৫ দফা দাবিতে লাগাতার কর্মসূচি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ০৫ জুলাই ২০২৫, ১৩: ১৯

বেতন বৈষম্য নিরসনে সহকারী শিক্ষকদের ১১ তম গ্রেড ও সাড়ে ৬৫ হাজার প্রধান শিক্ষককে ১০ম গ্রেডের জিও জারি করাসহ ৫ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। এসব দাবি আদায়ে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদানসহ লাগাতার কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সংগঠনটি।

শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভা থেকে এই ঘোষণা দেয় সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের এই সংগঠনটি। ‘প্রাথমিক শিক্ষায় শিক্ষকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিতকরণে অন্তরায় ও সমসাময়িক সংকট নিরসন’ শীর্ষক সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক শ্রেষ্ঠ সভাপতি ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট রফিক সিকদার।

শিক্ষকদের ৫ দফা দাবির মধ্যে আরও রয়েছে- সহকারী শিক্ষক পদকে এন্ট্রি পদ ধরে প্রধান শিক্ষকপদে শতভাগ পদোন্নতি, চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের যোগদানের তারিখ হতে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি এবং প্রধান শিক্ষকদের পদোন্নতি চালু করা, ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে শর্তহীনভাবে উচ্চতর গ্রেড বাস্তবায়ন করা, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কার্যালয় ষড়যন্ত্রমূলক সরকারি ‘ভূমি অধিগ্রহণ’ হতে মুক্ত করা এবং অবিলম্বে ৯ম পে স্কেল ঘোষণা করা।

এসব দাবি আদায়ে ১৩ জুলাই সব জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দেবে সংগঠনটি। এছাড়া ১৪ জুলাই মহাপরিচালক ও সচিবের মাধ্যমে ৭৩/২০২৩ পদোন্নতির মামলা সমাধানপূর্বক চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকদের যোগদানের তারিখ হতে এই স্মারকে পদোন্নতি প্রদান, ১৪ আগস্ট বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারিলিপি প্রদান, ১৪ সেপ্টেম্বর দাবির যৌক্তিকতা উপস্থাপনের জন্য প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং ২৮ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আমরণ অনশন করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

সমিতির সভাপতি মো. মোয়াজ্জেম হোসেন শাহীনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য ও ৫ দফা দাবি উপস্থাপন করেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক খায়রুন নাহার লিপি। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন সমিতির উপদেষ্টা ও কৃষক দলের সহ সভাপতি ভিপি ইব্রাহিম। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সমিতির নীতি নির্ধারণী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম।

এসময় শিক্ষক নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইমরান হোসেন, দপ্তর সম্পাদক মো. মিরাজ হোসেন মোল্লা, মহিলা সম্পাদক আলম নাশরাহ, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আবু নাছের আলমগীর, মোছা সালমা ও মার্জিয়া পুষ্প প্রমুখ।

বক্তারা প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নের জন্য সবার প্রতি আহবান জানানোর পাশাপাশি প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থায় চলমান সংকট ও শিক্ষকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান। জুলাই বিপ্লবের চেতনায় একনায়কতন্ত্র থেকে বেরিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে যুগপত আন্দোলন গড়ে তুলতে পারলে সব গ্লানি থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে বলেও উল্লেখ করেন শিক্ষক নেতারা।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত