মদিনা পোল্ট্রি ফিডের বিরুদ্ধে আমদানিকারকের জিডি

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ : ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪: ৫৪

পাওনা টাকা চাওয়ায় মুরগীর খাদ্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান আইএসটি ট্রেডিংয়ের ম্যানেজার জসিম উদ্দিনকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন মদিনা পোল্ট্রি ফিডের মালিক জহিরুল ইসলাম ও তার সহযোগী ডিপো ম্যানেজার মনির। এ ঘটনায় প্রাণ সংশয় দেখা দেয়ায় চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেছেন ভুক্তভোগী জসিম উদ্দিন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলছেন, মুঠোফোনে তাকে দেয়া হুমকির ফোন রেকর্ডও রয়েছে তার হাতে। যেটি প্রতিবেদককেও পাঠিয়েছেন তিনি। ওই রেকর্ডে মদিনা পোল্ট্রি ফিডের মালিকের সহযোগী ও ম্যানেজার মনির ভুক্তভোগী জসিম উদ্দিনকে উদ্দেশ্য করেন বলেন, “তুই আমার সাবেক (স্যারকে) চিনছ না, তোর আইন দিয়ে যদি আমার কিছু করতে পারো কর। তোর মতো কত মাস্তান রাস্তায় ফেলে দিতে পারি। আমার স্যারকে চিনস, তিনি এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেনের পার্টনার।

জিডিতে উল্লেখিত তথ্য পর্যালোচনা করে জানা গেছে, বিদেশ থেকে পোল্ট্রি মুরগির খাবারসহ অন্যান্য উপাদান আমদানি করে আইএসটি ট্রেডিং কর্পোরেশন। অন্যদিকে আইএসটি ট্রেডিং থেকে মালামাল ক্রয় করে নিয়ে ব্যবসা করে আসছে মেসার্স মদিনা ট্রেডিং কর্পোরেশন। গেল বছরের ১০ নভেম্বর মদিনা পোল্ট্রি ফিড ব্যবসায়ীক সম্পর্ক থাকার সুবাদে স্বাভাবিকভাবেই আইএসটি ট্রেডিং কোম্পানির কাছ থেকে এক হাজার টন পোল্ট্রি খাদ্য ক্রয় করে। যার বাজার মূল্য ১১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। ওই মালামাল নিয়ে সীতাকুন্ড মডেল থানাধীন সলিমপুর ইউনিয়নস্থ পাইলন গুদাম, ভাটিয়ারী ওভারব্রিজের পাশে সবুজ গুদাম, ভাটিয়ারী কদমরসুলস্ত সার কার্পেট, ভাটিয়ারী বিএম ডিপোর পাশে কাশেম গুদাম এবং ভাটিয়ারী শহীদ মিনারের পূর্বদিকে ইট ভাটার ভেতরে গোয়ালীনি গুদামে গুদামজাত করে।

যদিও এখন পর্যন্ত সেসব মালামালের কোনো মূল্যই পরিশোধ করেন মদিনা পোাল্টি ফিড। বরং মালামাল নেয়ার পর থেকেই টাকা চাইলেই মদিনা ট্রেডিংয়ের চট্টগ্রাম অঞ্চলের দায়িত্বে থাকা ডিপো ম্যানেজার মনির বিভিন্ন রকমের হুমকি, ধমকি ও ভয়ভীতি দেখান।

মদিনা ট্রেডিংয়ের ম্যানেজার মনির বলেন, আমি কিছুই জানি না। আমিতো কোম্পানির মালিক না, এখানে চাকরি করি। হুমকির বিষয়ে জানতে চাইলে মনির বলেন, এ বিষয়ে আমি কথা বলতে পারবো না। অভিযোগের বিষয়েও আমি কিছুই বলতে পারবো না। ওখানে, চট্টগ্রামের যে ইনচার্জ আছেন, আপনি তার সঙ্গে কথা বলেন।

এসময় তিনি জানান, তিনি এখন বেনাপোলে দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমান জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) ফেরদৌসের মুঠোফোন নম্বরে ফোন করে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার নাম ফেরদৌস। কিন্তু আমি কোনো ফিড কোম্পানিতে চাকরি করি না। আমি গার্মেন্টস সেক্টরে কাজ করি। বাড়িও চট্টগ্রামের বাঁশখালী এলাকায়। যদিও পাসপোর্টে তার গ্রাম লক্ষ্মীপুর সদরে উল্লেখ রয়েছে।

এদিকে মদিনা পোল্ট্রি ফিডের কাগুজে মালিক জহিরুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তার মুঠোফোন নাম্বার ও হোয়াটসঅ্যাপে ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়েও মেলেনি কোনো উত্তর।

তবে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলছে, প্রতিষ্ঠানটির কাগুজে মালিক জহিরুল ইসলাম হলেও প্রকৃত মালিক আড়ালে থাকা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া।

ভুক্তভোগী প্রতিষ্ঠান আইএসটি ট্রেডিংয়ের কর্মকর্তারা অভিযোগ করে বলছেন, এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন মদিনা পোল্ট্রি ফিডের পরোক্ষভাবে মালিকানায় থাকলেও প্রাতিষ্ঠানিক সকল কাজেই প্রভাব রাখেন তিনি।

সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মজিবুর রহমান ঘটনা সম্পর্কে মনেই পড়ছে না বলে জানান।

বিষয়:

জিডি

মাওলানা মুহিবুল্লাহ মাদানি নিখোঁজ, সন্দেহের তীর ইসকনের দিকে

সাবেক চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন তালুকদারের মৃত্যুতে লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের শোক

রাবাদার রেকর্ডে স্বস্তিতে প্রোটিয়ারা

যুক্তরাষ্ট্রের রাস্তায় ট্রাম্প-বিরোধী বিক্ষোভ নিয়ে খামেনির উপহাস

হোয়াইট হাউসে বলরুম নিয়ে রহস্য, নির্মাণে টাকা দিচ্ছে কারা

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত