আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েই আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বাদল হোসেন মুন্না নামের ২১ বছরের এক আসামি। ব্লেড দিয়ে নিজের গলায় পোচ মারে আসামি মুন্না।
বুধবার বেলা দেড়টায় ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এ ঘটনা ঘটে। পরে তাকে উদ্ধার করে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ সদস্যরা। তবে তার শ্বাসনালি কেটে যাওয়ায় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ন্যাশনাল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত মো. সালাউদ্দিন জানান, রোগীর শ্বাসনালি কেটে গেছে। এখানে প্রাথমিক ট্রিটমেন্ট দেয়া হয়েছে। পুলিশ কেস হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. সাজ্জাদ হোসেন সবুজ বলেন, ২০২২ সালের জুন মাসে কদমতলীতে ১৪ বছরের এক কিশোরীকে অপহরণের পর ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় তার বাবা মামলা করে। মামলাটিতে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। এরই মাঝে আবার আসামিপক্ষ ভিকটিমকে পুনরায় জেরার আবেদন করেন। আজ ভিকটিমকে জেরা করা হয়। ভিকটিমকে জেরায় বলেছেন, তার সাথে কোনো সম্পর্ক ছিলো না। পরে হয়তো আবেগতাড়িত হয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে।
সংশ্লিষ্ট আদালতে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবল সাইফুর রহমান বলেন, আসামি কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ছিলো। তাকে অসুস্থ দেখাচ্ছিল। তার কাছে নাম জানতে চায়। তাকে যেন আগে হাজতখানায় নিয়ে যেতে পারি। কিন্তু সে নাম বলে না। একপর্যায়ে আমাদের সামনে থেকে একটু দূরে চলে যায়। পরে দেখি তার গলা দিয়ে রক্ত পড়ছে। সে পড়ে যাচ্ছিল। দ্রুত গিয়ে তাকে ধরে ফেলি। নিচে শেভ করা রেজারের ব্লেড দেখতে পাই। পরে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
মুন্নার বাবা আব্দুল আলী অভিযোগ করে বলেন, আমার ছেলের বিরুদ্ধে ওর শ্বশুর মিথ্যা নারী নির্যাতনের মামলা দিয়েছেন। সাত মাস ধরে আমার ছেলে জেলে। জামিন পাচ্ছে না। আজ সে আত্মহত্যার চেষ্টা করছে। ছেলের আত্মহত্যার জন্য তার শ্বশুরকে দায়ী করেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানায় অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রিপন, আসামি হঠাৎ করে তার নিজের গলায় ব্লেড চালিয়ে ক্ষত সৃষ্টি করেন। আমরা সাথে সাথে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করি। তার গলায় ব্লেডের আঘাতে হালকা করে কেটে গেছে। বেশি ক্ষত সৃষ্টি হয়নি। চিকিৎসা শেষে আসামিকে আবারও আদালতে আনা হচ্ছে।

