ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ অবরোধ প্রত্যাহার

প্রতিনিধি, বাকৃবি
প্রকাশ : ৩১ আগস্ট ২০২৫, ১৭: ৪২

ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ অবরোধ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থীরা। কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলমের সাথে সাক্ষাৎ করার আশ্বাসে তারা এ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন।

বিজ্ঞাপন

এরআগে, রোববার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কৃষিবিদ ঐক্য পরিষদের ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল জব্বার মোড় সংলগ্ন রেলপথে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় ঢাকাগামী ‘হাওর এক্সপ্রেস’ আটকা পড়ে। পরে তারা প্রায় দেড়ঘণ্টা পর অবরোধ প্রত্যাহার করেন।

দুপুর দেড়টার দিকে দ্বিতীয় দফায় শিক্ষার্থীরা আবারো রেলপথ অবরোধ করেন। এ সময় আটকা পড়ে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ময়মনসিংহগামী ‘মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস’। এরপর বিকেল পৌনে ৪টার দিকে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেন।

এ সময় জেলা প্রশাসক মো. মুফিদুল আলম বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো যৌক্তিক। আমি কৃষি উপদেষ্টার সাথে কথা বলেছি। তিনি বর্তমানে সিলেটে আছেন। শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে আগামী মঙ্গলবার তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল কৃষি উপদেষ্টার সাথে বৈঠক করবেন।

এরআগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কৃষি অনুষদ ছাত্র সমিতির সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল জব্বার মোড় সংলগ্ন রেলপথে আসেন।

শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি:

১. কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই), বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) ও অন্যান্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ১০ম গ্রেডের পদ (উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা/উপ-সহকারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা/সমমান) কেবল কৃষিবিদদের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।

২. নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হয়ে ৯ম গ্রেডে পদোন্নতির কোনো সুযোগ রাখা যাবে না (বিএডিসির কোটা বাতিল করতে হবে)।

৩. কৃষি বা কৃষি-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি না থাকলে নামের সঙ্গে ‘কৃষিবিদ’ পদবি ব্যবহার করা যাবে না। এ বিষয়ে সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।

কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী শিক্ষার্থী শাকিল আহমেদ বলেন, আমরা দীর্ঘ পাঁচ বছর পড়াশোনা করে এই ডিগ্রি অর্জন করি। অথচ ডিপ্লোমাধারীরা যদি আমাদের মতোই ‘কৃষিবিদ’ পদবি ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আমাদের এই ডিগ্রির গুরুত্ব কোথায়? আমরা চাই সরকার দ্রুত আমাদের দাবিগুলো মেনে নিক।

তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আফসান বলেন, বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া ছাড়া যদি কেউ ৯ম গ্রেডে পদোন্নতির সুযোগ পায় সেটি হবে মেধাবীদের সঙ্গে অবিচার। এতে ৯ম গ্রেডে কৃষি অনুষদ থেকে নিয়োগ পাওয়া কৃষিবিদদের জন্য পদসংখ্যাও সীমিত হয়ে যাবে। যা কোনোভাবেই ন্যায়সঙ্গত নয়। দীর্ঘ চার বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষে আমরা কৃষিতে বিএসসি অনার্স ডিগ্রি অর্জন করি এবং কৃষিবিদ উপাধি লাভ করি। অথচ এসএসসি পর্যায়ে পিছিয়ে থেকেও কেবল ডিপ্লোমা ডিগ্রি নিয়ে ‘কৃষিবিদ’ পদবী ব্যবহার করা মানে কৃষিবিদ পদবীকে অসম্মান করা। এটি আমরা কোনোভাবেই মেনে নেব না। আমাদের যৌক্তিক দাবি না মানা হলে সামনে আরও কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।

সাব-জেলে অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তারা, সরকারের কাছে যে আহ্বান জানালেন ব্যারিস্টার আরমান

অসদাচারণের দায়ে টঙ্গী পাইলট স্কুলের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে শোকজ

জরুরি অবস্থা জারি করলেন পেরুর প্রেসিডেন্ট

গুম-খুনে জড়িত ১৫ সেনা কর্মকর্তা চাকরিচ্যুত। ট্রাইব্যুনালে হাজির। সাবজেলে প্রেরণ

এবার ১ টাকায় গরুর মাংস বিতরণের ঘোষণা সেই এমপি প্রার্থীর

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত