আমার দেশ জনপ্রিয় বাংলা নিউজ পেপার

মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তিতে অনিয়মের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার

মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তিতে অনিয়মের অভিযোগ

রাজধানীর মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তিতে চরম অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। প্রতিষ্ঠানটিতে ষষ্ঠ শ্রেণির প্রভাতি ও দিবা শাখায় অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তির ক্ষেত্রে লটারির ফল অনুযায়ী প্রকাশিত সিরিয়াল ভঙ্গ করা হয়েছে। এতে তালিকার প্রথম দিকে থাকা শিক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে জানা গেছে। সরকারি এই প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে অনিয়মের ঘটনায় অভিভাবকদের মাঝে চরম ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

ভুক্তভোগী অভিভাবক সূত্রে জানা গেছে, লটারির প্রথম তালিকা অনুযায়ী ভর্তি শেষে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষার্থী ভর্তির তালিকা প্রকাশ করা হয় গতকাল রোববার। সে অনুযায়ী সোমবার থেকে তাদের ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়েছে। স্কুলের সার্কুলার অনুযায়ী প্রথম ওয়েটিং লিস্ট থেকে মেধাক্রমানুসারে শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়ার কথা। কিন্তু ডে শিফটে (বাংলা মাধ্যম) ১৬ জন শিক্ষার্থীর যে তালিকা দেওয়া হয়েছে, তাতে লটারির ফলের সিরিয়াল ভঙ্গ করা হয়েছে। এতে প্রথম দুইজনকে বাদ দিয়ে তৃতীয় থেকে নবম সিরিয়ালধারীকে ঠিক রাখা হয়েছে। পরে আবার সিরিয়াল ভঙ্গ করে নিয়ম বর্হিভূতভাবে স্থান দেওয়া হয়েছে। এমনকি শেষের দুইজনের নাম ওয়েটিং লিস্টেই নাই।

বিজ্ঞাপন

১৬ জনের ওই তালিকায় অপেক্ষমাণ সিরিয়ালের ৯ নম্বরের পরেই রাখা হয়েছে ২৩ তম শিক্ষার্থীকে। একইভাবে আবার ২৫ নম্বর সিরিয়ালের পর রাখা হয়েছে ২৯ থেকে ৩২ তম শিক্ষার্থীকে। বাকি দুইজনের নাম ওয়েটিং লিস্টে না থাকলেও তাদেরকে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া ষষ্ঠ শ্রেণির প্রভাতি শিফটে (বাংলা মাধ্যম) ভর্তির জন্য প্রথম অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ১৩ জনকে সুযোগ দেওয়া হলেও তাতে ব্যাপক অনিয়ম করা হয়েছে। এতে অপেক্ষমাণ তালিকার প্রথম পাঁচজনকে রাখা হয়েছে। তবে ষষ্ঠ সিরিয়াল ভঙ্গ করে ২২ থেকে ২৪ তম শিক্ষার্থীকে স্থান দেওয়া হয়েছে। পরে আবার ছয় জনকে বাদ দিয়ে ৩১ থেকে ৩৫ তম সিরিয়ালে থাকা শিক্ষার্থীকে ভর্তির তালিকায় রাখা হয়েছে।

এ ধরনের অনিয়মের কারণে তালিকার প্রথম দিকে থেকেও ভর্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হওয়া শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে চরম ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। তারা অবিলম্বে এই অনিয়মের তালিকা বাতিল করে নিয়মানুযায়ী ভর্তির ব্যবস্থা করতে কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে স্কুলের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) তাহমিনা ইয়াসমিনের মোবাইলে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।

Google News Icon

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর

খুঁজুন