হাসিনার আমলে নৈতিক মূল্যবোধ, সামাজিক শ্রদ্ধা শেষ: সেলিমা রহমান

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ০৯ আগস্ট ২০২৫, ২১: ১৬

চব্বিশের সূর্য সন্তানদের মতো নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের ছাত্র নেতারাও এক একটা সূর্য সন্তান ছিল মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেছেন, আজকে আমাদের এই সমাজে শ্রদ্ধা সম্মান নষ্ট হয়ে গেছে।

তরুণরা বড়দের শ্রদ্ধা করে না বরং বাজে মন্তব্য করে। গত ১৫ বছরে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার আমলে আমাদের চরিত্র, নৈতিক মূল্যবোধ, সামাজিক শ্রদ্ধা সবকিছু শেষ হয়ে গেছে।

বিজ্ঞাপন

শনিবার বিকালে ‘আমরা বরিশালবাসী, ঢাকা’র আয়োজনে শিল্পকলা অ্যাকাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

অনুষ্ঠানে সাবেক মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এ্যাড.মজিবর রহমান সরোয়ারের সভাপতিত্বে  প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী সেলিমা রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি এ্যাড. সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।

ছাত্রদলের বরিশাল জেলা শাখার সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ কামরুল হাসানের স্মরণ সভায় সেলিমা রহমান বলেন, আমি মনে করি কামরুল হাসানদের কথা বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরে এই সমাজ পরিবর্তন করতে হবে। সুন্দর একটা সমাজ তৈরি করতে হবে। এই স্মরণ সভায় এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে ছোট ছোট ছাত্রদল নেতারা আজ একসাথে হতে পেরেছি। যে চলে যায় তাকে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার দায়িত্ব বর্তমানে যারা আছে তাদের।

বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, সৈয়দ কামরুল হাসান ছিল আমার মামাতো ভাই। বরিশালের মাটিতে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে শক্তিশালী করতে আমৃত্যু চেষ্টা করে গিয়েছে। সে ছাত্র জীবনে বরিশালের মাটিতে ছাত্রদলের সাংগঠনিক অবস্থান গড়ে তুলতে এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে জাতীয়তাবাদী চেতনা ছড়িয়ে দিতে তার সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছে। আমি তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।

বিএনপি চেয়ারপার্সনের আরেক উপদেষ্টা মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, ৫২, ৭১,৯০ ও ২৪ এর এই আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা নতুন করে দেশ গড়ার সুযোগ পেয়েছি। স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন। দেশের সকল প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে ফ্যাসিবাদী শাসন। বর্তমানে যে সংস্কারের কথা বলা হয়েছে এই সংস্কার করতে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। খেয়াল করতে হবে যেন প্রতিবিপ্লব যেন অনুষ্ঠিত না হয়। কাজেই আসুন সবাই মিলে ইমানের সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে জনগণের কাছে জাতীয়তাবাদী চেতনা তুলে ধরি। এটাই হবে কামরুল হাসানের সবচেয়ে বড় স্মরণ।

কামরুল হাসানের মেয়ে সুমাইয়া হালিমা বলেন, আমার বাবা আমার সবচেয়ে কাছের মানুষ ছিলেন। বাবা সব সময় মানুষের জন্য কাজ করতেন। আমার বাবার জন্য আপনারা সবাই দোয়া করবেন যেন মহান আল্লাহ আমার বাবাকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করেন।

স্মরণ সভায় বরিশালের বিভিন্ন জেলা ও মহানগরের নানা পর্যায়ের ছাত্রনেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত