সাবেক সচিব মিহির কান্তিসহ ১৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৬: ৪৫

উদ্দীপনের ক্ষুদ্র ঋণবিধি লঙ্ঘন করে দুর্নীতির অভিযোগ থাকা সাবেক সচিব ও এনজিও উদ্দীপনের চেয়ারম্যান মিহির কান্তি দাসসহ ১৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এন আইডি) ব্লকের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের পৃথক দুই আবেদনের প্রেক্ষিতে এসব আদেশ দেন।

দুদকের পক্ষে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মুহা: শোয়াইব ইবনে আলম এসব আবেদন করেন।

নিষেধাজ্ঞা প্রাপ্তরা অপর ব্যক্তিরা হলেন, উদ্দীপনের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জাকিয়া কে হাসান, সাবেক কোষাধ্যক্ষ ড. মো. গোলাম আহাদ, সাবেক সদস্য মো. মাহবুবুর রহমান, মো. নজরুল ইসলাম খান, নাহিদ সুলতান, ভবতোষ নাথ, ড. আবু জামিল ফয়সাল, শওকত হোসেন, রেজা সেলিম মো. তৈয়বুল হক, রেহানা বেগম, ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক ও সিইও এবং মেম্বার সেক্রেটারি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও নির্বাহী পরিচালক বিদ্যুৎ কুমার বসু।

দুদকের পৃথক আবেদনে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা ও অপরাধজনক বিশ্বাসভসের মাধ্যমে জাল-জালিয়াতির আশ্রয়ে নিয়ে অলাভজনক করে এমআরএ আইন ও বিধি লঙ্ঘনপূর্বক উদ্দীপনের ক্ষুদ্রঋণ তহবিল থেকে বিনিয়োগ বা খরচ হিসেবে অর্থ প্রদান করে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। জালিয়াতির সম্পৃক্ততায় দুইটি মামলা দুদকের তদন্তাধীন রয়েছে।

বিশ্বস্তসূত্রে জানা যায় যে, আসামিরা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে পারেন। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামিদের বিদেশগমন রহিতকরণ ও এনআইডি ব্লক করা একান্ত প্রয়োজন।

উল্লেখ্য, গত ২৮ এপ্রিল মিহির কান্তিসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে দুদক ৬টি মামলা করেছেন।

মিহির কান্তি মজুমদার ২০১১ থেকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সেখান থাকা অবস্থায় ২০১৩ সালের ১৩ মে অবসর গ্রহণ করেন তিনি। এরপর ২০১৪ সালের ১২ সেপ্টেম্বর পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের প্রথম চেয়ারম্যান হিসেবে যোগবদান করেন মিহির কান্তি।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত