জাবির হলে মাদক সেবনরত সাবেক ছাত্রলীগকর্মীসহ আটক ৩

জাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৫ মে ২০২৫, ১৯: ৪৩

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মীর মশাররফ হোসেন হলের কক্ষে গাজা সেবনরত অবস্থায় সাবেক ছাত্রলীগ কর্মীসহ তিনজনকে আটক করে নিরাপত্তা কর্মীদের কাছে তুলে দিয়েছে শিক্ষার্থী।

রোববার (২৫ মে) দুপুরে হলের বি ব্লকের ২৫৫ নম্বর কক্ষ থেকে গাজা সেবনরত অবস্থায় তাদের ধরা হয়। পরে হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মাহমুদুর রহমানসহ হলের নিরাপত্তা কর্মীরা এসে উপস্থিত হন।

বিজ্ঞাপন

অভিযুক্ত তিনজন হলেন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৫০ ব্যাচের শিক্ষার্থী হৃদয় ইসলাম,নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী কিরন সূত্রধর হিমু ও তন্ময় চন্দ্র রায়।

জানা যায়, ২৫৫ নম্বর কক্ষটি হলের কক্ষে হৃদয় ও তার বন্ধু নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী রাইসুল রুবাই থাকতেন। তারা উভয়ই আগে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। বর্তমানে রুবাই ছাত্রদলের রাজনীতি সাথে জড়িত। রুবাই মীর মশাররফ হোসেন হলে সিট দখল করে রাখলেও বর্তমানে তিনি এখানে থাকেন না। এই কক্ষ থেকে নিয়মিতই গাঁজার গন্ধ পাওয়া যেত বলে জানান ঘটনাস্থলে উপস্থিত অনেকে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, নামাজ পড়ে হলের বারান্দা দিয়ে যাওয়ার সময় তারা গাজার গন্ধ পায়। এ সময় দরজায় কয়েকজন নক করলে ভেতর থেকে সাড়াশব্দ পাওয়া যায়না। পরে হলের প্রাধ্যক্ষ স্যারকে ডাকলে উনি তাৎক্ষণিকভাবে গাজা খাওয়া অবস্থায় অভিযুক্তদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ও রুমের বাসিন্দা হৃদয় বলেন, ‘আমি গত পরশুদিন ঢাকা থেকে আসার পথে গাজা নিয়ে আসি। আজকে আমি বাড়ি চলে যেতাম। তাই ভাইদের ম্যাসেজে জানিয়েছিলাম আপনারা আসতে পারেন। পরে ওনারা আসে। হল প্রশাসনের মাদকবিরোধী জিরো টলারেন্সের নীতি আমি জানতাম। আমার ভুলের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।’

অভিযুক্ত কিরন সূত্রধর হিমু গাজা খাওয়ার বিষয় স্বীকার করে বলেন, ‘হৃদয়ের সাথে আমার পূর্বপরিচয় ছিলো না। আজকে তন্ময়ের সাথে বটে আড্ডা দেওয়ার সময় ওর সাথে হৃদয়ের রুমে আসি।’

অভিযুক্ত তন্ময় চন্দ্র রায় দোষ স্বীকার করে বলেন, ‘বেলা ১১ টার দিকে আমাকে হৃদয় হলে গাজা খেতে আসতে বলে। পরে আমি আর হিমু হলে আসি।’

মীর মশাররফ হোসেন হলে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স উল্লেখ করে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান বলেন, হৃদয়কে শোকজ করা হবে এবং তাকে আজকে বিকেলের মধ্যে হল ত্যাগ করতে বলেছি। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিস বরাবর অভিযোগপত্র দেব এবং যেহেতু সে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের এলোটেড শিক্ষার্থী তাই ওই হলের প্রভোস্ট মহোদয়কে অবহিত করব।

এমএস

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত