ইমদাদ হোসাইন
প্রাথমিকে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া ঠেকাতে বিদ্যালয়ে খাবার কর্মসূচি শেষ হয়েছে ২০২২ সালে। কিন্তু এরপর আরেকটি প্রকল্প প্রস্তাব করা হলেও সেটি ‘খিচুড়ি রান্না শিখতে বিদেশ যাওয়া’র কর্মসূচির কারণে বিতর্কিত হয়।
ফলে নানা বিতর্কের পর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উত্থাপনের পরও তা ফিরিয়ে দেওয়া হয়। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ১৭ হাজার কোটি টাকার বিতর্কিত প্রকল্পটি আগামী ২৩ মার্চের একনেক সভায় অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফিডিং কর্মসূচি’ নামে নতুন প্রকল্পটিতে প্রাক্কলন ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা।
তবে প্রকল্পটি দেশের অতি দারিদ্র্য ১৫০টি উপজেলার ১৯ হাজার ৪১৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বাস্তবায়িত হবে। এসব বিদ্যালয়ে ফিডিং কর্মসূচি সম্পর্কে সচেতনতায় ১৯২টি ব্যাচে প্রায় ১৯ হাজার ৭১৯ জন প্রধান শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
প্রকল্প সূত্র বলছে, প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা স্কুলে গেলেই ফর্টিফাইড বিস্কুট, কলা বা মৌসুমি ফল, বান, ডিম ও ইউএইচটি দুধ দেওয়া হবে। এ প্রকল্পের অধীনে শুধু খাবারের প্যাকেজেই ব্যয় হবে ৫ হাজার ২৯৯ কোটি টাকা। ২০২৫ সাল থেকে ২০২৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে। এ প্রকল্পের অধীনে ৫৮ কোটি টাকার বেশি হ্যান্ডওয়াশ কেনার প্রস্তাব করা হয়েছে। স্কুল ফিডিংয়ের জন্য আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে ৩০০ জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। এসব জনবলের জন্য খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ২২ কোটি টাকা।
শিক্ষায় বিনিয়োগ ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিশ্বের প্রায় ৮০ শতাংশ দেশে স্কুল মিল কর্মসূচি চালু রয়েছে। স্কুল মিল কর্মসূচিকে সর্বজনীন করার মাধ্যমে শিক্ষায় সব ধরনের বৈষম্য নিরসন, শিক্ষার্থীদের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা বলয় সৃষ্টি করা এবং শিক্ষনফল ত্বরান্বিত করার মাধ্যমে জাতীয় উন্নয়নকে গতিশীল করার লক্ষ্যে জাতীয় স্কুল মিল নীতি ২০১৯ প্রণয়ন করা হয়। এ স্কুল মিল নীতিতে ৩০ লাখের বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অন্তত ৩০ শতাংশ ক্যালরি ও ৫০ শতাংশ মাইক্রো-নিউট্রিয়েন্টের চাহিদা পূরণে সক্ষম দুপুরের খাবার সরবরাহ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, অপেক্ষাকৃত কম মূল্যে শিক্ষার্থীদের পুষ্টি চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। অধিকাংশ খাদ্যসামগ্রী স্থানীয়ভাবে কেনা হবে বিধায় স্থানীয় পর্যায়ের অর্থনীতি গতিশীল হবে, প্রকল্প এলাকার দারিদ্র্যের মাত্রা কমবে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, স্কুল ফিডিং কার্যক্রম ব্যবস্থাপনা, প্রদেয় খাবারের পুষ্টিমান, ব্যয় ইত্যাদি বিবেচনায় স্বল্প মেয়াদে সপ্তাহের পাঁচ দিন উচ্চ পুষ্টিমান সম্পন্ন ফর্টিফাইড বিস্কুট, বান, পাস্তুরিত দুধ, ফল ও ডিমের সমন্বয়ে গঠিত প্যাকেটজাত করা খাবার সরবরাহ করা হবে।
এ প্রসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক মিরাজুল ইসলাম উকিল আমার দেশকে বলেন, শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে ও ঝরে পড়া রোধে স্কুল ফিডিং কার্যক্রম চালু রাখার বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। অপেক্ষাকৃত দরিদ্র এলাকার প্রাথমিক শিক্ষার্থীরা এ সুবিধা পাবেন। প্রকল্পে খাবারের প্যাকেজের যে মূল্য ধরা হয়েছে মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় তা নেওয়া হয়েছে কি না প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের আরো একটি বৈঠক আছে সেখানে সম্পূর্ণ বিষয়টি নির্ধারণ করা হবে।
বাংলাদেশে স্কুল ফিডিং কর্মসূচি ২০০১ সালে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) সহায়তায় শুরু হয়। ২০১০ থেকে ২০২২ সালে ‘দারিদ্র্য পীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং কর্মসূচি’ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়। এরপর ৪৯২টি উপজেলা ও ২১টি শিক্ষা থানার প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য সরকারি অর্থায়নে ‘প্রাইমারি স্কুল মিল’ প্রকল্প প্রস্তাবিত হয়, যার প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা ১৭ হাজার ২৯০ কোটি টাকা।
এ প্রকল্পের অধীনে খিচুড়ি রান্না শিখতে কর্মকর্তাদের বিদেশ যাওয়ার বিষয়টি বিতর্ক সৃষ্টি করে। একনেক সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন না পেয়ে, ‘কার্যকর বিকল্প ব্যবস্থা’ গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
২০২৫ থেকে ২০২৭ সালের মধ্যে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফিডিং কর্মসূচি’ নামে নতুন প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ৫ হাজার ৪৫২ কোটি টাকার প্রাক্কলিত ব্যয়ে ডিপিপি প্রক্রিয়া পাঠানো হয়। সর্বশেষ পিইসি সভার সুপারিশ অনুযায়ী, প্রকল্পের ব্যয় ১১৮ কোটি টাকা কমিয়ে ৫ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকা পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে এবং পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে।
প্রাথমিকে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া ঠেকাতে বিদ্যালয়ে খাবার কর্মসূচি শেষ হয়েছে ২০২২ সালে। কিন্তু এরপর আরেকটি প্রকল্প প্রস্তাব করা হলেও সেটি ‘খিচুড়ি রান্না শিখতে বিদেশ যাওয়া’র কর্মসূচির কারণে বিতর্কিত হয়।
ফলে নানা বিতর্কের পর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উত্থাপনের পরও তা ফিরিয়ে দেওয়া হয়। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ১৭ হাজার কোটি টাকার বিতর্কিত প্রকল্পটি আগামী ২৩ মার্চের একনেক সভায় অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফিডিং কর্মসূচি’ নামে নতুন প্রকল্পটিতে প্রাক্কলন ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা।
তবে প্রকল্পটি দেশের অতি দারিদ্র্য ১৫০টি উপজেলার ১৯ হাজার ৪১৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বাস্তবায়িত হবে। এসব বিদ্যালয়ে ফিডিং কর্মসূচি সম্পর্কে সচেতনতায় ১৯২টি ব্যাচে প্রায় ১৯ হাজার ৭১৯ জন প্রধান শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
প্রকল্প সূত্র বলছে, প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা স্কুলে গেলেই ফর্টিফাইড বিস্কুট, কলা বা মৌসুমি ফল, বান, ডিম ও ইউএইচটি দুধ দেওয়া হবে। এ প্রকল্পের অধীনে শুধু খাবারের প্যাকেজেই ব্যয় হবে ৫ হাজার ২৯৯ কোটি টাকা। ২০২৫ সাল থেকে ২০২৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে। এ প্রকল্পের অধীনে ৫৮ কোটি টাকার বেশি হ্যান্ডওয়াশ কেনার প্রস্তাব করা হয়েছে। স্কুল ফিডিংয়ের জন্য আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে ৩০০ জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। এসব জনবলের জন্য খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ২২ কোটি টাকা।
শিক্ষায় বিনিয়োগ ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিশ্বের প্রায় ৮০ শতাংশ দেশে স্কুল মিল কর্মসূচি চালু রয়েছে। স্কুল মিল কর্মসূচিকে সর্বজনীন করার মাধ্যমে শিক্ষায় সব ধরনের বৈষম্য নিরসন, শিক্ষার্থীদের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা বলয় সৃষ্টি করা এবং শিক্ষনফল ত্বরান্বিত করার মাধ্যমে জাতীয় উন্নয়নকে গতিশীল করার লক্ষ্যে জাতীয় স্কুল মিল নীতি ২০১৯ প্রণয়ন করা হয়। এ স্কুল মিল নীতিতে ৩০ লাখের বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অন্তত ৩০ শতাংশ ক্যালরি ও ৫০ শতাংশ মাইক্রো-নিউট্রিয়েন্টের চাহিদা পূরণে সক্ষম দুপুরের খাবার সরবরাহ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, অপেক্ষাকৃত কম মূল্যে শিক্ষার্থীদের পুষ্টি চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। অধিকাংশ খাদ্যসামগ্রী স্থানীয়ভাবে কেনা হবে বিধায় স্থানীয় পর্যায়ের অর্থনীতি গতিশীল হবে, প্রকল্প এলাকার দারিদ্র্যের মাত্রা কমবে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, স্কুল ফিডিং কার্যক্রম ব্যবস্থাপনা, প্রদেয় খাবারের পুষ্টিমান, ব্যয় ইত্যাদি বিবেচনায় স্বল্প মেয়াদে সপ্তাহের পাঁচ দিন উচ্চ পুষ্টিমান সম্পন্ন ফর্টিফাইড বিস্কুট, বান, পাস্তুরিত দুধ, ফল ও ডিমের সমন্বয়ে গঠিত প্যাকেটজাত করা খাবার সরবরাহ করা হবে।
এ প্রসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক মিরাজুল ইসলাম উকিল আমার দেশকে বলেন, শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে ও ঝরে পড়া রোধে স্কুল ফিডিং কার্যক্রম চালু রাখার বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। অপেক্ষাকৃত দরিদ্র এলাকার প্রাথমিক শিক্ষার্থীরা এ সুবিধা পাবেন। প্রকল্পে খাবারের প্যাকেজের যে মূল্য ধরা হয়েছে মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় তা নেওয়া হয়েছে কি না প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের আরো একটি বৈঠক আছে সেখানে সম্পূর্ণ বিষয়টি নির্ধারণ করা হবে।
বাংলাদেশে স্কুল ফিডিং কর্মসূচি ২০০১ সালে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) সহায়তায় শুরু হয়। ২০১০ থেকে ২০২২ সালে ‘দারিদ্র্য পীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং কর্মসূচি’ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়। এরপর ৪৯২টি উপজেলা ও ২১টি শিক্ষা থানার প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য সরকারি অর্থায়নে ‘প্রাইমারি স্কুল মিল’ প্রকল্প প্রস্তাবিত হয়, যার প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা ১৭ হাজার ২৯০ কোটি টাকা।
এ প্রকল্পের অধীনে খিচুড়ি রান্না শিখতে কর্মকর্তাদের বিদেশ যাওয়ার বিষয়টি বিতর্ক সৃষ্টি করে। একনেক সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন না পেয়ে, ‘কার্যকর বিকল্প ব্যবস্থা’ গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
২০২৫ থেকে ২০২৭ সালের মধ্যে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফিডিং কর্মসূচি’ নামে নতুন প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ৫ হাজার ৪৫২ কোটি টাকার প্রাক্কলিত ব্যয়ে ডিপিপি প্রক্রিয়া পাঠানো হয়। সর্বশেষ পিইসি সভার সুপারিশ অনুযায়ী, প্রকল্পের ব্যয় ১১৮ কোটি টাকা কমিয়ে ৫ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকা পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে এবং পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে।
ধর্ষণ ও নারী অবমাননার অভিযোগে এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা ও স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার রাতে উত্তাল ছিল বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ক্যাম্পাস। রাত ৯টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলা এই বিক্ষোভে শত শত শিক্ষার্থী অংশ নেন। বিক্ষোভকারীদের দাবির মুখে রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়
৪ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রী সংস্থার সেক্রেটারি ও চাকসুর ছাত্রীকল্যাণ সম্পাদক নাহিমা আক্তার দীপা বলেছেন, বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত নারী ও শিশু নির্যাতন-ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে।
৭ ঘণ্টা আগেড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান বলেছেন, আমাদের সমাজে ঐক্যের বড় অভাব। ঐক্যের অভাবে আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্র এগুতে পারছে না।
১৮ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহিদ মীর মুগ্ধের নামে দুটি সুপেয় পানির ফিল্টারের স্থাপন করেছে ছাত্রশিবির। মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনারে একটির উদ্বোধন করেন শাখা ছাত্রশিবির সভাপতি মোহাম্মদ আলী।
১৯ ঘণ্টা আগে