দুই ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে দোকানদারের কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগ

প্রতিনিধি, ইবি
প্রকাশ : ০৬ জুলাই ২০২৫, ০২: ১৮

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ক্যাম্পাসে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রদলের দুই নেতার বিরুদ্ধে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবন সংলগ্ন দোকানের এক দোকানদার এ অভিযোগ করেছেন।

শনিবার বিকেল ৪টা নাগাদ দোকানদার আব্দুল আহাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিতভাবে অভিযোগ জমা দেন এবং পরবর্তীতে সেই অভিযোগ তুলে নেন।

অভিযুক্ত দুই নেতা হলেন- ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক ও ইংরেজি বিভাগের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী উল্লাস মাহমুদ এবং শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন।

অভিযোগে দোকানদার জানান, ঈদের ছুটির কয়েকদিন আগে ছাত্রদল নেতা তাকে দোকান বন্ধ করে দিতে বলেন। তিনি সে নির্দেশ না মানায় শনিবার বেলা দেড়টার দিকে উল্লাস মাহমুদ ও সাব্বির হোসেন দোকানে এসে তাদের বড় ভাইকে চাঁদা দেওয়ার দাবি করেন। বর্তমানে ব্যবসা নির্বিঘ্নে চালিয়ে নিতে প্রশাসনের সহায়তা চান।

দোকানদার আহাদ বলেন, ঈদের ছুটির কারণে দোকানের মালামাল নষ্ট হয়ে যায় এবং আমি ঢাকায় থাকায় দোকান খোলা সম্ভব হয়নি।

শনিবার দুপুরে হঠাৎ করে সাব্বির ভাই এবং উল্লাস ভাই দোকানে এসে আমাকে ডাকেন এবং বলেন, যেহেতু দোকান খোলার পর আমি তাদের সঙ্গে আর দেখা করিনি, তাই তাদের বড় ভাই এলে যেন আমি কিছু টাকা দিই।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, প্রক্টর অফিসে একটি লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছিল ঠিকই তবে কিছুক্ষণ পর অভিযোগটি আবার তুলেও নেওয়া হয়। কেন অভিযোগ দিল আর কেনই বা তুলে নিল সেটা সেই (দোকানদার) বলতে পারেন।

এ বিষয়ে উল্লাস মাহমুদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি কোথাও যাইনি, তাকে (দোকানদার) চিনি না। যদি সে সরাসরি প্রমাণ দিতে পারে যে আমি তার দোকানে গিয়েছি, তাহলে সে যা বলবে মাথা পেতে নেব। তবে এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। হয়ত কেউ ষড়যন্ত্র করে আমার সম্মান নষ্ট করতে চাচ্ছে।

একইভাবে অভিযুক্ত সাব্বির হোসেনও অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করে আমার দেশকে বলেন, শনিবার সকালে আমি ক্যাম্পাসে গেলেও দুপুরে সভাপতির সঙ্গে দেখা করে ঝিনাইদহে চলে যাই। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম না। এটি হয়ত কোনো পক্ষের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র।

ঠিক কোন পক্ষের ষড়যন্ত্র বলে তিনি মনে করেন তা জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করেননি।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ বলেন, প্রথমে বিষয়টি সম্পর্কে কিছু জানতাম না। সাংবাদিকদের মাধ্যমে শুনেছি। অভিযোগ তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেলে সংগঠন থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থার জন্য সুপারিশ করা হবে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত