ঢাবিতে নারী শিক্ষার্থীদের ধর্ষণবিরোধী মঞ্চের আত্মপ্রকাশ

ঢাবি সংবাদদাতা
প্রকাশ : ০৯ মার্চ ২০২৫, ০৯: ৫৮

নারীর প্রতি সংঘটিত ধর্ষণ, নিপীড়ন, নারীবিদ্বেষী ‘মব’ ও বিচারহীনতার সংস্কৃতির বিরূদ্ধে দুটো দাবি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নারী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আত্মপ্রকাশ করেছে ‘ধর্ষণবিরোধী মঞ্চ’।

বিজ্ঞাপন

শনিবার দিবাগত রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই মঞ্চের আত্মপ্রকাশ ঘটে। প্ল্যাটফর্মটির আত্মপ্রকাশ ঘোষণা করেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের ঢাবি মুখপাত্র রাফিয়া রেহনুমা হৃদি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমা।

এ সময় মঞ্চ থেকে দুটি দাবি উত্থাপন করা হয়। দাবিগুলো হলো- অনতিবিলম্বে ধর্ষণবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের মাধ্যমে সব ধর্ষণের বিচার নিশ্চিত করা এবং আছিয়ার হত্যাচেষ্টাকারী এবং ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা।

যতদিন এ দুটি দাবি বাস্তবায়ন না হবে ততদিন এই প্লাটফর্মটি তাদের কর্মসূচি বহাল রাখবে বলেও জানান তারা।

দেশব্যাপী ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ধর্ষকদের আদালতে উপস্থাপন করতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেন তারা।

এ সময় শিক্ষার্থীরা রোববারের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এতে বলা হয়, রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি হল থেকে মশাল মিছিল বের করা হবে। মিছিল শেষে সবাই রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জমায়েত হবেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে উমামা ফাতেমা বলেন, ধর্ষণের আসামিদের আদালতে হাজিরের জন্য ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিচ্ছি। এর মধ্যে যদি ধর্ষকদের আদালতে তোলা না হয় তাহলে আমরা কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেব।

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের ঢাবি মুখ্য সংগঠক হাসিবুল ইসলাম বলেন, সেনাবাহিনীর ম্যাজেস্ট্রেসি ক্ষমতা থাকার পরেও তারা দেশের পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে। অন্যদিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অফিসে বসে বসে শুধু বেতন ভোগ করছেন। দেশের নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত বা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। আমরা আজকের সমাবেশ থেকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর পদত্যাগের দাবি জানাই।

এর আগে রাত সাড়ে ১২টার দিকে ধর্ষকদের বিচার নিশ্চিতের দাবি ও মাগুরার আছিয়ার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন সুফিয়া কামাল হলের নারী শিক্ষার্থীরা। পরে সংহতি জানিয়ে ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ্ হলের শিক্ষার্থীরাও ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন। পরে রাত দেড়টা নাগাদ প্রায় প্রতিটি হলের শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে রাজুতে জড়ো হন এবং উত্তপ্ত স্লোগান দেন।

এর আগে সন্ধ্যায় ধর্ষকের শাস্তি হিসেবে প্রকাশ্যে ফাঁসির দাবিতে মশাল মিছিল বের করে রোকেয়া হলের নারী শিক্ষার্থীরা। এরপরে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদও ধর্ষণের প্রতিবাদ ও ধর্ষকের শাস্তির দাবিতে ক্যাম্পাসে গণপদযাত্রা করে।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিষয়:

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত