সাইদুর রহমান রুমী
বিচার বিভাগ সংস্কারের অংশ হিসেবে গঠন করা হয়েছে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পে কমিশন। এটি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়েও শুরু হয়েছে আলোচনা। ইতোমধ্যে একটি কমিটিও তৈরি করা হয়েছে। এই কমিটি একটি মতবিনিময় সভা করলেও আশাবাদী হতে পারেননি এই বিভাগে কর্মরত ২০ সহস্রাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী। তাদের বাদ দিয়ে শুধু বিচারকদের বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর বিষয়ে নানা উদ্যোগ চলমান আছে।
১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ঐতিহাসিক মাসদার হোসেন মামলায় ১২ দফা নির্দেশনাসহ রায় দেয়। ওই রায় অনুযায়ী ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা হয় বিচার বিভাগ। এরপর শুধু বিচারকদের জন্য ৬টি গ্রেড রেখে পৃথক পে-স্কেলসহ নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়। সে সময় আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওই পে-স্কেলের আওতাভুক্ত করা হয়নি। এতে তারা জনপ্রশাসনের সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারী হিসেবেই আছেন।
এদিকে জুডিশিয়াল সার্ভিস পে-কমিশনের প্রথম সভা গত ২৯ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের কনফারেন্স রুমে আপিল বিভাগের বিচারপতি এস. এম. এমদাদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কমিশনের কর্মপদ্ধতি নির্ধারণ এবং জুডিশিয়াল সার্ভিসের সদস্যদের বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা নির্ধারণ বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ওই কমিশন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, প্রধান বিচারপতি ও অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবে।
এছাড়া ৯ অক্টোবর কমিশন জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন, আইন মন্ত্রণালয়, আইন কমিশন ও বিচার প্রশাসন ইনস্টিটিউশনের সঙ্গে বিচারকদের বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা নির্ধারণ বিষয়ে মতবিনিময় করবে বলে জানা গেছে। কিন্তু এখনো সহায়ক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ওই আলোচনার বাইরে। মামলার নথি প্রস্তুত করা থেকে শুরু করে রায় প্রচার নিশ্চিত করা পর্যন্ত সব ধাপে অধস্তন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবদান অপরিহার্য। কিন্তু তারা জুডিশিয়াল সার্ভিস স্কেল অনুযায়ী কোনো সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন না।
হয়রানির ভয়ে নাম প্রকাশ না করে নিম্নআদালতের কয়েকজন কর্মচারী বলেন, ডিসেম্বরে অধস্তন আদালতে অবকাশকালীন ছুটি থাকে। এতে জেলা জজ আদালতের (অবকাশকালীন জজ ব্যতীত) বিচারকরা ছুটিতে থাকলেও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কার্যক্রম চালিয়ে যান। অবকাশকালীন জজ দায়িত্ব পালন করে মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ অবকাশকালীন ভাতা পেলেও তার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কোনো ভাতা পান না।
তারা আরো বলেন, অবকাশকালীন ছুটিতে অধস্তন আদালতের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এবং উভয়ের অধীনস্ত আদালতগুলো যথারীতি খোলা থাকে। যার কারণে ম্যাজিস্ট্রেটরা ডিসেম্বরে দায়িত্ব পালনের জন্য ওই মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ অবকাশকালীন ভাতা পান ও ছুটি ভোগ করতে পারেন। অথচ, কর্মচারীরা একই সঙ্গে দায়িত্ব পালন করার পরও কোনো ভাতা, ছুটি কিংবা কোনো রকম সুবিধা পান না। অপরদিকে চৌকি আদালতে কর্মরত বিচারকরা মূল বেতনের ১৫ শতাংশ চৌকি ভাতা পান। কিন্তু কর্মচারীরা একই চৌকি আদালতে দায়িত্ব পালন করার পরও কোনো ভাতা পান না। এটা স্পষ্ট বৈষম্য।
এছাড়া অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালে বিচারক ব্যতীত আর কোনো প্রথম শ্রেণির পদ নেই। দ্বিতীয় শ্রেণির পদও নগণ্য। সব জেলা জজশিপে উপজেলাভিত্তিক আদালত থাকা সত্ত্বেও মাত্র একটি করে দ্বিতীয় শ্রেণির (প্রশাসনিক কর্মকর্তা) পদ আছে।
অন্যান্য দপ্তরে প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে পদোন্নতির জন্য যেখানে ৫ থেকে ৭ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতায় পদোন্নতির সুযোগ আছে। সেখানে অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সহায়ক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওই পদের জন্য ২০-২২ বছর অপেক্ষা করতে হয়।
সচিবালয়ে একজন অফিস সহায়ক চাকরিতে যোগদান করে (যোগ্যতার ভিত্তিতে) উপ-সচিব (নন ক্যাডার) পদে পদোন্নতি পেতে পারেন। হাইকোর্ট বিভাগে অফিস সহকারী পদে যোগদান করে পদোন্নতি পেয়ে ডেপুটি রেজিস্ট্রার পর্যন্ত হতে পারেন, পুলিশের কনস্টেবল পদ থেকে পদোন্নতি পেয়ে (যোগ্যতার ভিত্তিতে) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নন ক্যাডার) পর্যন্ত হওয়ার সুযোগ আছে। কিন্তু অধস্তন আদালতের সহায়ক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এমন কোনো সুযোগ-সুবিধা নেই। নির্দিষ্ট কিছু পদে পদোন্নতি থাকলেও তা সর্বোচ্চ প্রশাসনিক কর্মকর্তা (১০ম গ্রেড) পর্যন্ত সীমাবদ্ধ।
সাম্প্রতিক সময়ে প্রধান বিচারপতি দেশের বিভিন্ন আদালত পরিদর্শনকালে বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিভিন্ন দাবি উপস্থাপন করে। তিনি স্পষ্টভাবে বিচারক ও অধস্তন আদালতের সহায়ক কমকর্তা-কর্মচারীদের মর্যাদা ও ন্যায্যতার ভারসাম্য রক্ষা অপরিহার্য বলে মন্তব্য করলেও অদ্যাবধি এ সংক্রান্ত অগ্রগতি নেই।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রেজোয়ান খন্দকার বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বভার গ্রহণ করার পরে সংস্কার কার্যক্রম অব্যাহত থাকলেও অধস্তন আদালতের সহায়ক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ন্যায্য দাবির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
বক্তব্য দেওয়ার অনুমতি না থাকায় নাম প্রকাশ না করে জুডিশিয়াল সার্ভিস পে কমিশনের এক সদস্য আমার দেশকে বলেন, অধস্তন আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবির ন্যায্যতা আছে। কিন্তু পে কমিশনের একজন সদস্য হিসেবে আমাদের কিছু করার নেই। এটি সরকারের নীতিগত বিষয়।
সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার (বিচার) মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন আমার দেশকে বলেন, অধস্তন আদালতের কর্মচারীরা বিচার বিভাগের অংশ। কিন্তু এ সংক্রান্ত তাদের দাবি বাস্তবায়ন পুরোপুরি সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত।
এ বিষয়ে জানতে আইন সচিব লিয়াকত আলী মোল্লার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। এমনকি মেসেজ পাঠালেও তিনি জবাব দেননি।
বিচার বিভাগ সংস্কারের অংশ হিসেবে গঠন করা হয়েছে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পে কমিশন। এটি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়েও শুরু হয়েছে আলোচনা। ইতোমধ্যে একটি কমিটিও তৈরি করা হয়েছে। এই কমিটি একটি মতবিনিময় সভা করলেও আশাবাদী হতে পারেননি এই বিভাগে কর্মরত ২০ সহস্রাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী। তাদের বাদ দিয়ে শুধু বিচারকদের বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর বিষয়ে নানা উদ্যোগ চলমান আছে।
১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ঐতিহাসিক মাসদার হোসেন মামলায় ১২ দফা নির্দেশনাসহ রায় দেয়। ওই রায় অনুযায়ী ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা হয় বিচার বিভাগ। এরপর শুধু বিচারকদের জন্য ৬টি গ্রেড রেখে পৃথক পে-স্কেলসহ নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়। সে সময় আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওই পে-স্কেলের আওতাভুক্ত করা হয়নি। এতে তারা জনপ্রশাসনের সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারী হিসেবেই আছেন।
এদিকে জুডিশিয়াল সার্ভিস পে-কমিশনের প্রথম সভা গত ২৯ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের কনফারেন্স রুমে আপিল বিভাগের বিচারপতি এস. এম. এমদাদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কমিশনের কর্মপদ্ধতি নির্ধারণ এবং জুডিশিয়াল সার্ভিসের সদস্যদের বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা নির্ধারণ বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ওই কমিশন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, প্রধান বিচারপতি ও অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবে।
এছাড়া ৯ অক্টোবর কমিশন জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন, আইন মন্ত্রণালয়, আইন কমিশন ও বিচার প্রশাসন ইনস্টিটিউশনের সঙ্গে বিচারকদের বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা নির্ধারণ বিষয়ে মতবিনিময় করবে বলে জানা গেছে। কিন্তু এখনো সহায়ক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ওই আলোচনার বাইরে। মামলার নথি প্রস্তুত করা থেকে শুরু করে রায় প্রচার নিশ্চিত করা পর্যন্ত সব ধাপে অধস্তন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবদান অপরিহার্য। কিন্তু তারা জুডিশিয়াল সার্ভিস স্কেল অনুযায়ী কোনো সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন না।
হয়রানির ভয়ে নাম প্রকাশ না করে নিম্নআদালতের কয়েকজন কর্মচারী বলেন, ডিসেম্বরে অধস্তন আদালতে অবকাশকালীন ছুটি থাকে। এতে জেলা জজ আদালতের (অবকাশকালীন জজ ব্যতীত) বিচারকরা ছুটিতে থাকলেও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কার্যক্রম চালিয়ে যান। অবকাশকালীন জজ দায়িত্ব পালন করে মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ অবকাশকালীন ভাতা পেলেও তার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কোনো ভাতা পান না।
তারা আরো বলেন, অবকাশকালীন ছুটিতে অধস্তন আদালতের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এবং উভয়ের অধীনস্ত আদালতগুলো যথারীতি খোলা থাকে। যার কারণে ম্যাজিস্ট্রেটরা ডিসেম্বরে দায়িত্ব পালনের জন্য ওই মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ অবকাশকালীন ভাতা পান ও ছুটি ভোগ করতে পারেন। অথচ, কর্মচারীরা একই সঙ্গে দায়িত্ব পালন করার পরও কোনো ভাতা, ছুটি কিংবা কোনো রকম সুবিধা পান না। অপরদিকে চৌকি আদালতে কর্মরত বিচারকরা মূল বেতনের ১৫ শতাংশ চৌকি ভাতা পান। কিন্তু কর্মচারীরা একই চৌকি আদালতে দায়িত্ব পালন করার পরও কোনো ভাতা পান না। এটা স্পষ্ট বৈষম্য।
এছাড়া অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালে বিচারক ব্যতীত আর কোনো প্রথম শ্রেণির পদ নেই। দ্বিতীয় শ্রেণির পদও নগণ্য। সব জেলা জজশিপে উপজেলাভিত্তিক আদালত থাকা সত্ত্বেও মাত্র একটি করে দ্বিতীয় শ্রেণির (প্রশাসনিক কর্মকর্তা) পদ আছে।
অন্যান্য দপ্তরে প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে পদোন্নতির জন্য যেখানে ৫ থেকে ৭ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতায় পদোন্নতির সুযোগ আছে। সেখানে অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সহায়ক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওই পদের জন্য ২০-২২ বছর অপেক্ষা করতে হয়।
সচিবালয়ে একজন অফিস সহায়ক চাকরিতে যোগদান করে (যোগ্যতার ভিত্তিতে) উপ-সচিব (নন ক্যাডার) পদে পদোন্নতি পেতে পারেন। হাইকোর্ট বিভাগে অফিস সহকারী পদে যোগদান করে পদোন্নতি পেয়ে ডেপুটি রেজিস্ট্রার পর্যন্ত হতে পারেন, পুলিশের কনস্টেবল পদ থেকে পদোন্নতি পেয়ে (যোগ্যতার ভিত্তিতে) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নন ক্যাডার) পর্যন্ত হওয়ার সুযোগ আছে। কিন্তু অধস্তন আদালতের সহায়ক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এমন কোনো সুযোগ-সুবিধা নেই। নির্দিষ্ট কিছু পদে পদোন্নতি থাকলেও তা সর্বোচ্চ প্রশাসনিক কর্মকর্তা (১০ম গ্রেড) পর্যন্ত সীমাবদ্ধ।
সাম্প্রতিক সময়ে প্রধান বিচারপতি দেশের বিভিন্ন আদালত পরিদর্শনকালে বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিভিন্ন দাবি উপস্থাপন করে। তিনি স্পষ্টভাবে বিচারক ও অধস্তন আদালতের সহায়ক কমকর্তা-কর্মচারীদের মর্যাদা ও ন্যায্যতার ভারসাম্য রক্ষা অপরিহার্য বলে মন্তব্য করলেও অদ্যাবধি এ সংক্রান্ত অগ্রগতি নেই।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রেজোয়ান খন্দকার বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বভার গ্রহণ করার পরে সংস্কার কার্যক্রম অব্যাহত থাকলেও অধস্তন আদালতের সহায়ক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ন্যায্য দাবির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
বক্তব্য দেওয়ার অনুমতি না থাকায় নাম প্রকাশ না করে জুডিশিয়াল সার্ভিস পে কমিশনের এক সদস্য আমার দেশকে বলেন, অধস্তন আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবির ন্যায্যতা আছে। কিন্তু পে কমিশনের একজন সদস্য হিসেবে আমাদের কিছু করার নেই। এটি সরকারের নীতিগত বিষয়।
সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার (বিচার) মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন আমার দেশকে বলেন, অধস্তন আদালতের কর্মচারীরা বিচার বিভাগের অংশ। কিন্তু এ সংক্রান্ত তাদের দাবি বাস্তবায়ন পুরোপুরি সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত।
এ বিষয়ে জানতে আইন সচিব লিয়াকত আলী মোল্লার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। এমনকি মেসেজ পাঠালেও তিনি জবাব দেননি।
আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া জানান, “ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের যে বিধান সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তার একটি ৫৮’র সি ধারা, যেখানে বলা আছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা গঠিত হবে সংসদ ভেঙে দেয়ার পনের দিনের মধ্যে। অর্থাৎ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে হলে এটা শুধুমাত্র সংসদ ভেঙে ..
৩৫ মিনিট আগেগত অগাস্টে নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি প্রবীধানমালা-২০২৪ সংশোধন করে ম্যানেজিং কমিটি এবং গভর্নিং বডির সভাপতি পদে শুধু সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য সংরক্ষণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল অন্তবর্তীকালীন সরকার।
৪৩ মিনিট আগেজুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার আসামি পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন নিজের অপরাধ গোপন করে অন্যের ঘাড়ে বন্দুক রেখে বাঁচার জন্য অ্যাপ্রুভার হয়েছেন।
৩ ঘণ্টা আগেআবেদনে বলা হয়, সেলিম প্রধান দেশের মানুষের নিরাপত্তা বিঘ্ন ঘটানো ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি প্রয়াসে একটি নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের অর্থযোগানদাতা, পরামর্শদাতা ও নির্দেশদাতা হিসেবে সক্রিয়ভাবে দেশবিরোধী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করে। সে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের সক্রিয় সদস্য বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগে