সাত কলেজের ঐতিহ্য রক্ষায় ১১দফা দাবিতে মানববন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫: ৫৫

ঢাকার ঐতিহ্যবাহী সাত কলেজ নিয়ে সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অধ্যাদেশের খসড়া প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত খসড়া অধ্যাদেশ নিয়ে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের মাঝে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। সাত কলেজের ঐতিহ্য রক্ষায় বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির পক্ষ থেকে ১১ দফা দাবি ঘোষণা করা হয়েছে।

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকার ভিতরে অবস্থিত এই সাত কলেজের সামনে মানববন্ধন করে ১১ দফা দাবি ঘোষণা করেন শিক্ষকর।

বিজ্ঞাপন

বক্তারা বলেন, যেসব কলেজে ইন্টারমিডিয়েট আছে , সেই কলেজগুলোতে কিভাবে ক্লাস নেওয়া হবে, ইডেন এবং বদরুন্নেসা কলেজে শুধু নারী শিক্ষার্থী আছে এখন, এই ক্ষেত্রে এসব কলেজে কিভাবে পুরুষ শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে প্রশ্ন তুলে তারা বলেন, এভাবে এসব কলেজের ইতিহাস ঐতিহ্যকে ধ্বংস করার কোন সুযোগ নেই। তারা এই কলেজগুলোকে কলেজিয়েট মডেলে করার জন্য আহ্বান জানান৷

১১ দফা দাবি হচ্ছে :

১. সাত কলেজ নাম বা কাঠামো পরিবর্তন করে কোনো অনুষদে অথবা স্কুলে রুপান্তর করা যাবে না। অর্থাৎ কলেজ কাঠামোর কোন মৌলিক রুপ ভেঙে অনুষদ ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা যাবে না।

২. কলেজে লোগোসহ স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি স্ব-স্ব কলেজের নামে অক্ষুণ্ণ রাখতে হবে। কোনভাবেই জোরপূর্বক এসব সম্পদের মালিকানা প্রস্তাবিত কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে হস্তান্তর গ্রহণযোগ্য নয়।

৩. বর্তমানে পাঠদান করা হয় না - এমন কোনো নতুন বিষয় সংযোজন করে শিক্ষার্থীদের অযথা ভোগান্তিতে ফেলা যাবে না।

৪. বিদ্যমান কোনো বিষয় বিয়োজন করা যাবে না। বিশেষত আরবি ও ইসলাম শিক্ষা বাদ দেওয়ার চেষ্টা ইসলাম বিদ্বেষের শামিল এবং তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

৫. প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস অবশ্যই পৃথক স্থানে প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

৬. সাত কলেজকে পরীক্ষাগার বা গিনিপিগ বানিয়ে কোনো পরীক্ষামূলক বিশ্ববিদ্যালয় মডেল চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। সাতটি সরকারি কলেজকে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন রাখা হলেও শিক্ষা-মন্ত্রণালয়ের সরাসরি নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে হবে এবং সকল পদে বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারেট সদস্যদের নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।

৭ . বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশে সকল প্রশাসনিক পদ ও শিক্ষক হিসেবে শুধুমাত্র বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের সদস্যদের নাম স্পষ্ট ও এককভাবে উল্লেখ করতে হবে।

৮. সাত কলেজ সরকারের বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান হওয়ায় এর সাংগঠনিক কাঠামো পরিবর্তনের পূর্বে সংশ্লিষ্ট সকলের মতামত গ্রহণ ও যৌক্তিকতা যাচাই করা আবশ্যক। এজন্য প্রস্তাবিত খসড়া অধ্যাদেশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, আইনজীবী ও সুশীলসমাজের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত একটি উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন রিভিউ কমিটির মাধ্যমে পর্যালোচনা করতে হবে।

৯. ঢাকা কলেজসহ পাঁচটি কলেজ দীর্ঘদিন ধরে উচ্চমাধ্যমিক স্তরে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করে আসছে। তাই উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম স্বার্থ-বিরোধী কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণযোগ্য হবে না।

১০. সাত কলেজে ইতিমধ্যেই উচ্চশিক্ষার ব্যাপক সংকোচন করা হয়েছে। বিশেষত ইডেন মহিলা কলেজ ও বেগম বদরুন্নেসা কলেজে বহু বছর ধরে নারীদের জন্য নিরাপদ ও সাশ্রয়ী উচ্চশিক্ষার সুযোগ প্রদান করে আসছে। প্রস্তাবিত কাঠামোয় নারী শিক্ষার ব্যাপক সংকোচনের পরিকল্পনা স্পষ্ট, যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।

১১. সাত কলেজে কর্মরত কোন কর্মচারীর চাকুরি বা অন্য কোন স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করা যাবে না।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত