কামাল মজুমদারের ছেলে শাহেদ ৫ দিনের রিমান্ডে

আমার দেশ অনলাইন
প্রকাশ : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭: ৪৮

সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদারের ছেলে শাহেদ আহমেদ মজুমদারকে গুলশানের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে দেওয়া হয়েছে। ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম জিয়াদুর রহমান এ আদেশ দেন।

শনিবার গুলশান এলাকা থেকে শাহেদ আহমেদ মজুমদারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

বিজ্ঞাপন

রোববার গুলশান থানার এসআই আব্দুস সালাম তাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন।

তিনি বলেন, এই আসামি গত ১২ সেপ্টেম্বর গুলশানের মতো অভিজাত এলাকায় গাড়ি ভাংচুর করেন, সরকারবিরোধী স্লোগান দেন। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে তারা হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম গ্রুপ খোলেন। এ আসামি ওই গ্রুপে সম্পৃক্ত বলে তদন্তে পাওয়া গেছে। সামনে নির্বাচন, তাদের পলাতক নেত্রী ভারতে বসে উসকানি দিচ্ছেন। এরা সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন।

শাহেদ আহমেদের পক্ষে মো. শাহাবুদ্দিন শেখ রিমান্ড বাতিল করে জামিন আবেদন করেন। তিনি বলেন, এজাহারে এ আসামির নাম ছিল না। কথিত আওয়ামী লীগের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক বা সংশ্লিষ্টতা নেই। তার বাবা আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে সম্পৃক্ত, তিনি জেলে আছেন।

এ আইনজীবী বলেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি অর্থের সহায়তাকারী। এটা বায়বীর বক্তব্য। কোন মাধ্যমে, কীভাবে, কখন অর্থ দিয়েছে, তদন্ত কর্মকর্তা দেখাতে পারেননি। এ মামলায় আগে যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন, তারাও কিছু বলেননি। আসামি ওই গ্রুপে সংশ্লিষ্ট ছিল, এমন কোনো তথ্য তদন্ত কর্মকর্তা উপস্থাপন করতে পারেননি।

তখন আদালত তদন্ত কর্মকর্তার কাছে জানতে চান, মোবাইল জব্দ করেছেন? তদন্ত কর্মকর্তা বলেন,'হ্যাঁ।'আদালত বলেন, আসামির সামাজিক যোগাযোগাযোগ মাধ্যমের কোনো গ্রুপে জড়িত থাকার মতো কিছু পেয়েছেন? তখন পেয়েছেন দাবি করে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য মোবাইল ফোন ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।

তখন বিচারক বলেন, প্রাথমিকভাবে কিছু নিয়ে আসবেন না! এত গাফিলতি করলে কীভাবে হবে। এভাবে চিন্তা করলেন যে, আসামি কোর্টে নিয়ে আসবেন, আর রিমান্ড হয়ে যাবে। এভাবে চিন্তা করলে হবে না। সতর্ক থাকবেন।

মামলার বিবরণ অনুযায়ী, গত ১২ সেপ্টেম্বর দুপুরে গুলশানের ফজলে রাব্বী পার্কের পাশে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ব্যানার হাতে উসকানিমূলক স্লোগান দেন। এসময় তারা গাড়ি ভাংচুরের চেষ্টা করে জনমনে ভীতির সঞ্চার করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনে পালানোর চেষ্টাকালে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার এবং তাদের মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

এসব ফোনে ব্যবহৃত মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম গ্রুপে আসামিরা রাষ্ট্রকে ‘অস্থিতিশীল ও রাষ্ট্রের অবকাঠামোকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে’ নিজেরা সংগঠিত হওয়ার জন্য বিভিন্ন প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে বলে পুলিশ দেখতে পেয়েছে। মামলায় বাদী হয়েছেন গুলশান থানার এসআই মাহাবুব হোসাইন।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত