সাবেক প্রতিমন্ত্রী তাজুলসহ ১৭ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৮ মে ২০২৫, ২০: ০৬

পতিত শেখ হাসিনা সরকারের সাবেক মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন এবিএম তাজুল ইসলামসহ ১৭ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত।

বিজ্ঞাপন

রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের পৃথক আবেদনে এ আদেশ দেন।

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিষেধাজ্ঞা প্রাপ্ত অন্যরা হলেন, প্রিমিয়ার ব্যাংকের মহাখালী শাখার সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রানা আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ আবসার, টিএনজি গ্রুপের চেয়ারম্যান শাহিদা হোসেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহাদাৎ হোসেন শামীম, ম্যাক্সিম এক্সপো অ্যাপারেল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শফিকুর রহমান, অলিম্পিক ফ্যাশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. গোলাম কিবরিয়া, পরিচালক মো. গোলাম মাওলা মজুমদার, রেদওয়ান বিন কিবরিয়া, রিফাত বিন কিবরিয়া, টিআরজেড গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালক হারুন অর রশীদ, নাসিমা রশীদ, খান টেক্স ফ্যাশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ হোসেন খান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবীর সেলিম, পরিচালক লুবনা কবীর সেলিম, পরিচালক, সিফাত হোসেন খান, ডুকাটি অ্যাপারেল লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. ফিরোজ আহমেদ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. খায়ের মিয়া।

এদিন তাজুল ইসলামের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন দুদকের সহকারী পরিচালক হাবিবুর রহমান। আবেদনে বলা হয়, তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিপুল অর্থ অবৈধভাবে মালিক হওয়ার অভিযোগের অনুসন্ধান করছে দুদক। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বিচারিক প্রক্রিয়া এড়াতে যে কোনো সময় দেশত্যাগ করার সম্ভাবনা রয়েছে। সুষ্ঠু অঅনুসন্ধানের স্বার্থে তার বিদেশ গমনের সুযোগ রহিত করা প্রয়োজন।

এছাড়া দুদকের সহকারী পরিচালক বিলকিস আক্তার প্রিমিয়ার ব্যাংকের ১৬ জনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়েছে, প্রিমিয়ার ব্যাংকের মহাখালী শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক রানা আব্দুল্লাহ আল আবসার ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে ঘুষ গ্রহণসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ৭টি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ঋণের নামে ৪৭৮ কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ বিষয়ে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করেছে দুদক। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দেশ ত্যাগ করার চেষ্টা করছেন। এসব ব্যক্তিরা বিদেশে পালিয়ে গেলে তাদের জ্ঞাত আয়বর্হিভূত অর্থ পুনরুদ্ধার করা দুরূহ হয়ে পরবে। তারা যাতে দেশ ত্যাগ করতে না পারে সেজন্য বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা আবশ্যক।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত