অভিবাসন নীতি কঠোর করা এবং পারিবারিক পুনর্মিলনে শর্ত যোগ করার বিধান রেখে আনা একটি বিলের সংশোধনী প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে পর্তুগালের পার্লামেন্ট।
দেশটির পার্লামেন্টে বামপন্থিদের তীব্র বিরোধিতার মুখে সংখ্যাগরিষ্ঠ ডানপন্থিদের সমর্থনে বিলটি অনুমোদিত হয়।
অভিবাসন নীতিকে আরও কঠোর করে দেশটির অভিবাসন আইনে পরিবর্তন আনতে চেয়েছিল পর্তুগিজ সরকার। এর আগে পার্লামেন্টে তা অনুমোদনও পেয়েছিল। কিন্তু দেশটির প্রেসিডেন্ট ভেটো দেওয়ার কারণে পর্তুগালের সাংবিধানিক আদালত বিলটি পর্যালোচনা করে। পর্যালোচনার পর পারিবারিক পুনর্মিলন নিয়ে আপত্তি তোলার কারণে ওই বিলটি আটকে যায়।
ফলে, দেশটির ডানপন্থি সরকার তাতে আবার পরিবর্তন এনে সংশোধিত বিলটি পার্লামেন্টে উত্থাপন করে৷ নানা বিতর্ক আর আলোচনার পর মঙ্গলবার তাতে অনুমোদন দিয়েছে পার্লামেন্ট।
দরজা খোলাও নয়, বন্ধও নয়
সরকারের মুখপাত্র ও মন্ত্রিপরিষদের সদস্য আন্তোনিও লেইতাও আমারো বলেছেন, সংশোধিত বিলটি অভিবাসন ইস্যুতে ‘সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখবে—অভিবাসীদের জন্য দরজা পুরোপুরি খোলাও নয়, আবার বন্ধও নয়।’
দেশটি তার শ্রমবাজারের চাহিদা ও সামাজিক অন্তর্ভুক্তির সক্ষমতার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে অভিবাসনকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায় বলে জানান তিনি।
পার্লামেন্টে আইনপ্রণেতাদের ভোটের আগে আন্তোনিও লেইতাও আমারো বলেন, ‘কিন্তু দায়িত্বজ্ঞানহীন অভিবাসন নীতির সময় শেষ।’
শিগগিরই কার্যকর হতে পারে আইনটি
পার্লামেন্টের অনুমোদনের পর এই বিলটি আবারও প্রেসিডেন্ট মার্সেলো রেবেলো দি সুজার কাছে পাঠানো হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, তার হাতে আট দিন সময় রয়েছে। এর মধ্যে তিনি বিলটিতে সই করবেন, নয়তো আবারও পর্যালোচনার জন্য সাংবিধানিক আদালতে পাঠাবেন।
সাংবিধানিক আদালতের বিচারকদের অনুমোদিত সংস্করণটি কোনো পরিবর্তন ছাড়াই গ্রহণ করেছে সরকারি দল। তাই আশা করা হচ্ছে, প্রেসিডেন্ট দ্রুতই বিলটিতে সই করবেন। তার সইয়ের পরই তা আইনে রূপ নেবে এবং সরকারি গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।

