স্টাফ রিপোর্টার
সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন (সিসিএএফ) এর জরিপের তথ্য অনুযায়ী সাইবার হামলায় আক্রান্তদের প্রায় ৫৯ শতাংশ নারী। ভূক্তভোগীদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৭৮ দশমিক ৭৮ শতাংশের বয়সই ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে।
শুক্রবার সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ তথ্য জানানো হয়। সাইবার অপরাধ সম্বন্ধে জনসাধারণকে সচেতন করার লক্ষ্যে অক্টোবর মাসব্যাপী সচেতনতা কর্মসূচি গ্রহণ করার কথা জানানো হয়।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির শফিকুল কবির মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন আয়োজক সংগঠন সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন (সিসিএএফ) এর উপদেষ্টা ইঞ্জনিয়ার সৈয়দ জাহিদ হোসেন, রবি অজিয়াটার সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার আবুল হাসনাত মোহাম্মদ শফিউল্লাহ,বাংলাদেশ লিগাল এইড এন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) এর তাপসী রাবেয়া, সিসিএএফ এর সভাপতি কাজী মুস্তাফিজ প্রমূখ।
আয়োজকরা জানান, বৈশ্বিক কর্মসূচির সঙ্গে মিল রেখে ‘সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা মাস অক্টোবর’এর প্রতিপাদা বা থিম নির্ধারণ করা হয়েছে, সাইবার সচেতন হোন, নিরাপদ থাকুন'। সাইবার সুরক্ষার জন্য চারটি বিষয়কে বিষয় সচেতন হওয়ার আহবান জানানো হয়েছে।
কঠিন পাসওয়ার্ড ব্যবহার, আইডিতে বহুজরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাবহার, নিয়মিত সফটওয়্যার আপডেট করা এবং অনলাইন স্ক্যাম চিহ্নিত করা এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো। সচেতনতার জন্যে মাসব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ক্যাম্পেইন, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে সভা/সেমিনার, কর্মশালা, অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতা, বিষয়ভিত্তিক আলোচনা অনুষ্ঠান, গণমাধ্যমে প্রচার জোরদারে অ্যাডভোকেসি, ইত্যাদি।
সভায় জানানো হয়, দেশের নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র ও ফোন কলসহ ব্যক্তিগত গোপনীয় তথ্য অর্থের বিনিময়ে হস্তান্তরের তথ্য পেয়েছে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি)। চলতি বছরের ২৮ এপ্রিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে লেখা এক চিঠিতে এনটিএমসি জানিয়েছে, ২১টি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ, ৪৮টি টেলিগ্রাম এবং ৭২০টি ফেসবুক গ্রুপ ও পেইজ যাদের ৩২ লাখ সদস্য ও ফলোয়ার রয়েছে এমন সব গ্রুপে ব্যক্তিগত তথ্য বিক্রি করা হয়েছে।
পুলিশের সাইবার অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সাইবার পুলিশ সেন্টারের (সি.পি.সি.) তথ্য অনুযায়ী সেখানে ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের ২৬ আগস্ট পর্যন্ত অভিযোগ করেছে ১ লাখ ৭৪ হাজার ৮৩০ জন ভুক্তভোগী। এর মধ্যে অনুসন্ধানের জন্য গ্রহণ করা হয়েছে ২৭৮৯, তার মধ্যে মামলা রেকর্ড হয়েছে ৪০টি মাত্র। অর্থাৎ অনেক ঘটনা পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণের অভাবে বাদ পড়ে যায়, যেখানে ভুক্তভোগীর অসচেতনতাও অন্যতম কারণ।
সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনের (২০২৪) উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, সাইবার হামলার শিকার ভুক্তভোগীদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৭৮ দশমিক ৭৮ শতাংশের বয়সই ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। এছাড়াও আক্রান্তদের প্রায় ৫৯ শতাংশই নারী। অপরাধের ধরনের মধ্যে ২১ দশমিক ৬৫ শতাংশ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অনলাইনে অ্যাকাউন্ট বেদখলের (হ্যাকিং) শিকার হয়ে শীর্ষে রয়েছে। আর বিগত পাঁচ বছরের মধ্যে ২০২৩ সালে দেশে সাইবারজগতে স্পর্ণোগ্রাফি' অপরাধ বৃদ্ধির প্রবণতা বেড়েছে। ভুক্তভোগীদের ১১ দশমিক ৩৫ শতাংশ আক্রান্ত হয়েছেন পর্ণোগ্রাফিতে।
একইভাবে অপরাধের বহুমাত্রিকতাও যুক্ত হচ্ছে, যার প্রভাবে প্রতিবেদনে অন্যান্য' ধরনের অপরাধ বেড়েছে আশঙ্কাজনক হারে। এই হারটা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৮৫ শতাংশে। এক বছরে এই হার বেড়েছে প্রায় দ্বিগুন। ভুক্তভোগীদের মধ্যে ৪৭ দশমিক ৭২ শতাংশ সামাজিক মর্যাদাহানী, ৪০ দশমিক ১৫ শতাংশ আর্থিক ক্ষতির শিকার, এবং প্রায় সবাই মানসিক যন্ত্রণায় কাতর ছিলেন। এদের মধ্যে মাত্র ১২ শতাংশ আইনের আশ্রয় নিয়েছেন।
তাদের মধ্যে ৮১.২৫ শতাংশ সাধারণ ডায়রি এবং ১৮.৭৫ শতাংশ লিখিত অভিযোগ করেছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অভিযোগকারীদের মধ্যে মাত্র ১২.৫০ মন্তব্য করেননি। সন্তুষ্ট নন ৮৭.৫০ শতাংশ। এসব প্রতারণায় আক্রান্তদের বেশিরভাগই শিক্ষিত। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সর্বোচ্চ ৪০ দশমিক ৯০ শতাংশ ভুক্তভোগী উচ্চ মাধ্যমিক পাস, ২১ দশমিক ২১ শতাংশ স্নাতক/সম্মান পাস, ১৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ মাধ্যমিক পাস এবং ১২ দশমিক ৮৭শতাংশ মাধ্যমিকের নিচে।
বক্তারা বলেন, সাইবার হামলা, ডাটা চুরি, র্যানসমওয়্যার, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) অপব্যবহার করে ভুয়া তথা প্রচার এবং অনলাইন প্রতারণার মতো ঝুঁকিগুলো রাষ্ট্র ও জনগণের নিরাপত্তা হুমকির মুখে ফেলছে। বাংলাদেশও ডিজিটাল রূপান্তরের যুগে প্রবেশ করেছে। অনলাইন সেবার বিস্তৃতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সাইবার ঝুঁকি। দেশের ব্যাংকিং ও আর্থিক যাতে একাধিক সাইবার হামলা, সরকারি ওয়েবসাইট হ্যাক হওয়া বা নাগরিকদের বাক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ার মতো ঘটনাগুলো প্রমাণ করে যে সাইবার নিরাপত্তা এখন জাতীয় নিরাপত্তার অংশ।
এই প্রেক্ষাপটে দশম সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা মাস (অক্টোবর ২০২৫) বাংলাদেশের জন্য বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। বিশ্বব্যাপী যেভাবে অক্টোবরকে সাইবার নিরূপত্তা সচেতনতা মাস' হিসেবে পালন করা হয়, বাংলাদেশেও একই সময়ে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচি ২০১৬ সাল থেকে আয়োজন করে আসছে সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন। এই উদ্যোগের মাধ্যমে স্কুল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।
বিশ্বব্যাপী কর্মসূচির সঙ্গে তাল মিলিয়ে অক্টোবর মাসে দেশের স্কুল-কলেজ থেকে শুরু করে কর্মক্ষেত্র পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানে ব্যবহারকারীদের ডিজিটাল নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতামূলক কর্মসূচি বাস্তবায়নে আমরা সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানানো হয়েছে। পাশাপাশি পরিবার পর্যায়ে শিশু ও কিশোরদের অনলাইন আচরণ ও ঝুঁকি সম্পর্কে অভিভাবকদেরও জানানো জরুরি।
সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন মনে করে, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সমন্বয়ে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন জোরদার করে গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও জনপ্রিয় অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে অক্টোবর মাসজুড়ে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া গেলে তা ব্যবহারকারীদের সুরক্ষায় অনেক বেশি কার্যকর হবে। আর তাই অক্টোবরকে জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা মাস' হিসেবে ঘোষণা করতে সরকারের প্রতি এবারও আহ্বান জানিয়েছে সিসিএএফ।
সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন (সিসিএএফ) এর জরিপের তথ্য অনুযায়ী সাইবার হামলায় আক্রান্তদের প্রায় ৫৯ শতাংশ নারী। ভূক্তভোগীদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৭৮ দশমিক ৭৮ শতাংশের বয়সই ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে।
শুক্রবার সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ তথ্য জানানো হয়। সাইবার অপরাধ সম্বন্ধে জনসাধারণকে সচেতন করার লক্ষ্যে অক্টোবর মাসব্যাপী সচেতনতা কর্মসূচি গ্রহণ করার কথা জানানো হয়।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির শফিকুল কবির মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন আয়োজক সংগঠন সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন (সিসিএএফ) এর উপদেষ্টা ইঞ্জনিয়ার সৈয়দ জাহিদ হোসেন, রবি অজিয়াটার সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার আবুল হাসনাত মোহাম্মদ শফিউল্লাহ,বাংলাদেশ লিগাল এইড এন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) এর তাপসী রাবেয়া, সিসিএএফ এর সভাপতি কাজী মুস্তাফিজ প্রমূখ।
আয়োজকরা জানান, বৈশ্বিক কর্মসূচির সঙ্গে মিল রেখে ‘সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা মাস অক্টোবর’এর প্রতিপাদা বা থিম নির্ধারণ করা হয়েছে, সাইবার সচেতন হোন, নিরাপদ থাকুন'। সাইবার সুরক্ষার জন্য চারটি বিষয়কে বিষয় সচেতন হওয়ার আহবান জানানো হয়েছে।
কঠিন পাসওয়ার্ড ব্যবহার, আইডিতে বহুজরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাবহার, নিয়মিত সফটওয়্যার আপডেট করা এবং অনলাইন স্ক্যাম চিহ্নিত করা এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো। সচেতনতার জন্যে মাসব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ক্যাম্পেইন, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে সভা/সেমিনার, কর্মশালা, অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতা, বিষয়ভিত্তিক আলোচনা অনুষ্ঠান, গণমাধ্যমে প্রচার জোরদারে অ্যাডভোকেসি, ইত্যাদি।
সভায় জানানো হয়, দেশের নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র ও ফোন কলসহ ব্যক্তিগত গোপনীয় তথ্য অর্থের বিনিময়ে হস্তান্তরের তথ্য পেয়েছে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি)। চলতি বছরের ২৮ এপ্রিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে লেখা এক চিঠিতে এনটিএমসি জানিয়েছে, ২১টি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ, ৪৮টি টেলিগ্রাম এবং ৭২০টি ফেসবুক গ্রুপ ও পেইজ যাদের ৩২ লাখ সদস্য ও ফলোয়ার রয়েছে এমন সব গ্রুপে ব্যক্তিগত তথ্য বিক্রি করা হয়েছে।
পুলিশের সাইবার অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সাইবার পুলিশ সেন্টারের (সি.পি.সি.) তথ্য অনুযায়ী সেখানে ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের ২৬ আগস্ট পর্যন্ত অভিযোগ করেছে ১ লাখ ৭৪ হাজার ৮৩০ জন ভুক্তভোগী। এর মধ্যে অনুসন্ধানের জন্য গ্রহণ করা হয়েছে ২৭৮৯, তার মধ্যে মামলা রেকর্ড হয়েছে ৪০টি মাত্র। অর্থাৎ অনেক ঘটনা পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণের অভাবে বাদ পড়ে যায়, যেখানে ভুক্তভোগীর অসচেতনতাও অন্যতম কারণ।
সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনের (২০২৪) উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, সাইবার হামলার শিকার ভুক্তভোগীদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৭৮ দশমিক ৭৮ শতাংশের বয়সই ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। এছাড়াও আক্রান্তদের প্রায় ৫৯ শতাংশই নারী। অপরাধের ধরনের মধ্যে ২১ দশমিক ৬৫ শতাংশ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অনলাইনে অ্যাকাউন্ট বেদখলের (হ্যাকিং) শিকার হয়ে শীর্ষে রয়েছে। আর বিগত পাঁচ বছরের মধ্যে ২০২৩ সালে দেশে সাইবারজগতে স্পর্ণোগ্রাফি' অপরাধ বৃদ্ধির প্রবণতা বেড়েছে। ভুক্তভোগীদের ১১ দশমিক ৩৫ শতাংশ আক্রান্ত হয়েছেন পর্ণোগ্রাফিতে।
একইভাবে অপরাধের বহুমাত্রিকতাও যুক্ত হচ্ছে, যার প্রভাবে প্রতিবেদনে অন্যান্য' ধরনের অপরাধ বেড়েছে আশঙ্কাজনক হারে। এই হারটা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৮৫ শতাংশে। এক বছরে এই হার বেড়েছে প্রায় দ্বিগুন। ভুক্তভোগীদের মধ্যে ৪৭ দশমিক ৭২ শতাংশ সামাজিক মর্যাদাহানী, ৪০ দশমিক ১৫ শতাংশ আর্থিক ক্ষতির শিকার, এবং প্রায় সবাই মানসিক যন্ত্রণায় কাতর ছিলেন। এদের মধ্যে মাত্র ১২ শতাংশ আইনের আশ্রয় নিয়েছেন।
তাদের মধ্যে ৮১.২৫ শতাংশ সাধারণ ডায়রি এবং ১৮.৭৫ শতাংশ লিখিত অভিযোগ করেছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অভিযোগকারীদের মধ্যে মাত্র ১২.৫০ মন্তব্য করেননি। সন্তুষ্ট নন ৮৭.৫০ শতাংশ। এসব প্রতারণায় আক্রান্তদের বেশিরভাগই শিক্ষিত। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সর্বোচ্চ ৪০ দশমিক ৯০ শতাংশ ভুক্তভোগী উচ্চ মাধ্যমিক পাস, ২১ দশমিক ২১ শতাংশ স্নাতক/সম্মান পাস, ১৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ মাধ্যমিক পাস এবং ১২ দশমিক ৮৭শতাংশ মাধ্যমিকের নিচে।
বক্তারা বলেন, সাইবার হামলা, ডাটা চুরি, র্যানসমওয়্যার, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) অপব্যবহার করে ভুয়া তথা প্রচার এবং অনলাইন প্রতারণার মতো ঝুঁকিগুলো রাষ্ট্র ও জনগণের নিরাপত্তা হুমকির মুখে ফেলছে। বাংলাদেশও ডিজিটাল রূপান্তরের যুগে প্রবেশ করেছে। অনলাইন সেবার বিস্তৃতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সাইবার ঝুঁকি। দেশের ব্যাংকিং ও আর্থিক যাতে একাধিক সাইবার হামলা, সরকারি ওয়েবসাইট হ্যাক হওয়া বা নাগরিকদের বাক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ার মতো ঘটনাগুলো প্রমাণ করে যে সাইবার নিরাপত্তা এখন জাতীয় নিরাপত্তার অংশ।
এই প্রেক্ষাপটে দশম সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা মাস (অক্টোবর ২০২৫) বাংলাদেশের জন্য বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। বিশ্বব্যাপী যেভাবে অক্টোবরকে সাইবার নিরূপত্তা সচেতনতা মাস' হিসেবে পালন করা হয়, বাংলাদেশেও একই সময়ে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচি ২০১৬ সাল থেকে আয়োজন করে আসছে সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন। এই উদ্যোগের মাধ্যমে স্কুল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।
বিশ্বব্যাপী কর্মসূচির সঙ্গে তাল মিলিয়ে অক্টোবর মাসে দেশের স্কুল-কলেজ থেকে শুরু করে কর্মক্ষেত্র পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানে ব্যবহারকারীদের ডিজিটাল নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতামূলক কর্মসূচি বাস্তবায়নে আমরা সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানানো হয়েছে। পাশাপাশি পরিবার পর্যায়ে শিশু ও কিশোরদের অনলাইন আচরণ ও ঝুঁকি সম্পর্কে অভিভাবকদেরও জানানো জরুরি।
সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন মনে করে, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সমন্বয়ে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন জোরদার করে গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও জনপ্রিয় অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে অক্টোবর মাসজুড়ে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া গেলে তা ব্যবহারকারীদের সুরক্ষায় অনেক বেশি কার্যকর হবে। আর তাই অক্টোবরকে জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা মাস' হিসেবে ঘোষণা করতে সরকারের প্রতি এবারও আহ্বান জানিয়েছে সিসিএএফ।
রাজধানীতে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে দুই ক্ষুদ্র কাপড় ব্যবসায়ী ঢামেক হাসপাতাল ভর্তি হয়েছেন। তাদেরকে অচেতন অবস্থায় তাদের উদ্ধার করা হয়। আহতরা হলেন, নরসিংদীর মাদবদী এলাকার ক্ষুদ্র কাপড় ব্যাবসায়ী মো: সজল (৩০), ও আলামিন(২৭)।
৫ ঘণ্টা আগেরাজধানীর শাহজাহানপুর এলাকা থেকে এক অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার নাম পরিচয় জানা যায়নি। তবে অজ্ঞাতনামা পুরুষের বয়স আনুমানিক ৬০ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
৫ ঘণ্টা আগেনাগরিকদের কাছে সরকারি সেবা পৌঁছে দিতে রাজধানীতে নতুন তিনটি নাগরিক সেবাকেন্দ্রের যাত্রা শুরু হয়েছে। বুধবার প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেমেট্রোরেলের কোনো স্টেশনে গিয়ে কার্ড স্ক্যান করে ভেতরে ঢোকার পর যাত্রা না করে বেরিয়ে গেলে ১০০ টাকা ভাড়া কাটবে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। এর আগে কেউ কার্ড স্ক্যান করে স্টেশনের ভেতরে যাওয়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যে বেরিয়ে গেলে তাকে কোনো ভাড়া দিতে হতো না। নতুন নিয়মে সেই সুযোগ থাকছে না।
৯ ঘণ্টা আগে