স্টাফ রিপোর্টার
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এসিল্যান্ড অফিসে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের রাজস্ব (ভূমি উন্নয়ন কর) আদায় কমে গিয়ে প্রায় অর্ধেকে নেমেছে। এতে করে সরকারে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এ নিয়ে এসিল্যান্ড অফিসে ঢাকা জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে একাধিকবার চিঠি দিয়েও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। রাজস্ব আদায়ের এ ঘাটতির জন্য কেরানীগঞ্জ রাজস্ব সার্কেল (দক্ষিণ) সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিরুদ্ধে দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ উঠেছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, বর্তমানে দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী কমিশনার (ভূমি) শেখ আব্দুল্লা আল মামুন যোগদানের পর থেকে নতুন নামজারি আবেদন নিষ্পত্তি সীমা পেরিয়ে গেলেও তা মঞ্জুর হয় ধীরগতিতে। সরকারি খাজনা বা রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে নামজারি মঞ্জুরের এ ধীরগতিকে দায়ী করছেন অনেকে। এছাড়া নামজারি আবেদন মঞ্জুরের পর ডিসিআর ফি পরিশোধ করা হলেও রেজিস্টার-১ ও রেজিস্টার-২ বহিতে কয়েক হাজার নামজারি জমা খারিজের রেকর্ড সংশোধন না হওয়ায় রাজস্ব আদায় ব্যাহত হচ্ছে বলে জানান ভূমি অফিসের একাধিক কর্মকর্তা ও সেবা গ্রহিতারা।
পূর্ব বাঘৈর মৌজার সাড়ে সাত শতাংশ জমি (আবেদন নম্বর- ১২১৯১) নামজারি করতে অনলাইন আবেদনের পর দলিল সহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ফটোকপি জমা দেন অবিনাস চন্দ্র রক্ষিত। আবেদন নিষ্পত্তি করতে শুনানির তারিখের হাজিরা দেন নামজারি সহকারী কাছে। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর তাকে জানানো হয় তার জমাকৃত ফাইলটি খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এজন্য নামজারিটি বাতিল হতে পারে। তাকে নতুন করে কাগজপত্র জমা দিতে বলেন নামজারি সহকারী মো. খোরশেদ আলম।
কোরবানির ঈদের আগে স্ত্রী নয়ন তারা'র নামে নামজারি আবেদন জমা দেন মো. বাবুল মিয়া। এ নিয়ে তিনি আক্ষেপ করে বলেন, মূল কাগজ পত্র নিয়ে দফায় দফায় এসিল্যান্ড অফিসে ঘুরেও আমার স্ত্রীর নামে শুভাঢ্যা মৌজার ৮ শতাংশ জমির নামজারি করতে পারিনি। এখন এসিল্যান্ড অফিস থেকে নতুন করে আবেদন করতে বলছেন। এসব যার দেখভাল করার কথা সেই অফিসারই নামজারি নিয়ে দায়িত্ব অবহেলা করেন।
তিনি অভিযোগ করে আরো বলেন, জমির নামজারি সম্পন্ন হলে এটি বিক্রি করে ছেলেকে ইটালি পাঠাতে চেয়ে ছিলাম। ছেলের বিদেশ যাওয়ার প্রক্রিয়াও সব ঠিকঠাক। এখন নামজারি ও খাজনা পরিশোধ করতে না পারায় জমি বিক্রি করতে পারছি না। তাই ছেলেকে বিদেশেও পাঠাতে পারছি না।
দক্ষিণ পানগাঁও থেকে আসা শ্রী সম্পদ সিদ্দার অভিযোগ করে বলেন, গত বছরের নভেম্বর মাসে (ভিপি কেস-৮২/৭৫) ১শ ৭ শতাংশ জমির লিজ নবায়ন মানি পরিশোধের আবেদন করি। এসিল্যান্ড অফিসে দীর্ঘ আট মাসে ৮/১০বার ঘুরেও খাজনা পরিশোধ করতে পারছি না। কবে পরিশোধ করতে পারবো তাও জানতে পারছি না। আমরা সরকারকে টাকা দিতে চাই কিন্তু কেন দিতে পারছি না, উল্টো এমন প্রশ্ন করেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শুভাঢ্যা ভূমি অফিসের এক কর্মকর্তা বলেন, এসিল্যান্ড স্যারের নির্দেশনা মতেই ভূমি অফিসের সব কাজকর্ম চলে। আমরা উনার নির্দেশনা মতে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের লক্ষ্যে এলাকায় মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করেছি। পাশাপাশি কর আদায়ে ভূমিসেবা সপ্তাহ পালন করেছি।
রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮ কোটি ৬ লাখ ৬০ হাজার ৯শ ৭৫ টাকা। এ পর্যন্ত আদায় হয়েছে ৫ কোটি ১৭ লাখ ৮৩ হাজার ২ শ ৫৯ টাকা। এ বছর মোট ভূমি উন্নয়ন করের ৬৪ শতাংশ ওপরে রাজস্ব আদায় হয়েছে।
এ নিয়ে কেরানীগঞ্জ রাজস্ব সার্কেল (দক্ষিণ) সহকারী কমিশনার (ভূমি) শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এখানে খাজনা নিয়ে কোন সমস্যা হচ্ছে না। খাজনা দিতে উদ্বুদ্ধ করতে সবাইকে জানাচ্ছি। মানুষ এখন নিজেরাই খাজনা দেন। আমরা মানুষকে খাজনা পরিশোধ করতে আহ্বান জানাচ্ছি।
এদিকে রাজস্ব আদায়ে ঘাটতির বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকার জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আব্দুর রফিউল আলম ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন।
এ নিয়ে ঢাকা জেলা প্রশাসক তানভির আহমেদের মুঠোফোনে কল করেও যোগাযোগ করা যায়নি।
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এসিল্যান্ড অফিসে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের রাজস্ব (ভূমি উন্নয়ন কর) আদায় কমে গিয়ে প্রায় অর্ধেকে নেমেছে। এতে করে সরকারে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এ নিয়ে এসিল্যান্ড অফিসে ঢাকা জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে একাধিকবার চিঠি দিয়েও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। রাজস্ব আদায়ের এ ঘাটতির জন্য কেরানীগঞ্জ রাজস্ব সার্কেল (দক্ষিণ) সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিরুদ্ধে দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ উঠেছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, বর্তমানে দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী কমিশনার (ভূমি) শেখ আব্দুল্লা আল মামুন যোগদানের পর থেকে নতুন নামজারি আবেদন নিষ্পত্তি সীমা পেরিয়ে গেলেও তা মঞ্জুর হয় ধীরগতিতে। সরকারি খাজনা বা রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে নামজারি মঞ্জুরের এ ধীরগতিকে দায়ী করছেন অনেকে। এছাড়া নামজারি আবেদন মঞ্জুরের পর ডিসিআর ফি পরিশোধ করা হলেও রেজিস্টার-১ ও রেজিস্টার-২ বহিতে কয়েক হাজার নামজারি জমা খারিজের রেকর্ড সংশোধন না হওয়ায় রাজস্ব আদায় ব্যাহত হচ্ছে বলে জানান ভূমি অফিসের একাধিক কর্মকর্তা ও সেবা গ্রহিতারা।
পূর্ব বাঘৈর মৌজার সাড়ে সাত শতাংশ জমি (আবেদন নম্বর- ১২১৯১) নামজারি করতে অনলাইন আবেদনের পর দলিল সহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ফটোকপি জমা দেন অবিনাস চন্দ্র রক্ষিত। আবেদন নিষ্পত্তি করতে শুনানির তারিখের হাজিরা দেন নামজারি সহকারী কাছে। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর তাকে জানানো হয় তার জমাকৃত ফাইলটি খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এজন্য নামজারিটি বাতিল হতে পারে। তাকে নতুন করে কাগজপত্র জমা দিতে বলেন নামজারি সহকারী মো. খোরশেদ আলম।
কোরবানির ঈদের আগে স্ত্রী নয়ন তারা'র নামে নামজারি আবেদন জমা দেন মো. বাবুল মিয়া। এ নিয়ে তিনি আক্ষেপ করে বলেন, মূল কাগজ পত্র নিয়ে দফায় দফায় এসিল্যান্ড অফিসে ঘুরেও আমার স্ত্রীর নামে শুভাঢ্যা মৌজার ৮ শতাংশ জমির নামজারি করতে পারিনি। এখন এসিল্যান্ড অফিস থেকে নতুন করে আবেদন করতে বলছেন। এসব যার দেখভাল করার কথা সেই অফিসারই নামজারি নিয়ে দায়িত্ব অবহেলা করেন।
তিনি অভিযোগ করে আরো বলেন, জমির নামজারি সম্পন্ন হলে এটি বিক্রি করে ছেলেকে ইটালি পাঠাতে চেয়ে ছিলাম। ছেলের বিদেশ যাওয়ার প্রক্রিয়াও সব ঠিকঠাক। এখন নামজারি ও খাজনা পরিশোধ করতে না পারায় জমি বিক্রি করতে পারছি না। তাই ছেলেকে বিদেশেও পাঠাতে পারছি না।
দক্ষিণ পানগাঁও থেকে আসা শ্রী সম্পদ সিদ্দার অভিযোগ করে বলেন, গত বছরের নভেম্বর মাসে (ভিপি কেস-৮২/৭৫) ১শ ৭ শতাংশ জমির লিজ নবায়ন মানি পরিশোধের আবেদন করি। এসিল্যান্ড অফিসে দীর্ঘ আট মাসে ৮/১০বার ঘুরেও খাজনা পরিশোধ করতে পারছি না। কবে পরিশোধ করতে পারবো তাও জানতে পারছি না। আমরা সরকারকে টাকা দিতে চাই কিন্তু কেন দিতে পারছি না, উল্টো এমন প্রশ্ন করেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শুভাঢ্যা ভূমি অফিসের এক কর্মকর্তা বলেন, এসিল্যান্ড স্যারের নির্দেশনা মতেই ভূমি অফিসের সব কাজকর্ম চলে। আমরা উনার নির্দেশনা মতে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের লক্ষ্যে এলাকায় মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করেছি। পাশাপাশি কর আদায়ে ভূমিসেবা সপ্তাহ পালন করেছি।
রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮ কোটি ৬ লাখ ৬০ হাজার ৯শ ৭৫ টাকা। এ পর্যন্ত আদায় হয়েছে ৫ কোটি ১৭ লাখ ৮৩ হাজার ২ শ ৫৯ টাকা। এ বছর মোট ভূমি উন্নয়ন করের ৬৪ শতাংশ ওপরে রাজস্ব আদায় হয়েছে।
এ নিয়ে কেরানীগঞ্জ রাজস্ব সার্কেল (দক্ষিণ) সহকারী কমিশনার (ভূমি) শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এখানে খাজনা নিয়ে কোন সমস্যা হচ্ছে না। খাজনা দিতে উদ্বুদ্ধ করতে সবাইকে জানাচ্ছি। মানুষ এখন নিজেরাই খাজনা দেন। আমরা মানুষকে খাজনা পরিশোধ করতে আহ্বান জানাচ্ছি।
এদিকে রাজস্ব আদায়ে ঘাটতির বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকার জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আব্দুর রফিউল আলম ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন।
এ নিয়ে ঢাকা জেলা প্রশাসক তানভির আহমেদের মুঠোফোনে কল করেও যোগাযোগ করা যায়নি।
দীর্ঘ বছর গুমের শিকার ব্যারিস্টার মীর আহমেদ বিন কাশেম আরমান বলেছেন, সেনানিবাসের ভেতরে যে সাবজেল রয়েছে সেখানে জেল কোড ফলো হচ্ছে কিনা, যাদের রাখা হয়েছে তারা কি কোনোভাবে সার্ভিং সেনা সদস্যের সঙ্গে যোগাযোগ করছে কিনা, এটি নিশ্চিত করা খুবই জরুরি।
৫ মিনিট আগেমানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিনটি মামলায় সাবেক ও বর্তমান ২৫ সেনা কর্মকর্তাসহ ৩২ আসামির বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার দিন ধার্য ছিল। তার মধ্যে আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলে টিএফআই-জেআইসি সেলে গুম-খুন ও জুলাই-আগস্টে
২৫ মিনিট আগেসেনা কর্মকর্তারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন।
১ ঘণ্টা আগেআওয়ামী লীগের বিগত সাড়ে ১৫ বছরের বিভিন্ন সময় গুমের শিকার ভুক্তভোগীরা বৈষম্যহীন ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেছেন। তারা বলেন, অভিযুক্ত সেনা অফিসাররা আইন অনুযায়ী জেলে ডিভিশন পেতে পারে।
১ ঘণ্টা আগে