ে তুলতে সক্ষম হব বলে তিনি মনে করেন।
দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি উন্নয়নে ম্যাক্রো ইকোনমি সমৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরাটন হোটেলে ৪৭তম সার্কফাইন্যান্স গভর্নরস গ্রুপ মিটিং ও সিম্পোজিয়ামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন গভর্নর।
আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘নীতিনির্ধারক, রাজনীতিবিদ, আমলাসহ সবাইকে অর্থনীতির পলিসি তৈরি করার ক্ষেত্রে কৌশল ও পদ্ধতিগত নানা দিক অনুসরণ করতে হবে। অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে হলে ম্যাক্রো ইকোনমি খাতের স্থিতিশীলতার কোনো বিকল্প নেই। কারণ, বিশ্বের যে কোনো দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে পূর্বশর্তই হলো ম্যাক্রো ইকোনমির স্থিতিশীলতা। এটা আমাদের করতেই হবেÑযদি যথাযথ অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি আমরা চাই।’
তাছাড়া আর্থিক উদ্দেশ্য সফল হওয়ার জন্য ডিজিটাল প্রযুক্তির সফল ব্যবহার করতে হবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর।
গভর্নর বলেন, ‘সার্কভুক্ত দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান উদ্দেশ্য হওয়া উচিত গ্যাপ নিয়ে কাজ করা। আর্থিক উদ্দেশ্য পূরণে ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ও ডিজিটাল টেকনোলজিকে একসঙ্গে নিয়ে কাজ করতে হবে।’
গভর্নর বলেন, ‘অর্থনীতিকে উন্নয়ন করেÑএমন জাতীয় ইনস্ট্রুমেন্ট আমাদের ব্যবহার করতে হবে। ভুটানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক কিউআর কোড ব্যবহার করছে। ক্ষুদ্র পরিসরে হলেও এটা তাদের অর্থনীতিতে উপকার আসছে, যা সামনে আরো বৃহৎ পরিসরে তাদের কাজে আসবে। আমরা কোন ফরমেটে কিউআর কোড ব্যবহার করছি, তা জানি না। তবে এটার সঠিক ব্যবহার নিয়ে আমাদের আবার চিন্তা করা উচিত। সার্কভুক্ত দেশগুলো থেকে বিভিন্ন ধরনের ধারণা, তাদের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে জানা যাবে।’
নীতিনির্ধারণ পর্যায় ও প্রযুক্তি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়ার জায়গা আরো বেশি এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তাছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার একটি সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎও রয়েছে। এক্ষেত্রে ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশনের সঙ্গে প্রযুক্তির ব্যবহার প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন গভর্নর।
গভর্নর বলেন, ‘অর্থনীতিতে প্রযুক্তির ব্যবহারে নানারকম উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রত্যেকটি দেশের ফাইন্যান্সিয়াল লিটারেসি (শিক্ষা) আলাদা। বাংলাদেশের প্রত্যেকটি স্কুলকে একটি ব্যাংকের সঙ্গে থাকতে হবে। প্রত্যেক স্কুলশিক্ষার্থীর একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। ব্যাংকিং কার্যক্রমের সঙ্গে এবং কীভাবে একটি অ্যাকাউন্ট চালাতে হয়Ñসে সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে।’
তাছাড়া ফাইন্যান্সিয়াল খাতে সর্বপ্রথম লিঙ্গবৈষম্য দূর করতে হবে। এটা প্রধান চ্যালেঞ্জ। ধর্ম ও সোশ্যাল বাধা তাদের অতিক্রম করতে হবে বলে মনে করেন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।
তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো মধ্যে প্রায় একটি বড় অংশ আর্থিক বা ফাইন্যান্সিয়াল নেটওয়ার্কের মধ্যে নেই। আর্থিক খাতের দিকে দক্ষিণ এশিয়ার প্রত্যেকটি দেশ ভালো করার চেষ্টা করছে। একদিকে বাংলাদেশ ভালো করছে, আরেকদিকে ভুটান; আবার অন্যদিকে ভারত ভালো করছে। প্রত্যেকের কাছেই ভালো উদাহরণ পাওয়া যাচ্ছে। সেটা নিয়েই সামনে এগিয়ে যেতে হবে। কোন জায়গায় আমাদের উন্নতি করতে হবে, সেটা বুঝতে হবে।’
সার্কভুক্ত দেশগুলোর পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে এগোতে পারলে আরো বেশি মানুষ আর্থিক অন্তর্ভুক্তির আওতায় আসবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
এ সময় তিনি বলেন, এখনো বহু মানুষ আর্থিক নেটওয়ার্কের বাইরে আছে।
দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ব্যবস্থা গড়ে তোলা এখন এক বড় চ্যালেঞ্জ। দক্ষিণ এশিয়া দেশগুলো বিভিন্নভাবে এগিয়ে যাচ্ছে; তবে নিজেদের মধ্যে জানা তথ্য ও জ্ঞানগুলো কাজে লাগাতে হবে। যার মাধ্যমে প্রতিটি দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সমৃদ্ধি উন্নত হবে।
নিজেদের মধ্যে অর্থনৈতিক জ্ঞান সমন্বয় করতে পারলে সামগ্রিকভাবে সবাই সমৃদ্ধ হবে বলেও মনে করেন গভর্নর। ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের বিভিন্ন পদ্ধতি সম্পর্কে জানার মাধ্যমে আমরা আরো বেশি অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক সমাজ গড়ে তুলতে সক্ষম হব বলে তিনি মনে করেন।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামকে আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে বহুল আলোচিত সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান এলআর গ্লোবালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রিয়াজ ইসলামকেও অনুরূপ শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে বিনিয়োগের সুবর্ণ সুযোগ কাজে লাগাতে দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীদের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)।
২১ ঘণ্টা আগেব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, অডিট টিমের তদন্ত শেষে অনিয়মের পূর্ণাঙ্গ চিত্র ও দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একইসঙ্গে ব্যাংকের পক্ষ থেকে দুর্নীতি দমন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে যাতে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের দ্রুত আইনী শাস্তিমুলক ব্যবস্হার মুখোমুখি করা যায়।
১ দিন আগেবাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি (বিপিপিএ) সরকারি ক্রয় বিষয়ে মন্ত্রণালয় পর্যায়ে সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং উচ্চ-পদস্থ নীতি নির্ধারণী কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছে।
২ দিন আগে