পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক
স্টাফ রিপোর্টার
পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের কম্পিউটার অপারেটরদের গ্রেড বৈষম্য দূরে হাইকোর্টে রায় হলেও তা বাস্তবায়নে গড়িমসি করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘদিনের আন্দোলন ও আইনি লড়াইয়ের পর ২০২৩ সালের ১ নভেম্বর কম্পিউটার অপারেটরদের পক্ষে রায় দেয় আদালত। আদালত তাদের ১১তম গ্রেডে উন্নীত করার নির্দেশ দেন এবং সেসঙ্গে তিন বছর পর পদোন্নতি ও বকেয়া সার্ভিস বেনিফিট প্রদানের নির্দেশনা প্রদান করেন। এছাড়া, রায় কার্যকর করার জন্য দুই মাসের সময়সীমা নির্ধারণ করে দেয়া হয়।
অভিযোগ রয়েছে, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের বর্তমান কর্তৃপক্ষ আদালতের রায় কার্যকর না করে পূর্বের বৈষম্যমূলক নীতিই বজায় রেখেছে। উল্টো আদালতের রায়ে বেআইনি ঘোষিত ১২তম গ্রেডের জুনিয়র অফিসার (মাঠ) পদের কর্মকর্তাদের বিভিন্ন সুবিধা প্রদান করছে। এর ফলে কম্পিউটার অপারেটরদের মাঝে ব্যাপক অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।
২০১০ সালে ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের আওতায় পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু হয়। যা ২০১৬ সালে একটি স্থায়ী ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়। শুরুতে ১৩তম গ্রেডে কম্পিউটার অপারেটর কাম হিসাব সহকারী নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু পরবর্তীতে কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ১৪ ও ১৬তম গ্রেডের মাঠ সংগঠক ও ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদের ১২তম গ্রেডে উন্নীত করা হয়, যা সম্পূর্ণ বেআইনি ছিল। এর ফলে ১৩তম গ্রেডের কম্পিউটার অপারেটররা পিছিয়ে পড়ে এবং পেশাগত জীবনে চরম বৈষম্যের শিকার হন।
বৈষম্যের বিরুদ্ধে একাধিকবার স্মারকলিপি ও আবেদন করা হলেও কর্তৃপক্ষ বরাবরই তা উপেক্ষা করেছে। শেষ পর্যন্ত কম্পিউটার অপারেটররা ২০১৭ সালে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানির পর আদালত তাদের পক্ষে রায় দেন এবং বেআইনিভাবে ১২তম গ্রেডে উন্নীত হওয়া কর্মকর্তাদের পদোন্নতি বাতিল ঘোষণা করেন।
হাইকোর্টের স্পষ্ট নির্দেশনার পরও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের বর্তমান কর্তৃপক্ষ রায় বাস্তবায়নে টালবাহানা করছে। চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি রায়ের কপি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে পৌঁছালেও এখন পর্যন্ত তা কার্যকর হয়নি। বরং বেআইনিভাবে ১২তম গ্রেড পাওয়া জুনিয়র অফিসার (মাঠ) পদধারীদের প্রশিক্ষণ, শাখা ব্যবস্থাপকের দায়িত্বসহ অন্যান্য সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। অথচ হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী, কম্পিউটার অপারেটরদেরই এসব সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার কথা।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কম্পিউটার অপারেটর অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা আদালতের রায় পেয়েছি। কিন্তু তা কার্যকর না করে কর্তৃপক্ষ উল্টো বেআইনি পদোন্নতিপ্রাপ্তদেরই সুযোগ সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে। এতে আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষিত হচ্ছে এবং আমাদের প্রতি বৈষম্য অব্যাহত রয়েছে।’
হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়ন না হওয়ায় ক্ষুব্ধ কম্পিউটার অপারেটররা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার পরিকল্পনা করছেন। আইন অনুযায়ী, আপিল বিভাগের রায় না আসা পর্যন্ত হাইকোর্টের রায় কার্যকর থাকার কথা, কিন্তু কর্তৃপক্ষ তা মানছে না।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মহলের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগীরা, যাতে আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা যায়।
পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের কম্পিউটার অপারেটরদের গ্রেড বৈষম্য দূরে হাইকোর্টে রায় হলেও তা বাস্তবায়নে গড়িমসি করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘদিনের আন্দোলন ও আইনি লড়াইয়ের পর ২০২৩ সালের ১ নভেম্বর কম্পিউটার অপারেটরদের পক্ষে রায় দেয় আদালত। আদালত তাদের ১১তম গ্রেডে উন্নীত করার নির্দেশ দেন এবং সেসঙ্গে তিন বছর পর পদোন্নতি ও বকেয়া সার্ভিস বেনিফিট প্রদানের নির্দেশনা প্রদান করেন। এছাড়া, রায় কার্যকর করার জন্য দুই মাসের সময়সীমা নির্ধারণ করে দেয়া হয়।
অভিযোগ রয়েছে, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের বর্তমান কর্তৃপক্ষ আদালতের রায় কার্যকর না করে পূর্বের বৈষম্যমূলক নীতিই বজায় রেখেছে। উল্টো আদালতের রায়ে বেআইনি ঘোষিত ১২তম গ্রেডের জুনিয়র অফিসার (মাঠ) পদের কর্মকর্তাদের বিভিন্ন সুবিধা প্রদান করছে। এর ফলে কম্পিউটার অপারেটরদের মাঝে ব্যাপক অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।
২০১০ সালে ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের আওতায় পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু হয়। যা ২০১৬ সালে একটি স্থায়ী ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়। শুরুতে ১৩তম গ্রেডে কম্পিউটার অপারেটর কাম হিসাব সহকারী নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু পরবর্তীতে কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ১৪ ও ১৬তম গ্রেডের মাঠ সংগঠক ও ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদের ১২তম গ্রেডে উন্নীত করা হয়, যা সম্পূর্ণ বেআইনি ছিল। এর ফলে ১৩তম গ্রেডের কম্পিউটার অপারেটররা পিছিয়ে পড়ে এবং পেশাগত জীবনে চরম বৈষম্যের শিকার হন।
বৈষম্যের বিরুদ্ধে একাধিকবার স্মারকলিপি ও আবেদন করা হলেও কর্তৃপক্ষ বরাবরই তা উপেক্ষা করেছে। শেষ পর্যন্ত কম্পিউটার অপারেটররা ২০১৭ সালে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানির পর আদালত তাদের পক্ষে রায় দেন এবং বেআইনিভাবে ১২তম গ্রেডে উন্নীত হওয়া কর্মকর্তাদের পদোন্নতি বাতিল ঘোষণা করেন।
হাইকোর্টের স্পষ্ট নির্দেশনার পরও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের বর্তমান কর্তৃপক্ষ রায় বাস্তবায়নে টালবাহানা করছে। চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি রায়ের কপি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে পৌঁছালেও এখন পর্যন্ত তা কার্যকর হয়নি। বরং বেআইনিভাবে ১২তম গ্রেড পাওয়া জুনিয়র অফিসার (মাঠ) পদধারীদের প্রশিক্ষণ, শাখা ব্যবস্থাপকের দায়িত্বসহ অন্যান্য সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। অথচ হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী, কম্পিউটার অপারেটরদেরই এসব সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার কথা।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কম্পিউটার অপারেটর অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা আদালতের রায় পেয়েছি। কিন্তু তা কার্যকর না করে কর্তৃপক্ষ উল্টো বেআইনি পদোন্নতিপ্রাপ্তদেরই সুযোগ সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে। এতে আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষিত হচ্ছে এবং আমাদের প্রতি বৈষম্য অব্যাহত রয়েছে।’
হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়ন না হওয়ায় ক্ষুব্ধ কম্পিউটার অপারেটররা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার পরিকল্পনা করছেন। আইন অনুযায়ী, আপিল বিভাগের রায় না আসা পর্যন্ত হাইকোর্টের রায় কার্যকর থাকার কথা, কিন্তু কর্তৃপক্ষ তা মানছে না।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মহলের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগীরা, যাতে আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা যায়।
এদিন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল চেয়ে বদিউল মজুমদারের আইনজীবী তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে দিয়ে ১৪তম জাতীয় নির্বাচন থেকে তা কার্যকর চেয়ে আপিল বিভাগে শুনানি শেষ করেন। এ সময় তিনি আপিল বিভাগকে বলেন, হাইকোর্ট থেকে আপিল বিভাগ পর্যন্ত মোট ১২ জন বিচারপতি এ মামলাটি শুনেছেন।...
১ ঘণ্টা আগেআইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া জানান, “ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের যে বিধান সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তার একটি ৫৮’র সি ধারা, যেখানে বলা আছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা গঠিত হবে সংসদ ভেঙে দেয়ার পনের দিনের মধ্যে। অর্থাৎ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে হলে এটা শুধুমাত্র সংসদ ভেঙে ..
৩ ঘণ্টা আগেগত অগাস্টে নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি প্রবীধানমালা-২০২৪ সংশোধন করে ম্যানেজিং কমিটি এবং গভর্নিং বডির সভাপতি পদে শুধু সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য সংরক্ষণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল অন্তবর্তীকালীন সরকার।
৩ ঘণ্টা আগেজুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার আসামি পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন নিজের অপরাধ গোপন করে অন্যের ঘাড়ে বন্দুক রেখে বাঁচার জন্য অ্যাপ্রুভার হয়েছেন।
৬ ঘণ্টা আগে