বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির মতবিনিময়

তফসিল ঘোষণার আগেই শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের দাবি

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ০৮ আগস্ট ২০২৫, ১৯: ০৩

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন এবং শ্রম আইনের সংশোধন করতে হবে। শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

অন্তবর্তীকালীন সরকারের ১ বছর, শ্রমিক আকাঙ্ক্ষা ও প্রাপ্তি শীর্ষক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহিম চৌধুরী পরিচালনায় মতবিনিময়ে লিখিত বক্তব্য উত্থাপন করেন সভাপ্রধান ও শ্রম সংস্কার কমিশন ২০২৪ সদস্য তাসলিমা আখতার।

বিজ্ঞাপন

বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য দেন- শ্রম সংস্কার কমিশন ২০২৪’র প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ, নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক দীনা সিদ্দিকী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হাসান আশরাফ, নাট্যকর্মী ঋতু সাত্তার, দৃশ্যমাধ্যম সমাজের সংগঠক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা আকরাম খান, নারী সংহতির সাধারণ সম্পাদক অপরাজিতা দেব। শ্রম বিকাশ কেন্দ্রর পরিচালক সীমা দাস সিমু। বাংলাদেশ বহুমুখী শ্রমজীবি ও হকার সমিতির সভাপতি বাচ্চু ভুইয়া এবং ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ।

শ্রমিক নেতৃবৃন্দর মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় যুব বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম, এনসিপির শ্রমিক উইং এর প্রধান সমন্বয়কারী মাজহারুল ইসলাম ফকির, গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র এর সভাপতি মন্টু গোষ।

সম্মিলিত গার্মেন্ট শ্রমিক ফেডারেমনের সভাপতি নাজমা আক্তার, শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের সমন্বয়ক শ্রমিক তফাজ্জল হোসেন, গ্রীন বাংলা গার্মেন্ট ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি সুলতানা শ্রমিক নেতা রাজু আহমেদ, শামীম ইমামসহ প্রমুখ।

গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির ১১ দফার সাথে সংহতি প্রকাশ করে বক্তারা বলেন বলেন, সরকার জুলাই ঘোষনা বা সনদে শ্রমিকদের আকাঙ্খা পুরোপুরি প্রতিফলিত হয়নি। এমনকি ঐক্যমত কমিশনের শ্রম ও নারী বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ কমিশনের সুপারিশ আমলে নেয়া হয়নি। বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে শ্রমিকের আকাঙ্খা জান-জীবিকা ও জবানের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

তারা আরো বলেন, এই সরকারের প্রধান উপদেষ্টা শ্রম খাতকে আন্তর্জাতিক মানদন্ডে পৌছানোর অঙ্গীকার করছে। কিন্তু এখনো শ্রম আইনের যথাযথ সংশোধন সম্পন্ন হয়নি এবং কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন হয়নি।

তারা বলেন সরকারের বিচার-সংস্কার এবং নির্বাচন এই রোড ম্যাপের সাথে শ্রমিকের দাবি বাস্তবায়নের কোন বিরোধ নেই। তাই নির্বাচনী ডামাডোলে প্রবেশ করার আগে সরকারকে উদ্যোগী হয়ে দৃশ্যমান ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শ্রম কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায় শুরু করতে হবে এবং অবশ্যই শ্রম আইন সংশোধন করতে হবে।

শ্রম কমিশন ২০২৪ এর প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দীন আহমেদ বলেন, দেশের সকল শ্রমিক সংগঠন ও অংশীজনদের সাথে নিয়ে শ্রম সংস্কার কমিশন সুপারিশ করতে পেরেছে, এটি একটি অর্জন। কিন্তু এটি বাস্তবায়নে সরকারের ভূমিকা নিয়ে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন। বলেন কশিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য সকল শ্রমিক সংগঠ এবং শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত