মিথ্যা ও সাজানো মামলায় ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করায় মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী ও স্বজনরা। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন করেন চৌদ্দগ্রামের চাঁন্দিশকরা এলাকার বাসিন্দারা।
এসময় তারা বলেন, ‘গ্রেফতারকৃত চৌদ্দগ্রামের চান্দিশকরা এলাকার বাসিন্দা মো. ইসহাক দুলাল একজন সমাজসেবক এবং ব্যবসায়ী। তাকে মিথ্যা আওয়ামী লীগের নেতা বানিয়ে সাজানো মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। উনি কখনো রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন না। তিনি একজন ভালো মানুষ ছিলেন। ইসহাক দুলালের নামে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদসহ মুক্তির দাবি জানাই’।
মানববন্ধনে এলাকাবাসী বলেন, মো. ইসহাক দুলাল চাঁন্দিশকরা দোতলা মসজিদ এবং চাঁন্দিশ করা তালিমুল কুরআন মাদ্রাসার সভাপতি ছিলেন। সেই সাথে তিনি মাদ্রাসায়ে হোসাইনিয়া দারুল উলুম চৌদ্দগ্রাম মাদ্রাসার সহ-সভাপতি ও আজীবন দাতা সদস্য হিসেবেও ছিলেন। উনি গতবছরের ১৬ সেপ্টেম্বর বন্যায় আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের সেবামূলক কার্যক্রমে প্রতিনিধিত্ব করেন।
ইসহাক দুলালের ছোট ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন (অবসরপ্রাপ্ত) এম এ কুদ্দুস বলেন, আমার বড় ভাই ইসহাক দুলাল কখনো কোনও রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত ছিল না। তিনি সবসময় মানুষের সেবায় কাজ করে গেছেন। তার বিরুদ্ধে এই মিথ্যা মামলা অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে এবং তাকে নিঃস্বার্থ মুক্তি দিতে হবে।
মো. ইসহাক দুলালের জামাতা সালাউদ্দিন খন্দকার বলেন, গতবছরের ২২ ডিসেম্বর শাহজাদপুর থানায় মামলা নম্বর ১১(১০)২৪ দিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করে উনাকে (ইছহাক দুলাল) বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু, মামলার এজাহারে লেখা হয়েছে তাকে মিন্টু রোড থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু, উনি আদৌ কোনও রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত ছিলেন না।
মানববন্ধনে ইসহাক দুলালের ছেলে মো. ইমরান হোসেন বলেন, সৈয়দ হাসান মাহমুদ নামে যে ব্যক্তি মামলা দায়ের করেছেন, তিনি আমার বাবাকে চেনেন না। আমরাও তাকে চিনি না। আমরা তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন কোনও বড় ব্যবসায়ী আমার বাবার নামে মামলা করার জন্য বলেছে। একজন প্রভাবশালী ব্যবসায়ী দ্বন্দ্বের কারণে এ নামটি দিয়েছে।
মানববন্ধনে এসময় মাদ্রাসায়ে হোসাইনিয়া দারুল উলুম চৌদ্দগ্রাম মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্ররাসহ চাঁন্দিশকরা এলাকার বাসিন্দারা উপস্থিত ছিলেন।

