জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

জুলাই বিপ্লবে হামলাকারীদের শাস্তি শুধু সাময়িক বহিষ্কার!

এস এম তাওহীদ, জাবি
প্রকাশ : ১৭ মার্চ ২০২৫, ০৯: ৪৫
আপডেট : ১৭ মার্চ ২০২৫, ০৯: ৪৬

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি চার মাস পর অপূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। অভিযুক্ত কাউকে কারণ দর্শানো নোটিশ না দিয়ে এবং তাদের শাস্তির সুপারিশ না করেই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন তদন্ত কমিটির এক সদস্য।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুসারে অভিযুক্তকে কারণ দর্শানো নোটিস ছাড়া সাময়িক বহিষ্কার চেয়ে বেশি শাস্তি দেওয়া যায় না। তাই আজ সোমবার অনুষ্ঠিতব্য সিন্ডিকেটে সাময়িক বহিষ্কার ছাড়া অন্য কোনো শাস্তি দিতে পারবে না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিজ্ঞাপন

তদন্ত কমিটি সূত্রে জানা যায়, তদন্ত কমিটি ভিডিও ফুটেজ দেখে ও আহত ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষাৎকার নিয়ে অপরাধীদের শনাক্ত করেছে। হামলায় অভিযুক্ত শিক্ষকদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হলেও কোনো রকম কারণ দর্শানো নোটিস দেওয়া হয়নি এবং অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের কোনো রকম সাক্ষাৎকারও নেওয়া হয়নি। এমনকি কোনো শাস্তির সুপারিশ করা হয়নি। তদন্ত কমিটির অফিস আদেশ সূত্রে জানা যায়, তদন্ত কমিটিকে তদন্ত করে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছিল।

কেন শাস্তির সুপারিশ করা হয়নি জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব রায়হান শরীফ বলেন, আমাদের কাজের পরিধি অনেক বেশি ছিল। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দ্রুত রিপোর্ট জমা দেওয়ার একটা চাপ ছিল। তাই আমরা কারণ দর্শাতে পারিনি এবং শাস্তির সুপারিশ করতে পারিনি। আমরা কেবল অপরাধী শনাক্ত করেছি। বিধি অনুসরণ করে শাস্তির সুপারিশ করেছি।

‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রছাত্রীদের জন্য শৃঙ্খলাসংক্রান্ত অধ্যাদেশ ২০১৮’-এর ধারা ৭-এর ‘তদন্ত প্রক্রিয়া’ নামক অধ্যাদেশ থেকে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থীর নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর কোনো রকম অভিযোগ দায়ের হলে আনীত অভিযোগের আত্মপক্ষ সমর্থনের বক্তব্য প্রদানের জন্য ন্যূনতম সাতদিন সময় দিয়ে কারণ দর্শানো নোটিস প্রদান করতে হবে। আরো উল্লেখ আছে, তদন্ত কমিটি সুপারিশসহ তদন্ত প্রতিবেদন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে পাঠাবেন।

জানা যায়, গত ১৭ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত কমিটি। এরপর গত ২ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। তদন্ত কমিটি গঠনের সময় তদন্তকাজের জন্য প্রথমে ৩০ কর্মদিবস সময় বেঁধে দেয় প্রশাসন। এরপর শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে তদন্তকাজের সময় কমিয়ে ১৫ কর্মদিবস নির্ধারণ করে প্রশাসন। তবে নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পর তিন দফা সময় বাড়িয়ে নেয় তদন্ত কমিটি।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিষয়:

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত