রাজধানীতে গত ১০ মাসে ১৯৮টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। গড়ে প্রতি মাসে ২০টির মতো হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। তবে বেশির ভাগ ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে বলে দাবি করেন ডিএমপির মুখপাত্র উপ-পুলিশ কমিশনার তালেবুর রহমান।
মঙ্গলবার সকালে এ তথ্য জানান তিনি। তিনি জানান, পল্লবীতে যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়া হত্যার ঘটনায় পুলিশ বিস্তারিত অনুসন্ধান করছে। এখন পর্যন্ত আটক করা হয়েছে একজনকে। হত্যায় জড়িত বাকি দুইজনকে গ্রেফতারের পর মূল তথ্য জানা যাবে, বলেও জানান তালেবুর রহমান। এখনও এই ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়নি বলেও জানান তিনি।
পুলিশ এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া দোকানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে গোলাম কিবরিয়া মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনের সি ব্লকে একটি হার্ডওয়্যারের দোকানে ঢোকেন। তিনি ঢোকার দুই তিন সেকেন্ডের মধ্যে তিনজন দুর্বৃত্ত দ্রুত দোকানে ঢুকে তাকে লক্ষ্য করে গুলি করতে শুরু করে। দুর্বৃত্তদের মধ্যে একজনের পরনে পাঞ্জাবি ও দুজনের গায়ে শার্ট ছিল। তবে প্রত্যেকের মাথায় হেলমেট ও মুখে মুখোশ থাকায় তাদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। এ সময় দোকানে কিবরিয়াসহ প্রায় নয়জন উপস্থিত ছিলেন।
ফুটেজ অনুযায়ী, দুর্বৃত্তদের একজন কিবরিয়াকে লক্ষ্য করে খুব কাছ থেকে প্রথমে সাতটি গুলি ছোড়ে। কিবরিয়া মাটিতে লুটিয়ে পড়লে আরেক দুর্বৃত্ত আরও তিন রাউন্ড গুলি করে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে বেরিয়ে যায়। জানা গেছে, কিবরিয়ার শরীরে মোট ৯টি গুলি লেগেছিল।
রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে দ্রুত শেরে বাংলা নগরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে স্বজনেরা রক্তাক্ত অবস্থায় গোলাম কিবরিয়াকে নিয়ে আসেন এবং কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

