বাকৃবিতে ১১ দিনেও অচলাবস্থা কাটেনি

প্রতিনিধি, বাকৃবি
প্রকাশ : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬: ৪৫

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) চলমান সংকটের ১১ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো ক্লাস-পরীক্ষা চালু হয়নি। বহিরাগতদের হামলার ঘটনার পর থেকে স্থবির হয়ে আছে একাডেমিক কার্যক্রম। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেশনজটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

গত ৩১ আগস্ট অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভায় বিএসসি ইন ভেট সায়েন্স অ্যান্ড অ্যানিম্যাল হাজবেন্ড্রি ডিগ্রি চালুর দাবিতে আন্দোলনরত ভেটেরিনারি ও পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীরা সভাস্থলে তালা লাগিয়ে শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করেন। পরে রাত আটটার দিকে বহিরাগতরা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালালে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এসময় শিক্ষকরা তালা ভেঙে বেরিয়ে আসেন। এর পর রাত সাড়ে নয়টায় অনলাইনে অনুষ্ঠিত জরুরি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয় এবং ১ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে শিক্ষার্থীরা সেই ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল জব্বার মোড়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে ভেটেরিনারি ও পশুপালন অনুষদের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। সেখানে তারা বহিরাগতদের হামলার বিচার এবং দ্রুত একাডেমিক কার্যক্রম চালুর দাবি জানান।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী শিবলী সাদী বলেন, আমরা গত ৮ সেপ্টেম্বর ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা সাথে আলোচনার সময় কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছি কিছু শর্ত সাপেক্ষে। আমরা প্রশাসনকে কয়েকটি প্রস্তাবনা দিয়েছি। কিন্তু কথা ছিল ৮ সেপ্টেম্বর রাতের মধ্যে প্রসাশন পক্ষ থেকে আমাদের সিদ্ধান্ত জানাবেন। কবে সিন্ডিকেট মিটিং হবে, টেকনিক্যাল বিষয় কিভাবে আগাবে এসব জানানোর কথা ছিলো। কিন্তু তিন দিন অতিবাহিত হলেও প্রশাসন থেকে কোনো সহযোগিতা পায়নি। ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা সাথে যোগাযোগ করলে জানান আলোচনা চলছে এখনো কমপ্লিট সিদ্ধান্তে আসতে পারিনি। আমরা জানি না কি কারণে প্রশাসন সিদ্ধান্তহীনতায় আছেন। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশন জটের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

এ সময় পশুপালন অনুষদের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এহসানুল হক হিমেল বলেন, প্রশাসনের সাথে চলমান সংকট উত্তরণে আমরা কয়েক দফা বৈঠক করেছি। সর্বশেষ গত ৮ সেপ্টেম্বর ৬টি প্রস্তাবনা দিয়েছি প্রশাসনকে। প্রস্তাবনার ২নং ও ৬নং দাবি মানার সাপেক্ষে আমরা কম্বাইন্ড ডিগ্রির দাবি মেনে নিয়েছি। প্রশাসন আমাদের জানায় একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত না মানলে সিন্ডিকেট মিটিং হবে না।

বহিরাগতদের হামলা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আটকে রাখার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। তদন্ত কমিটির আহবায়ক কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জি. এম. মুজিবর রহমান বলেন, কমিটি হওয়ার পর আমরা সদ্য বৈঠকে বসেছি। কয়েকটি প্রাথমিক কৌশল নির্ধারণ করেছি। সেই কৌশল অনুযায়ী কাজ চালিয়ে গিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনে পৌঁছানো হবে। এ কাজে কয়েকদিন সময় লাগবে। ৩১ আগস্টের ঘটনায় যারা ইন্ধন দিয়েছে, উসকানি দিয়েছে, শিক্ষকদের আটকে রেখেছে এবং বহিরাগতদের হামলার সাথে জড়িত ছিল—সবাইকে বিচারের আওতায় আনা হবে। পরবর্তীতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করে উপাচার্যের কাছে জমা দেওয়া হবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক বলেন, শিক্ষার্থীদের প্রস্তাবনার আলোকে আলোচনা চলছে। তদন্ত কমিটিসহ বিভিন্ন কমিটির সুপারিশের অপেক্ষায় আছি। খুব দ্রুতই প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

গভীর রাতে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে ওএমএসের চাল বিক্রির অভিযোগ

শপথ নিলেন পিএসসির নতুন সদস্য আফতাব হোসেন

মোটরবাইক নিষেধাজ্ঞায় বিলিয়ন ডলারের বাজার হারানোর শঙ্কায় ভিয়েতনাম

বিএনপি নেতার চাপে জুলাই হত্যা মামলার দুই আসামিকে ছেড়ে দিলেন ওসি

সাবেক আইজিপি মামুন অন্যের ঘাড়ে বন্দুক রেখে বাঁচার চেষ্টা করছেন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত