ঢাকা কলেজের ছাত্রাবাসে মরা মুরগি ও পচা মাছ জব্দ, আটক ২

ঢাকা কলেজ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০০: ৪২

ঢাকা কলেজের ছাত্রাবাসের ডাইনিংয়ে পচা মাছ ও মরা মুরগির মাংস দিয়ে রান্নার সময় হাতেনাতে ধরা পড়েছেন ডাইনিং ম্যানেজার ও রাঁধুনি। পরে শিক্ষার্থীরা জব্দকৃত মাংস ও মাছসহ তাদের নিউমার্কেট থানায় সোপর্দ করেন।

মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা কলেজের দক্ষিণ ছাত্রাবাসে এই ঘটনা ঘটে।

বিজ্ঞাপন

আবাসিক শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, গত এক সপ্তাহ ধরে তাদের মরা মুরগির মাংস খাওয়ানো হচ্ছিল। খাওয়ার সময় মাংস থেকে দুর্গন্ধ আসলেও কর্মচারীরা বিষয়টি এড়িয়ে যেতেন। এমনকি, তারা ভালো মাংসের সাথে পচা মাংস মিশিয়ে রান্না করতেন, যাতে কেউ বুঝতে না পারে। বেশ কিছুদিন ধরে বিষয়টি নজরে রাখার পর মঙ্গলবার বিকেলে শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে অভিযুক্ত ম্যানেজার ও রাঁধুনিকে পচা মাছ ও মরা মুরগির মাংসসহ ধরে ফেলেন। শিক্ষার্থীরা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কলেজ প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন।

দক্ষিণ ছাত্রাবাসের আবাসিক শিক্ষার্থী তামিম জানান, “প্রায় এক সপ্তাহ আগে খাওয়ার সময় মাংসে তীব্র দুর্গন্ধ পাই। কর্মচারীদের জিজ্ঞাসা করলে তারা বলেন, ধোয়ার সময় এই গন্ধ হয়। আমি বিষয়টি খেয়াল করি এবং দেখি যে গন্ধ এতটাই তীব্র যে কারও বমি চলে আসতে পারে।”

তিনি আরও বলেন, “জীবিত মুরগি জবাই করলে শরীর থেকে ৭০-৮০ শতাংশ রক্ত বের হয়ে যায়। কিন্তু মরা মুরগিতে তা হয় না। আমরা মাংসের টুকরোগুলোতে রক্ত জমাট বাঁধা অবস্থায় দেখতে পাই, যা থেকে আমরা নিশ্চিত হই যে আমাদের পচা-মরা মাংস খাওয়ানো হচ্ছে। কয়েকদিন পর্যবেক্ষণে আজ বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর আমি ও আমার বন্ধুরা মিলে অভিযুক্ত ম্যানেজারকে হাতেনাতে ধরি।"

এ বিষয়ে দক্ষিণ ছাত্রাবাসের প্রভোস্ট আনোয়ার মাহমুদ বলেন, “শিক্ষার্থীরা ডাইনিং ম্যানেজারের বিরুদ্ধে কয়েকবার অভিযোগ করেছিল। আমি তাদের ম্যানেজারকে পর্যবেক্ষণে রাখতে বলেছিলাম। বিকেলে শিক্ষার্থীরা তাকে মরা মুরগির মাংস ও পচা মাছসহ ধরেছে। বিষয়টি জানার পর আমরা পুলিশকে খবর দিই। পুলিশ জানিয়েছে, জব্দকৃত মাছ ও মাংস পরীক্ষা করে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।”

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত