খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্যের পদত্যাগসহ ছয় দফা দাবিতে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিক্ষোভ কর্সসূচি পালন করেছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
রোববার কুয়েট শিক্ষার্থীদের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবন যমুনায় গিয়ে স্মারকলিপি দিয়ে আসেন।
প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে এক কর্মকর্তা এ স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।
এর আগে দুপুরে শহীদ মিনারে এক সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, উপাচার্য আমাদের নিরাপত্তা দিতে পারেনি। কুয়েট ক্যাম্পাস থেকে আর্মি ক্যাম্প মাত্র ১০ মিনিটের দূরত্ব। সেই আর্মি আসতে ৪ ঘণ্টা লেগেছিল। ফলে রক্তাক্ত হয়েছে আমাদের ভাইয়েরা। তাদের অনেকে ঢাকায় ভর্তি আছে। কুয়েটের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর একটা মানুষ কুয়েট ছাত্রদের নিরাপত্তা দিতে পারেনি। আমরা ক্যাম্পাসে নিরাপদবোধ করছি না। তাই উপাচার্যের পদত্যাগসহ ছয়টি দাবি নিয়ে আমরা রাজধানীতে এসেছি।
এসময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, যে সরকার ছাত্র-জনতার রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আছে তার কাছ থেকে কোনও উত্তর আমরা পাইনি। আমরা জানাতে এসেছি, আমরা নিরাপদ একটা ক্যাম্পাস চাই। আমাদের জানমালের নিরাপত্তা দিতে হবে।
সমাবেশে শিক্ষার্থীদের হাতে ‘নিরাপত্তা দিতে পারে না এমন ভিসি মানি না’, ‘নতুন ভিসি নিয়োগ চাই’, ‘ছাত্ররাজনীতির দালালেরা’, ‘হুশিয়ার সাবধান’, ‘বকুল ফুল বকুল ফুল, ভিসি তুমি করছো ভুল’ লেখা সংবলিত প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।
এসময় কুয়েট শিক্ষার্থীরা ছয় দফা দাবি পেশ করেন। তাদের দাবিগুলো হলো:
কুয়েটে ছাত্র রাজনীতি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করতে হবে; ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে সংযুক্ত থাকলে তাকে বহিষ্কার এবং ছাত্রত্ব বাতিল করতে হবে; ছাত্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে; যারা আহত হয়েছে তাদের সহায়তা দিতে হবে এবং কুয়েটের প্রশাসনকে দায় স্বীকার করতে হবে; ছাত্রদল দ্বারা সাধারণ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে এবং যারা এই সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে সংযুক্ত ছিল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে এবং মামলা করতে হবে এবং উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে পদত্যাগ করতে হবে।
এমএস

