তিতুমীরের শিক্ষার্থীর সাথে মারধরের জেরে দুর্যোগ কর্মকর্তাসহ গ্রেপ্তার ২

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৬: ১১

ট্রাফিক পুলিশের সহায়তাকারী তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী লিতু হোসেনের সাথে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তার বাক-বিতণ্ডা এবং ওই শিক্ষার্থীকে দুর্যোগ ভবনে নিয়ে মারধর করার জের ধরে উত্তপ্ত হয়ে উঠে মহাখালীর তিতুমীর কলেজ এলাকা।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কর্মকর্তা শফিউল আলম সাকিব ও অফিস সহায়ক কাউসারকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় বনানী থানা পুলিশ।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, সোমবার ১১ টা ২০ মিনিটের দিকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী সফিউল আলম শাকিব রিকশায় করে অফিসে আসার সময় মহাখালী আমতলী এলাকায় ট্রাফিক সহকারী তিরুমীর কলেজের ওই ছাত্র রিক্সা আসতে বাঁধা দেয়। সহকারী প্রকৌশলী পরিচয় দিলে তার পরিচয়পত্র দেখাতে বলে। এটা নিয়ে তারা বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। একটা পর্যায়ে ট্র্যাফিক সহকারী, সহকারী প্রকৌশলীর শরীরে হাত তোলে।

অধিদপ্তরে গিয়ে ওই কর্মকর্তা বিষয়টি জানালে ১৫ থেকে ২০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারি ঘটনাস্থলে গিয়ে ট্রাফিক সহকারীকে (ছাত্র) কিল-ঘুষি মেরে দুর্যোগ ভবনে নিয়ে যায়।

বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির বিষয়টি ট্রাফিক সহকারী ছাত্ররা তিতুমীর কলেজের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের জানালে শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে ত্রান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে এসে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যেতে চায়। অধিদপ্তরে তখন উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

তাৎক্ষণিকভাবে উপস্থিত বনানী থানার ৪০-৫০ পুলিশ দুর্যোগ ভবনে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উত্তেজিত ছাত্রদের চাপে সহকারি প্রকৌশলী শফিউল আলম অফিস সহায়ক কাউসারের হাতে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে গ্রেপ্তার দেখিয়ে পুলিশের পিকআপ নিয়ে যায়।

সহকারী প্রকৌশলী শফিউল আলমকে গাড়িতে নিয়ে যাওয়ার সময় উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে, এবং মারতে যায় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে বনানী থানায় নিয়ে যায়।

বনানী থানার ওসি রাসেল সরোয়ার দুজনকে থানায় নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিষয়:

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত