জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে ইবিতে আলোচনা সভা

প্রতিনিধি, ইবি
প্রকাশ : ২৯ জুন ২০২৫, ১৫: ২৮
আপডেট : ২৯ জুন ২০২৫, ১৫: ৪১

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তম-এর ৪৪তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও খাদ্য বিতরণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। রোববার (২৯ জুন) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী কর্মকর্তা ও কর্মচারী ফোরামের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

বিজ্ঞাপন

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাবাদী কর্মচারী ফোরামের সভাপতি আব্দুল মঈদ বাবুল। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী এবং ট্রেজারার অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ- উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী বলেন, আপনারা জানেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেশ পরিচালনা করেছেন মাত্র সাড়ে তিন বছর এবং এই স্বল্প সময়ের মধ্যে তিনি যত কাজ করেছেন যত কিছু প্রতিষ্ঠা করেছেন, বাংলাদেশের কোন রাষ্ট্রপতি বা সরকার এই অল্প সময়ের মধ্যে সেরকম কোন কাজ করতে পারেননি। তিনি ১৯৭৬ সালে প্রথম বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানের একটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার কথা বলেছিলেন দায়িত্বে এসে ১৯৭৯ সালে তিনি বর্তমান বাংলাদেশের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। আশ্চর্যজনকভাবে অন্য কোন বড় বড় ইসলামিক চিন্তাবিদ বা রাজনীতিবিদদের কেউ তা করতে পারেননি।

এছাড়াও সভায় বক্তব্য রাখেন জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন, ইউট্যাব কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান, ইবি জিয়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম এবং ধর্মতত্ত্ব অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আ ব ম ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী প্রমুখ।

বক্তব্য প্রদানকালে ড. এম মতিনুর রহমান বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান শুধুমাত্র ১৯৭১ সালের যুদ্ধই নয় বরং তিনি ১৯৬৫ সালে ভারত পাকিস্তান যুদ্ধের একজন নির্ভীক কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং পরবর্তীতে পুরস্কৃত হয়েছেন। আর যদি বাংলাদেশ স্বাধীন না হতো তাহলে স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার অপরাধে তাকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলতে হতো, তিনি সব জেনে বুঝেও দেশের জন্য কাজ করে গেছেন। শুধু তাই নয় ১৯৭৫ সালের পর তিনি নিজে থেকে রাষ্ট্রক্ষমতায় বসেননি, সিপাহী জনতা গ্রেফতারকৃত জিয়াউর রহমানকে কারামুক্ত করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসিয়েছিলেন। এবং তারপর তিনি গণতন্ত্রের চর্চা শুরু করেছিলেন।

উপাচার্য ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের মানুষকে স্বল্প সময়ে একটি রাষ্ট্র গঠনের দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, রাষ্ট্র জনগণের চাওয়া-পাওয়ার ভিত্তিতে পরিচালিত হওয়া উচিত, না যে কেবল দলীয় স্বার্থে। এজন্যই তিনি বলেছিলেন ‘ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়।’ তার এই দর্শন বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ হবে ঐক্য, মৈত্রী ও সম্প্রীতির দেশ।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত