
স্টাফ রিপোর্টার

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আজ। এ জন্য সোমবার সকালেই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে এসেছেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধর ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি সাদিক কায়েম, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদী এবং গণঅভ্যুত্থানে হতাহতসহ অনেকে।
বহুল প্রত্যাশিত হাসিনার গণহত্যার রায়ে অপেক্ষায় রয়েছে গোটা জাতি। রায় শোনার জন্য বাংলাদেশসহ বিশ্ববাসীর নজর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দিকে। গণহত্যার দায়ে সরকারের সর্বোচ্চ পদধারী ব্যক্তির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশের ইতিহাসে এটিই হবে প্রথম বিচারের রায়।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুন্যাল-১-এর বিচারক বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল রায় ঘোষণা করবে। এই ট্রাইব্যুনালের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। রেজিস্ট্রার অফিস জানিয়েছে, আজ ট্রাইব্যুনাল-১ সকাল ১১টায় বসবে।
মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার তদন্ত প্রতিবেদনের মূল অভিযোগ হচ্ছে, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে আন্দোলন চলাকালে হাসিনা বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক এবং পদ্ধতিগত দমনপীড়ন চালানোর সরাসরি নির্দেশ দিয়েছিলেন যা গণহত্যা, খুন এবং ভয়াবহ নির্যাতনের শামিল।
প্রতিবেদনে প্রধান যে অভিযোগ আনা হয় সেগুলো হলো সরাসরি আদেশ অর্থাৎ শেখ হাসিনা রাষ্ট্রের সব বাহিনী, তার দল আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনগুলো বিশেষ করে ছাত্রলীগ-যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সশস্ত্র ক্যাডারদের বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরাসরি নির্দেশ দেন। গণহত্যা ও নির্যাতন হাসিনার নির্দেশের ফলে দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত এবং ২৫ হাজারের বেশি আহত, অঙ্গহানি এবং নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছে।
আজ রায় হতে যাওয়া মামলায় শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের দায়, ষড়যন্ত্র, উসকানি, গণহত্যা, পরিকল্পনাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ গঠন করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এসব অভিযোগে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে জুলাই-আগস্টে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চালানো গুলিতে প্রায় দেড় হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়। আহত করা হয় প্রায় ২৫ হাজার মানুষকে। অনেকেই স্থায়ীভাবে পঙ্গু হয়ে গেছেন, চোখ হারিয়েছেন অনেকেই।
তাদের বিরুদ্ধে আনা প্রথম অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ১৪ জুলাই সংবাদ সম্মেলনে হাসিনা ব্যাপক উসকানিমূলক বক্তব্য দেন। ওই বক্তব্যে তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ন্যায্য দাবিতে ডাকা আন্দোলনকারীদের রাজাকারের বাচ্চা, রাজাকারের নাতি-পুতি বলে উল্লেখ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ তৎকালীন সরকারের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ‘প্ররোচনা, সহায়তা ও সম্পৃক্ততায়’ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও সশস্ত্র আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ব্যাপক মাত্রায় ও পদ্ধতিগতভাবে নিরীহ নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার উপর আক্রমণ করে তাদের হতাহত করে।
দ্বিতীয় অভিযোগটি হলো হাসিনা হেলিকপ্টার, ড্রোন ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের ‘হত্যা করে নির্মূলের নির্দেশ’ দিয়েছেন । যেটি বাস্তবায়ন করেছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ।
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় তৃতীয় অভিযোগটি আনা হয়। চার নম্বর অভিযোগ হলো আসামিদের নির্দেশে পাঁচ আগস্ট রাজধানীর চাঁনখারপুল এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক আন্দোলনকারী ছয় জনকে গুলি করে হত্যা করা। এতে বলা হয়েছে হত্যার নির্দেশ, প্ররোচনা, উসকানি, সহায়তা, ষড়যন্ত্র ও সম্পৃক্ততার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন শেখ হাসিনাসহ তিন আসামি।
৫ আগস্ট এক দফা বাস্তবায়নের দাবিতে ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিতে আসার সময় আশুলিয়ায় ছাত্রদের গুলি করে হত্যা করে লাশ পুড়িয়ে দেওয়া হয়, যার মাঝে একজন জীবন্তও ছিল। এ ঘটনার নির্দেশদাতা হিসেবে শেখ হাসিনাসহ তিন আসামি মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আজ। এ জন্য সোমবার সকালেই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে এসেছেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধর ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি সাদিক কায়েম, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদী এবং গণঅভ্যুত্থানে হতাহতসহ অনেকে।
বহুল প্রত্যাশিত হাসিনার গণহত্যার রায়ে অপেক্ষায় রয়েছে গোটা জাতি। রায় শোনার জন্য বাংলাদেশসহ বিশ্ববাসীর নজর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দিকে। গণহত্যার দায়ে সরকারের সর্বোচ্চ পদধারী ব্যক্তির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশের ইতিহাসে এটিই হবে প্রথম বিচারের রায়।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুন্যাল-১-এর বিচারক বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল রায় ঘোষণা করবে। এই ট্রাইব্যুনালের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। রেজিস্ট্রার অফিস জানিয়েছে, আজ ট্রাইব্যুনাল-১ সকাল ১১টায় বসবে।
মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার তদন্ত প্রতিবেদনের মূল অভিযোগ হচ্ছে, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে আন্দোলন চলাকালে হাসিনা বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক এবং পদ্ধতিগত দমনপীড়ন চালানোর সরাসরি নির্দেশ দিয়েছিলেন যা গণহত্যা, খুন এবং ভয়াবহ নির্যাতনের শামিল।
প্রতিবেদনে প্রধান যে অভিযোগ আনা হয় সেগুলো হলো সরাসরি আদেশ অর্থাৎ শেখ হাসিনা রাষ্ট্রের সব বাহিনী, তার দল আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনগুলো বিশেষ করে ছাত্রলীগ-যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সশস্ত্র ক্যাডারদের বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরাসরি নির্দেশ দেন। গণহত্যা ও নির্যাতন হাসিনার নির্দেশের ফলে দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত এবং ২৫ হাজারের বেশি আহত, অঙ্গহানি এবং নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছে।
আজ রায় হতে যাওয়া মামলায় শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের দায়, ষড়যন্ত্র, উসকানি, গণহত্যা, পরিকল্পনাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ গঠন করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এসব অভিযোগে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে জুলাই-আগস্টে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চালানো গুলিতে প্রায় দেড় হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়। আহত করা হয় প্রায় ২৫ হাজার মানুষকে। অনেকেই স্থায়ীভাবে পঙ্গু হয়ে গেছেন, চোখ হারিয়েছেন অনেকেই।
তাদের বিরুদ্ধে আনা প্রথম অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ১৪ জুলাই সংবাদ সম্মেলনে হাসিনা ব্যাপক উসকানিমূলক বক্তব্য দেন। ওই বক্তব্যে তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ন্যায্য দাবিতে ডাকা আন্দোলনকারীদের রাজাকারের বাচ্চা, রাজাকারের নাতি-পুতি বলে উল্লেখ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ তৎকালীন সরকারের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ‘প্ররোচনা, সহায়তা ও সম্পৃক্ততায়’ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও সশস্ত্র আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ব্যাপক মাত্রায় ও পদ্ধতিগতভাবে নিরীহ নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার উপর আক্রমণ করে তাদের হতাহত করে।
দ্বিতীয় অভিযোগটি হলো হাসিনা হেলিকপ্টার, ড্রোন ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের ‘হত্যা করে নির্মূলের নির্দেশ’ দিয়েছেন । যেটি বাস্তবায়ন করেছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ।
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় তৃতীয় অভিযোগটি আনা হয়। চার নম্বর অভিযোগ হলো আসামিদের নির্দেশে পাঁচ আগস্ট রাজধানীর চাঁনখারপুল এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক আন্দোলনকারী ছয় জনকে গুলি করে হত্যা করা। এতে বলা হয়েছে হত্যার নির্দেশ, প্ররোচনা, উসকানি, সহায়তা, ষড়যন্ত্র ও সম্পৃক্ততার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন শেখ হাসিনাসহ তিন আসামি।
৫ আগস্ট এক দফা বাস্তবায়নের দাবিতে ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিতে আসার সময় আশুলিয়ায় ছাত্রদের গুলি করে হত্যা করে লাশ পুড়িয়ে দেওয়া হয়, যার মাঝে একজন জীবন্তও ছিল। এ ঘটনার নির্দেশদাতা হিসেবে শেখ হাসিনাসহ তিন আসামি মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা মামলার রায় আজ ঘোষণা হচ্ছে।
৭ মিনিট আগে
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা মামলার রায় আজ ঘোষণা হচ্ছে।
২৮ মিনিট আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ মাহামুদুর রহমান সৈকতের বোন সাবরিনা আফরোজ সেবন্তী বলেছেন, আমরা শুধু এই রায়েই চুপ থাকতে চাই না। আমাদের দাবি, তাকে (শেখ হাসিনা) দেশে এনে জনসম্মুখে ফাঁসি দেওয়া হোক। কারণ, সে যা করেছে, আমার ভাইকে এবং বাকি অনেক মায়ের বুক খালি করেছে, তাদের সন্তানদের হত্যা করেছে।
৩৭ মিনিট আগে
আজ সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রবেশের আগে সাংবাদিকদের কাছে তারা এসব কথা বলেন। তারা বলেছেন, আদেশ দিয়ে ক্ষান্ত হলেই চলবে না, তাদের দৃশ্যমান বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
১ ঘণ্টা আগে