২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার সঙ্গে জড়িত প্রত্যেককেই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। কেউ পার পেয়ে যাবেন, কাউকে ইনডেমনিটি (দায়মুক্তি) দেওয়া হবে, কিংবা কেউ পালিয়ে থেকে রক্ষা পাবেন- এ ধরনের দুরাশা করে কোনো লাভ নেই।
সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ন্যায়বিচার সবসময় নিজস্ব গতিতে এগোয়। আইন নিরপেক্ষভাবে কাজ করে। কেউ অপরাধ করে পার পেয়ে যাবেন- এমন বিশ্বাসের কোনো সুযোগ বাংলাদেশে থাকবে না। এতদিন যারা বিচার বিলম্ব নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, তাদের জন্য এটি একটি স্পষ্ট জবাব।
চিফ প্রসিকিউটর আরো বলেন, তদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় সময় ইতোমধ্যে অতিক্রান্ত হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে আসার পর একের পর এক আনুষ্ঠানিক চার্জ দাখিল করা হচ্ছে। বিচার কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং বেশ কয়েকটি মামলা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। জাতির প্রত্যাশা ছিল- এই নিকৃষ্টতম হত্যাকারীদের, মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনকারীদের বিচার যেন বাংলাদেশেই হয়। সে পথে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সঠিকভাবে এগোচ্ছে। আশা করছি, মানুষের প্রত্যাশিত সময়ের মধ্যেই এই বিচারকাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।

