উচ্চশিক্ষার জন্য কেন যাবেন তুরস্কে

মো. সালাউদ্দিন
প্রকাশ : ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮: ১৪

তুরস্ক সাম্প্রতিক বছরগুলোয় উচ্চশিক্ষার জন্য একটি প্রতিশ্রুতিশীল গন্তব্য হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। দেশটি কেবল শিক্ষাগত উৎকর্ষের জন্যই নয়, বরং আর্থিক সুবিধা, সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধি ও কৌশলগত অবস্থানের জন্যও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয়।

তুরস্কের ভৌগোলিক অবস্থান পূর্ব ও পশ্চিমের মিলনস্থল হিসেবে এটিকে একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য প্রদান করেছে। এই অঞ্চলটি ঐতিহাসিকভাবে অটোমান সাম্রাজ্যের কেন্দ্রবিন্দু ছিল, যা মধ্যযুগ থেকে আধুনিক যুগ পর্যন্ত শিক্ষার বিকাশ এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। অটোমান সাম্রাজ্য তার সময়ে জ্ঞান-বিজ্ঞান, কলা ও স্থাপত্যে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিল। আজকের তুরস্ক সেই ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় শিক্ষাক্ষেত্রে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা ও উদ্ভাবনী পদ্ধতি সংযোজন করে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য আদর্শ পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।

বিজ্ঞাপন

সাম্প্রতিক সময়ে তুরস্কের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় গবেষণা এবং শিক্ষা খাতে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে, যেখানে প্রকৌশল, চিকিৎসা, সামাজিক বিজ্ঞান ও মানবিক শিক্ষার মতো বিভিন্ন বিষয়ে উচ্চ মানের শিক্ষা প্রদান করা হয়। তাছাড়া এখানে আন্তর্জাতিক মানের ফান্ডিং সুবিধা, স্কলারশিপ ও তুলনামূলকভাবে কম খরচে পড়াশোনা করার সুযোগ পাওয়া যায়।

এছাড়া তুরস্কের ঐতিহাসিক স্থাপত্য, যেমন ইস্তাম্বুলের হাজিয়া সোফিয়া, তোপকাপি প্রাসাদ এবং কাপাডোকিয়ার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য শিক্ষার্থীদের একটি সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা প্রদান করে। এখানকার লোকজ সংস্কৃতি, ভাষা, ও খাদ্য আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের তাদের শিক্ষাজীবনের বাইরেও একটি নতুন সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হতে সহায়তা করে।

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য তুরস্ক কেবল উচ্চমানের শিক্ষার সুযোগই নয়, বরং ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সঙ্গে একাত্ম হওয়ার একটি দুর্লভ সুযোগ প্রদান করে। উভয় দেশের মুসলিম ঐতিহ্য এবং সাংস্কৃতিক মিল শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সহজ অভিযোজনের পরিবেশ তৈরি করে।

চলমান লেখনীতে বাংলাদেশিদের জন্য কেন তুরস্ক উচ্চশিক্ষার জন্য সেরা গন্তব্য হতে পারে, তা আলোকপাত করা হবে।

১. আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য তুরস্কের আকর্ষণ

তুরস্কে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা সাম্প্রতিক বছরগুলোয় উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৯ সালের তথ্য অনুযায়ী, তুরস্কে এক লাখ ২৫ হাজার ১৩৮ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত ছিলেন, যা ২০২৪ সালে আরও বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় দুই লাখ ২০ হাজারে পৌঁছেছে। এমনকি মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপ থেকে শিক্ষার্থীরা তুরস্কে আসছে। তাদের মধ্যে পাকিস্তান, আফগানিস্তান, সিরিয়া, ইরান ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর শিক্ষার্থীর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বেশি। তুরস্ক কেবল উচ্চশিক্ষার গন্তব্য নয়, বরং একটি আঞ্চলিক উন্নত গবেষণামূলক শিক্ষা কেন্দ্র হিসেবেও বেশ পরিচিতি লাভ করেছে।

২. বিশ্বমানের শিক্ষা ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি

তুরস্কের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থা উন্নত ও বৈচিত্র্যময়। বর্তমানে তুরস্কে ২০৩টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, যার মধ্যে ১২৯টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ৭৪টি ফাউন্ডেশন (প্রাইভেট) বিশ্ববিদ্যালয়। Q’s World Ranking ও Times Higher Education-এর তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ২০০০-এর মধ্যে তুরস্কের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—

Middle East Technical University (METU), Koç University, Boğaziçi University, Sabancı University, Istanbul University, Marmara University প্রভৃতি।

তুরস্কের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক মানের একাডেমিক প্রোগ্রাম পরিচালনা করে, যেখানে ইংরেজি ভাষায় যাবতীয় শিক্ষা দেওয়া হয়। এই প্রতিষ্ঠানগুলো গবেষণা, উদ্ভাবন ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার জন্য সুপরিচিত।

৩. ফাউন্ডেশন বিশ্ববিদ্যালয় ও টিউশন ফি

তুরস্কে ফাউন্ডেশন বা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের উন্নত ক্যাম্পাস, গবেষণার সুযোগ ও উচ্চ মানের শিক্ষার জন্য বিখ্যাত। তবে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি তুলনামূলকভাবে বেশি। প্রাইভেট বা ফাউন্ডেশন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় বার্ষিক টিউশন ফি $৫,০০০ থেকে $২০,০০০। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় বার্ষিক টিউশন ফি $১০০ থেকে $৫০০ (বিভিন্ন প্রোগ্রামের ওপর নির্ভর করে)।

৪. জীবনযাপনের খরচ

তুরস্কে জীবনযাপনের খরচ অন্যান্য ইউরোপীয় দেশের তুলনায় অনেক কম। মাসিক বাসস্থান খরচ $১৫০ থেকে $৩০০। মাসিক খাবার খরচ $১০০ থেকে $২০০। পাবলিক ট্রান্সপোর্টের জন্য মাসিক $২০ থেকে $৫০। মোটামুটি একজন শিক্ষার্থীর মাসিক খরচ $৩০০ থেকে $৫০০-এর মধ্যে থাকে।

৫. স্কলারশিপ ও আর্থিক সহায়তা

তুরস্ক সরকার ও বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা প্রদানে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। উল্লেখযোগ্য স্কলারশিপ প্রোগ্রামগুলো হলো:

Türkiye Scholarships (Turkiye Burslari) jointly Isdb Scholarship: এটি তুরস্ক সরকারের একটি বিশেষ স্কলারশিপ প্রোগ্রাম, যা টিউশন ফি, বাসস্থান, স্বাস্থ্যবিমা ও হ্যান্ডসাম মাসিক ভাতা সম্পূর্ণ কাভার করে।

Diyanet Foundation Scholarship: ধর্মীয় এবং ইসলামিক স্টাডিজে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য এই স্কলারশিপটি অনন্য। এটি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য সম্পূর্ণ টিউশন ফি, আবাসন, মাসিক ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা প্রদান করে। এই স্কলারশিপগুলোর অধীনে প্রতিবছর পৃথিবীর ১৯৭টি দেশ থেকে হাইস্কুল, ব্যাচেলর, মাস্টারস ও পিএইচডি প্রোগ্রামে প্রায় আট থেকে ১০ হাজার ছাত্র-ছাত্রী সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে পড়াশোনা করার সুযোগ পায়।

ফাউন্ডেশন ও বেসরকারি স্কলারশিপ

তুরস্কের বিভিন্ন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ও মেধাভিত্তিক স্কলারশিপ প্রদান করে। উদাহরণস্বরূপ Koç University ও Sabancı University-সহ অনেক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ৫০ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত টিউশন ফি মওকুফ করে থাকে।

৬. ইরাসমাস ও এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম

তুরস্ক ইরাসমাস+ প্রোগ্রামের মাধ্যমে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর সঙ্গে শক্তিশালী একাডেমিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। শিক্ষার্থীরা এক বা একাধিক সেমিস্টার ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পড়াশোনা করার সুযোগ পান। এই প্রোগ্রাম শিক্ষার্থীদের জন্য আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা অর্জনের পাশাপাশি কর্মজীবনে প্রতিযোগিতামূলক দক্ষতা তৈরি করে।

৭. কৌশলগত অবস্থান ও সাংস্কৃতিক সেতুবন্ধ

তুরস্কের ভৌগোলিক অবস্থান এটিকে পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতুতে পরিণত করেছে। এটি ইউরোপ, এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর জন্য সহজগম্য। তুরস্কের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য এবং ঐতিহাসিক স্থাপনা শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ আকর্ষণ সৃষ্টি করে।

৮. আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য সহায়ক পরিবেশ

তুরস্ক আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক একটি পরিবেশ তৈরি করেছে। তুরস্কে প্রায় পাঁচ মিলিয়ন শরণার্থী আশ্রয় পেয়েছে, যা দেশটির সহমর্মিতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতির পরিচায়ক। শিক্ষার্থীরা এখানে তাদের নিজস্ব সংস্কৃতির সঙ্গে মিল খুঁজে পায় এবং একটি বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে পড়াশোনা করতে পারে।

৯. উচ্চমানের গবেষণা ও উদ্ভাবন

তুরস্কের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গবেষণা ও উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, বায়োটেকনোলজি ও মেডিসিনের মতো ক্ষেত্রে তুরস্কের গবেষণা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে সায়েন্স পার্ক ও ইনোভেশন হাব রয়েছে, যেখানে শিক্ষার্থীরা বাস্তব প্রকল্পে কাজ করার সুযোগ পান।

১০. চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের পথ

যদিও তুরস্কে পড়াশোনার জন্য অনেক সুবিধা রয়েছে, তবে কিছু চ্যালেঞ্জও শিক্ষার্থীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।

ভাষাগত সমস্যা: তুরস্কে অধিকাংশ স্থানীয়রা ইংরেজি বলতে অভ্যস্ত নয়। ফলে শিক্ষার্থীরা অনেক ক্ষেত্রে দৈনন্দিন জীবনে ভাষাগত সমস্যার সম্মুখীন হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে শিক্ষাদান সাধারণত ইংরেজিতে হলেও বাইরের পরিবেশে বা স্থানীয় বাজার, ব্যাংকিং পরিষেবা এবং অন্যান্য সাধারণ কাজে তুর্কি ভাষা অপরিহার্য হয়ে ওঠে। এটি বিশেষ করে নতুন শিক্ষার্থীদের জন্য মানিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

বড় শহরের চাপ: ইস্তাম্বুল, আঙ্কারা বা ইজমিরের মতো বড় শহরগুলোয় ভিড়, যানজট ও ব্যস্ত জীবনযাত্রা অনেক শিক্ষার্থীর জন্য মানসিক চাপের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাছাড়া বড় শহরে বাসস্থানের খরচ তুলনামূলকভাবে বেশি। উচ্চ ভাড়া ও অন্যান্য জীবনযাপনের ব্যয় অনেক শিক্ষার্থীর বাজেটের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে, যারা কম খরচে বা শান্ত পরিবেশে থাকার অভ্যাস করেন, তাদের জন্য এটি বিশেষত চ্যালেঞ্জিং।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক সমস্যা: বহিরাগত শিক্ষার্থীদের জন্য প্রশাসনিক প্রক্রিয়া অনেক সময় জটিল হয়ে দাঁড়ায়। ভিসা, বাসস্থানের অনুমোদন ও অন্যান্য প্রশাসনিক কার্যক্রমে কখনো কখনো দীর্ঘ সময় এবং অতিরিক্ত কাগজপত্র প্রয়োজন হয়। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ নীতি ও পরিষেবা থাকলেও তা পর্যাপ্ত নয় বা উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও সঠিক প্রস্তুতি এবং মানসিক দৃঢ়তার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা এই সমস্যাগুলো মোকাবিলা করতে সক্ষম হন। তুরস্কে পড়াশোনা করার ক্ষেত্রে আগ্রহীদের জন্য এই বিষয়গুলোকে মাথায় রেখে পরিকল্পনা করা গুরুত্বপূর্ণ।

পরিশেষে বলব, তুরস্ক আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য শুধু একটি উচ্চশিক্ষার গন্তব্য নয়, বরং এটি একটি বহুমাত্রিক অভিজ্ঞতার ক্ষেত্র। এর উন্নত শিক্ষার মান, সাশ্রয়ী টিউশন ফি এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতিমালা শিক্ষার্থীদের কাছে একটি নিরাপদ, আর্থিকভাবে সুবিধাজনক এবং আকর্ষণীয় পরিবেশ তৈরি করেছে। তুরস্কের শিক্ষা ব্যবস্থা তার বৈচিত্র্যময় বিষয়বস্তু, উদ্ভাবনী পদ্ধতি ও গবেষণার জন্য উন্নত অবকাঠামোর মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত।

তাছাড়া তুরস্কের ভৌগোলিক অবস্থান, যা ইউরোপ ও এশিয়ার সংযোগস্থল শিক্ষার্থীদের একটি বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি লাভের সুযোগ করে দেয়। এখানকার ঐতিহাসিক ঐতিহ্য, যেমন অটোমান সাম্রাজ্যের গৌরবময় ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য, শিক্ষার্থীদের জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি একটি সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা প্রদান করে। এছাড়া আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য তুরস্কের সহজ অভিবাসন নীতি ও বৈচিত্র্যময় জীবনযাত্রার পরিবেশ এটিকে একটি স্বাগত জানানোর গন্তব্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে।

বিশ্বমানের শিক্ষা, গবেষণার সুযোগ ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের সন্ধানকারী শিক্ষার্থীদের জন্য তুরস্ক নিঃসন্দেহে একটি আদর্শ স্থান। এটি কেবলমাত্র শিক্ষা অর্জনের জন্য নয়, বরং জীবনের একটি নতুন অধ্যায় শুরু করার এবং নিজেকে বৈশ্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে সমৃদ্ধ করার একটি উপযুক্ত ক্ষেত্র। সুতরাং উচ্চশিক্ষার জন্য তুরস্ককে বেছে নেওয়া কেবল শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ গড়তে সহায়তা করে না, বরং তাদের ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনের জন্যও একটি শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করে।

(আগামী পর্বে থাকবে: তুরস্কে বিদেশি শিক্ষার্থীদের সরকারি-বেসরকারি স্কলারশিপ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা ও বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক পড়াশোনা, টিউশন ফি ও র‍্যাংকিং নিয়ে ধারাবাহিক পর্ব)

পিএইচডি গবেষক ও দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি ও ধর্ম বিশ্লেষক, মিরাত হাবের, তুর্কি

email: suddiniu@gmail.com

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত