আমার দেশ জনপ্রিয় বাংলা নিউজ পেপার

চকলেট খেতে বাধা দেয়ায় পুলিশকে ধমকালেন কামরুল

স্টাফ রিপোর্টার
চকলেট খেতে বাধা দেয়ায় পুলিশকে ধমকালেন কামরুল
আদালত প্রাঙ্গণে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। ছবি : সংগৃহীত

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানির জন্য ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করা হয় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামকে। এ সময় চকলেট খেতে বাধা দেয়ায় পুলিশকে ধমক দেন তিনি।

বুধবার সকালে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুয়েল রানার আদালত তার গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।

বিজ্ঞাপন

এর আগে গত ২৩ অক্টোবর এ মামলায় কামরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক মো. মাহফুজুর রহমান। ওই দিন আদালত তার উপস্থিতিতে শুনানির জন্য আজকের (বুধবার) দিন ধার্য করেন।

আবেদনে বলা হয়, আসামি কামরুল ইসলাম এই মামলার ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত রয়েছেন। মামলাটি সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ঘটনার বিষয়ে ব্যাপক ও নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদ করলে ঘটনার ইন্ধনদাতা ও মদতদাতাদের সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহসহ জড়িত অপরাপর পলাতক আসামিদের শনাক্তের জন্য তাকে এই মামলায় গ্রেপ্তার করা একান্ত প্রয়োজন।

এদিন সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটের দিকে ঢাকার সিএমএম আদালতের হাজতখানা থেকে পুলিশের কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও মাথায় হেলমেট পরিয়ে এজলাসে ওঠানো হয় কামরুলকে। এরপর তাকে কাঠগড়ায় তোলা হয়। এ সময় তার আইনজীবী মোর্শেদ হোসেন শাহীন তাকে একটি চকলেট খেতে দেন।

কাঠগড়ার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশ সদস্যরা তাকে চকলেট খেতে বাধা দেন। আসামিকে কেন চকলেট খেতে দিলেন, সে জন্য পুলিশ সদস্যরা আইনজীবীকে নিষেধ করেন।

এ সময় কামরুল ইসলাম ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশ সদস্যদের ওপর মেজাজ হারিয়ে বলেন, ‘বেয়াদব কোথাকার। বেয়াদব কোথাকার। আমার ডায়াবেটিস, একটি চকলেট দিয়েছে তার জন্য বাধা প্রদান করতে হবে? বেয়াদব, আমার ডায়াবেটিস।’

এ সময় কামরুল ইসলাম চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকেন। পরে পুলিশ সদস্যরা আসামির পাশে থাকা ওই আইনজীবীকে সরিয়ে দেন।

কিছুক্ষণ পরে বিচারক এজলাসে ওঠেন। এরপর এই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন বিচারক। তখন আসামিপক্ষের আইনজীবী বলেন, ‘কী মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হলো, মামলার অভিযোগ কী? এটা আমাদের জানা দরকার।’

এ সময় ওই আইনজীবী বিচারকের কাছে চকলেট ও পানি খাওয়ানোর অনুমতি চান। তখন বিচারক বলেন, ‘আইন অনুযায়ী পুলিশ তাকে খাওয়ানোর ব্যবস্থা নেবে।’ এরপর তাকে আবারও বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, মাথায় হেলমেট পরিয়ে হাজতখানায় নেয়া হয়।

মামলায় অভিযোগ, জুলাই আন্দোলনে চলাকালে ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতা বাংলামোটর ফুটওভার ব্রিজের মোড়ে অবস্থান করছিল। এ সময় আসামিদের ছোড়া গুলিতে ভিকটিমের বাম পা গুলিবিদ্ধ হয়। এ ঘটনায় সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলামের নাম উল্লেখসহ ৬৯ জনের নামে মামলা করেন ভুক্তভোগী।

Google News Icon

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন