এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা ডিসেম্বরে, পরিবর্তন আসছে নীতিমালায়

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯: ৫৭

প্রার্থীদের মেধা, বুদ্ধিমত্তা এবং মানবিক গুণাবলীকে প্রাধান্য দিয়ে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় কিছু পরিবর্তন আনার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে। এছাড়াও এ বছর ভর্তি পরীক্ষা কিছুটা এগিয়ে ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে পারে।

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেন রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বাসসকে এ কথা জানিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেছেন, ‘বর্তমানে বিদ্যমান পদ্ধতিতে সিঙ্গেল বেস্ট এমসিকিউ রিকল প্রশ্নপত্রে মুখস্থ বিদ্যা প্রাধান্য পেয়ে থাকে। এর পাশাপাশি প্রার্থীদের মেধা, মননশীলতা, মানবিকতা, বুদ্ধিমত্তা এবং বিশ্লেষণী ক্ষমতা যাচাই করার বিষয়টি যুক্ত করা নিয়ে বিশেষজ্ঞ এবং অংশীজনদের সাথে পরামর্শ করেছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল।’

‘মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় কিছু পরিবর্তন আনা হচ্ছে। মেধাবী, দক্ষ ও মানবিক চিকিৎসক তৈরি করতে সম্ভাব্য সেরা প্রার্থীরা যেন সুযোগ পান, সেই বিবেচনাতে পরীক্ষা পদ্ধতিতে সংস্কার আনা হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘চিকিৎসক হওয়ার জন্য মেধার পাশাপাশি কিছু মানবিক গুণাবলী থাকা দরকার। শুধু মুখস্থ বিদ্যায় পারদর্শী হলেই হবে না, তার বিশ্লেষণী ক্ষমতা, বুদ্ধিমত্তা এবং মানবিক গুণাবলী থাকাটাও জরুরি। চিকিৎসা পেশা অন্য সব পেশা থেকে আলাদা। এই পেশায় মেধা ও বুদ্ধিমত্তার পাশাপাশি মানবিকতা, যোগাযোগ দক্ষতাসহ নানা গুণাবলী থাকতে হয়।’

চিকিৎসা পেশাকে একটি মানবিক পেশা উল্লেখ করে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, মানবিক গুণাবলী সম্পন্ন মেধাবী মানুষদের এই মহান পেশায় আনার জন্য অনেক দেশেই কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়, যা আমাদের নেই। সেটাই ধীরে ধীরে আগামী বছরগুলোতে ভর্তি পরীক্ষায় যুক্ত করার কথা ভাবা হচ্ছে।

অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেন বলেন, প্রার্থীদের এনালাইটিক্যাল অ্যাবিলিটি, এটিচ্যুড এবং নন-কগনিটিভ স্কিল যাচাই করার বিষয়টি যুক্ত করার জন্য বিশেষজ্ঞগণ পরামর্শ দিয়েছেন। তবে বিদ্যমান সিঙ্গেল বেস্ট এমসিকিউ পরীক্ষা পদ্ধতিতে বিষয়টি খুব সহজ নয় বলে ধীরে ধীরে এই পরিবর্তন আনার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে। শিগগিরই বিএমডিসি, মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। কোনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলে তা জানিয়ে দেয়া হবে যাতে ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে প্রস্তুতি নেওয়ার পর্যাপ্ত সময় পান।

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানান, এ বছর ভর্তি পরীক্ষার মোট নম্বরের ১০ থেকে ২০ শতাংশ প্রশ্নে এ ধরনের পরিবর্তন আনা এবং আগামী দুই/তিন বছরের মধ্যে তার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞগণ। তবে বিদ্যমান সিঙ্গেল বেস্ট এমসিকিউ পদ্ধতির মাঝে কীভাবে এই পরিবর্তন আনা যায় তা নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। গত সেশনে ভর্তি পরীক্ষা জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হলেও আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে সম্ভাব্য জাতীয় নির্বাচনের কথা বিবেচনা করে এবার এগিয়ে এনে তা ডিসেম্বর মাসে করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত