সভায় ডিএনসিসি প্রশাসক

আগে ১০০ কোটি টাকার বেশি খরচেও খালে দৃশ্যমান পরিবর্তন দেখতে পেতাম না

রাজধানীকে সবুজায়নে খালের প্রতি কিমিতে একজন মালি নিয়োগ

বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৫ মে ২০২৫, ১৩: ০৩

ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেছেন, আগে খাল খনন করতে ১০০ কোটি টাকার বেশি খরচ করা হতো কিন্তু দৃশ্যমান কোনো পরিবর্তন দেখতে পেতাম না। বর্তমানে ১০০ কিলোমিটার খাল পরিষ্কার করতে খরচ হচ্ছে ১০ কোটি টাকারও কম খরচে।

বুধবার ডিএনসিসি নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে ‘খাল বাঁচলে, বাঁচাবে নগর–প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় উত্তম চর্চার প্রসার’ শীর্ষক একটি অভিজ্ঞতা বিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন ডিএনসিসি প্রশাসক।

বিজ্ঞাপন

মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ইতোমধ্যে ঢাকা শহরের ৩৩টি খালকে রক্ষণাবেক্ষণ ও দুইপাড়ে গাছ লাগিয়ে সবুজায়ন করার জন্য স্বেচ্ছাসেবকদের দায়িত্ব দিয়েছি। প্রতি এক কিলোমিটার খালের পাড়ে গাছ লাগানো ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একজন করে মালি নিয়োগ দিচ্ছি।

এদিকে ডিএনসিসিতে পহেলা জুন থেকে ঢাকা শহরজুড়ে খাল, লেক, উন্মুক্ত স্থান ও মাঠে ব্যাপক আকারে উন্নয়ন ও বৃক্ষরোপন কাজ শুরু হচ্ছে। এরই মধ্যে সারা নগরের জন্য ল্যান্ডস্ক্যাপ আর্কিটেক সম্পন্ন হয়েছে। উদ্ভিদবিদদের পরামর্শে খাল ও লেক পাড়ে গাছ লাগানো হবে। এই উদ্যোগকে সফল করতে সব অংশীদারদের সহযোগিতা চেয়েছেন ডিএনসিসি প্রশাসক।

প্লাস্টিক ফ্রি রিভারস অ্যান্ড সীস ফর সাউথ এশিয়া প্রকল্পের আওতায় কল্যাণপুর খাল এলাকায় বাস্তবায়িত একটি পাইলট প্রকল্পের অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হয়।

ডিএনসিসির প্রশাসক বলেন, এই প্রজেক্ট থেকে প্রাপ্ত ভাসমান বর্জ্যের শ্রেণিবিন্যাস করতে পারলে এই বর্জ্য উৎপাদনকারীদের কাছে উপস্থাপন করা যেত। যাতে তারা পরবর্তীতে সঠিক ব্যবস্থাপনা আওতায় আনতে পারে।

সভায় ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রি. জে. মো. মঈন উদ্দিন বলেন, এক হাজার ২০০ কিলোমিটার ড্রেন সিস্টেম থাকলেও খালের প্রবাহ মাত্র ৮৬ কিলোমিটার। ড্রেনে আবর্জনা ফেলা এবং খালে প্লাস্টিক জমে যাওয়ার কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে, যা নগরবাসীর দুর্ভোগ বাড়াচ্ছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের সিনিয়র উপদেষ্টা ড. শিবলী সাদিক বলেন, পরিবেশ ব্যবস্থাপনায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সরকার, জনগণ, সিভিল সোসাইটি, জ্ঞানভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি খাতকে একযোগে গুরুত্ব সহকারে কাজ করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান বলেন, মাইক্রো প্লাস্টিক যেন খালে বা জলাশয় না আসে, সেজন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে। একসঙ্গে কাজ করলেই টেকসই সমাধান সম্ভব।

এই অভিজ্ঞতা বিনিময় সভাটি নগরের প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কার্যকর সমাধান, নীতিনির্ধারণী পরামর্শ এবং অংশীদারভিত্তিক উদ্যোগের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে বলে মন্তব্য করেন উপস্থিত বক্তারা।

এমআর/এফআই

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত