সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের ৮ দফা দাবি

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ০১ আগস্ট ২০২৫, ১৫: ২৮
আপডেট : ০১ আগস্ট ২০২৫, ১৬: ০৪

গণপরিষদের নির্বাচনে পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা অথবা জনসংখ্যার আনুপাতিক হারে সরকারে, সংসদে এবং জনপ্রতিনিধিত্বশীল সকল সংস্থায় অংশীদারিত্ব ও প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলন।

শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে 'গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী এক বছরে ৮ শতাংশ জনগোষ্ঠীর অবস্থা ' শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

বিজ্ঞাপন

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের উত্তর অঞ্চলের সংগঠক তরুণ রায় বলেন, সরকার পদত্যাগের পর সারাদেশের প্রায় ৩৫টি জেলায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচার, লুটপাট, নারীর শ্লীলতাহানি, মন্দির ভাঙচুর এবং বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নি সংযোগ করা হয়েছে।

এই সকল ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে গত ৯ আগস্ট মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়েছে। এই সমাবেশে সকল ধর্মীয় সংগঠন ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সম্মতিক্রমে যৌক্তিক ৮ দফা দাবি পেশ করা হয়।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনসহ কোনো সংস্কার কমিশনে দেখা যায়নি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি। ঐকমত্য কমিশনে কোন রাজনৈতিক দলকেও প্রশ্ন করতে দেখা গেল না, ৮ শতাংশ জনগোষ্ঠীর কোন প্রতিনিধি না থাকলে কিভাবে ঐক্য গঠন হয়। রাজনৈতিক দলগুলো এই আট শতাংশ জনগোষ্ঠীকে শুধুমাত্র রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করছে।

তাদের অধিকার নিয়ে সচেষ্ট হতে দেখা যাচ্ছে না কোন রাজনৈতিক দলকে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে এই জনগোষ্ঠীকে নিজেদের অস্তিত্বের জানান দিতে ভবিষ্যতে নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র বয়কটের সিদ্ধান্তও নিতে হতে পারে।

আমরা কোন রাজনৈতিক দলের পৃষ্টপোষকতা করছি না। বিগত ৫৩ বছরে কোনো সরকারই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি। ৮ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে আগামী ২২ আগস্ট 'জাতীয় সংখ্যালঘু সম্মেলন -২০২৫' আয়োজন করা হচ্ছে।

ন্যায় বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা বিশ্রাম নেব না। ৮ দফা বাস্তবায়ন না হলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এদেশে নিজেদের নিরাপদ ভাবতে পারে না। আমরা চাই আগামীতে যে সরকারই আসুক সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নিরাপদ থাকুক। আমরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গড়ার সুযোগ পেয়েছি। সেখানে প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব বৈষম্য দূর করে দেশকে রক্ষা করা।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিষয়:

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত