কলিং ভিসা

মালয়েশিয়ায় শ্রমিকদের সুসংবাদ ও দুঃসংবাদ

মালয়েশিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৯ আগস্ট ২০২৫, ২১: ২৪
আপডেট : ২১ আগস্ট ২০২৫, ০০: ২০

অবশেষে মালয়েশিয়ায় আবারো উন্মুক্ত হচ্ছে কলিং ভিসা। কৃষি, বাগান, খনিসহ মোট ১৩টি সেক্টরে মালয়েশিয়ায় বিদেশি শ্রমিক নিয়োগে কলিং ভিসার কোটা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত উন্মুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার। এতে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের আরো কয়েক লাখ শ্রমিকের কপাল খুলবে।

মঙ্গলবার মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসিউশন ইসমাইল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। খবর দ্যা স্টার।

বিজ্ঞাপন

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন জানিয়েছেন—কৃষি, বাগান, খনিসহ ১৩টি সেক্টরে বিদেশি শ্রমিক নিয়োগের আবেদন গ্রহণ করা হবে। এর মধ্যে সার্ভিস সেক্টরের হোলসেল অ্যান্ড রিটেল, ল্যান্ড ওয়্যারহাউস, সিকিউরিটি গার্ডস, মেটাল অ্যান্ড স্ক্রাপ ম্যাটেরিয়ালস, রেস্তোরাঁ, লন্ড্রি, কার্গো, অ্যান্ড বিল্ডিং ক্লিনিং খাতে শ্রমিক নিয়োগের সুযোগ থাকছে।

তিনি আরো বলেন, নির্মাণ খাত, অর্থাৎ কনস্ট্রাকশন সেক্টরে নিয়োগ কেবল সরকারি প্রকল্পে সীমাবদ্ধ থাকবে, আর উৎপাদন (ম্যানুফ্যাকচার) খাতে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে মালয়েশিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (এমআইডিএ) আওতাধীন নতুন বিনিয়োগকে।

এবারের কলিং ভিসা, বিদেশি শ্রমিক নিয়োগের আবেদনের সুযোগ শুধু খাতভিত্তিক অফিশিয়াল এজেন্সিগুলো পাবে। আগের মতো কোনো এজেন্ট বা সরাসরি নিয়োগকর্তা স্বাধীনভাবে আবেদন করতে পারবে না। আবেদন যাচাই-বাছাই শেষে তা অনুমোদন করবে ফরেন ওয়ার্কার্স টেকনিক্যাল কমিটি এবং পরে জয়েন্ট (যৌথ) কমিটি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো জানিয়েছে, এখন ২৪ লাখ ৬৭ হাজার ৭৫৬ জন শ্রমিকের কোটা চালু আছে, যা বছর শেষ (৩১ ডিসেম্বর-২০২৫) পর্যন্ত বহাল থাকবে। এরপর বিদেশি শ্রমিক নিয়োগ সীমিত করে কেবল দেশের মোট জনশক্তির ১০ শতাংশ পর্যন্ত অনুমতি দেয়া হবে। তবে এ কোটায় বাংলাদেশিরা কতজন আবেদন করতে পারবে তা জানায়নি দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

মালয়েশিয়া সরকারের তথ্য বলছে, দেশটি বিদেশি কর্মীর উপস্থিতির সর্বোচ্চ সীমা ১০ শতাংশ নির্ধারণ করেছে। বর্তমানে এটি ১৫ শতাংশ আছে।

আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সরকার বর্তমানের ১৫ শতাংশ হারে শ্রমিকের সর্বোচ্চ সীমা পূরণ করতে পারবে। সেই হিসাবে ২০২৫ সালের জন্য বিদেশি কর্মীদের সেক্টরাল সর্বোচ্চ সীমা ২৪ লাখ ৬৭ হাজার ৭৫৬ জন। তবে ইতোমধ্যেই দেশটিতে মোট সংখ্যার অধিকাংশ শ্রমিক রয়ে গেছেন। অর্থাৎ চলতি বছরের বাকি কয়েক মাসের জন্য কোটা পূরণের অংশ হিসাবে আরও কিছু শ্রমিক নিতে পারবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

কিন্তু দেশটির যৌথ কমিটি আগামী ২০২৬ সালের প্রথম বা দ্বিতীয় প্রান্তিকের মধ্যে ১০ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য কাজ করবে। যা মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানো দেশগুলোর জন্য এক প্রকার দুঃসংবাদ।

উল্লেখ্য, দীর্ঘ চার বছরের নিষেধাজ্ঞার পর ২০২২ সালের ৯ আগস্ট বাংলাদেশ থেকে ৫৩ জন কর্মী পাঠানোর মাধ্যমে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্ত হয়। এর সাত মাস পর ২০২৩ সালের ১৮ মার্চ এক বিবৃতিতে দেশটির তৎকালীন মানবসম্পদমন্ত্রী ভি শিবকুমার বিদেশি কর্মীদের জন্য কোটার আবেদন ও অনুমোদন পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছিলেন। যা কার্যকর থাকে ২০২৫ সালের ১৯ আগস্ট পর্যন্ত।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত