রুমান হাফিজ
ইমাম ফয়সাল ভাইয়ের সঙ্গে বের হয়েছি। ঈদুল আজহার দিন। তখন ঘড়িতে সকাল ৮টা। রোদ ঝলমলে সকাল। ফয়সাল ভাইয়ের গন্তব্য গিডিএ পার্ক, সেখানে তিনি ঈদের জামাত পড়াবেন। আমি এক আত্মীয়ের সঙ্গে দেখা করতে গেলাম বিগল্যান্ড স্ট্রিটে। ফিরতে হবে সাড়ে ৯টার মধ্যেই। কারণ পূর্বনির্ধারিত সময়ে ঈদের জামাত পড়ব। শেডওয়েল স্টেশন পার্শ্ববর্তী এসটি জর্জস গার্ডেনে। ‘আমরা’ বলতে লন্ডনে বসবাসরত কানাইঘাট উপজেলার তরুণরাই।
যখন বের হয়েছিলাম তখন রোদ ঝলমলে পরিবেশ। কিন্তু আধা ঘণ্টা যেতে না যেতেই সে কী বৃষ্টি! নিমিষেই হারিয়ে গেল রোদ। বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ের তীব্রতা। মন খারাপ করা এক আবহাওয়া। চিন্তা হচ্ছিল সময়মতো ঈদের জামাত পড়তে পারা নিয়ে। কিন্তু বিলেত এমন এক আবহাওয়ার দেশ যেখানে কোনো ধরনের সম্ভাব্যতা নিরূপণ করা কঠিন। এই রোদ তো এই বৃষ্টি!
আবহাওয়ার প্রতিকূলতা ডিঙিয়েও পরিকল্পনা চলল—অনেক পরামর্শ, আলোচনা। ততক্ষণে বৃষ্টি আর ঝোড়ো বাতাসের প্রতিবন্ধকতা কেটেছে। আবারও সকালের সুন্দর রৌদ্রময় পরিবেশ। মওদুদ ভাইয়ের কল; জানালেন, তিনি রেডব্রিজ থেকে চলে এসেছেন আমাদের সঙ্গে যুক্ত হতে। যদিও শেডওয়েল থেকে রেডব্রিজের দূরত্ব একেবারে কম নয়, তবুও আপন নীড়ের মানুষের সঙ্গে ঈদ্ উদ্যাপনের সুযোগ হাতছাড়া করতে রাজি নয়। সময়ের আগেই সবাই পৌঁছে গেলাম। অন্যতম আয়োজক ইব্রাহীম আলী আর হাফিজ সুহেল ভাই মিলে সবকিছুর বন্দোবস্ত করে রেখেছেন। ফলে দ্রুত সময়েই আমরা ঈদ জামাত শুরু করতে পেরেছি।
ইব্রাহিম ভাই যথারীতি খুতবা দিলেন। ইংরেজি আর আরবির সমন্বয়। নামাজও তিনি পড়ালেন। এরপর শুরু হলো ঈদ আড্ডা ও কোলাকুলি। সেমাই, সন্দেশ ও ফলমূল থেকে শুরু করে আরো অনেক কিছু। চায়ের পর্বের সঙ্গেই সম্মিলিত কণ্ঠে গান—তাল ও সুর না মিললেও ঈদ আনন্দ বাড়িয়ে দিতে বেশ ভূমিকা রাখল।
কয়েক বছর ধরে লন্ডনে আছেন কাওছার আহমদ। তিনি বলেন, দেশ আর দেশের বাইরের ঈদের পার্থক্য বেশ, যা এখানে না এলে হয়তো উপলব্ধি করতে পারতাম না। কষ্টের অনুভূতিকে বাস্তবতার পাল্লায় রেখে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা, তবুও রয়ে যায় আক্ষেপ। তবে এই ঈদে এলাকার তরুণদের নিয়ে এমন আয়োজন যেন ভুলিয়ে দিয়েছে এটা প্রবাসের ঈদ। মনে হচ্ছে, দেশেই আছি। সৌভাগ্যের বিষয় নিশ্চয়ই।
আর ইব্রাহীম আলী বলেন, এলাকার মানুষদের নিয়ে ঈদ করার চিন্তা অনেক দিনের। নানা কারণে সম্ভব হচ্ছিল না। এবার ছোট পরিসরে হলেও আয়োজন করা হয়েছে। এতে সাড়া দিয়ে এসেছেন অনেক ভাই। তাদের উপস্থিতি আয়োজনকে করেছে উৎসবমুখর। খানিকটা সময় যেন ভুলে গিয়েছিলাম প্রবাসে ঈদ করছি। সবার সঙ্গে গল্প-আড্ডায় মুহূর্তটা দ্রুতই শেষ হয়ে যায়। স্মৃতিতে লেগে আছে দেশীয় ঈদের আবহ। আগামী দিনে আরো বড় করে আয়োজন করার চিন্তা আছে।
এদিকে ঈদের জামাত শেষ। আমাদের গল্প যেন শেষ হতে চায় না, কিন্তু তাড়া সবার। কারো কাজের কারো আবার দূর গন্তব্যের। এমন সময় আবু সালেহ ইয়াহইয়া ভাইয়ের কল। বাসায় যেতে হবে, কিন্তু দ্রুত যেতে পারলাম না। গেলাম দুপুরে। সেখানে আরো দুজন মেহমান। একসঙ্গে ঢুকলাম। টেবিলে সাজিয়ে রাখা যথারীতি দেশীয় নাশতা। ক্ষুধা নেই। তবুও নিয়ম রক্ষার চেষ্টা। চলল গল্প। স্মৃতির ঝাঁপি থেকে গল্পেরা যেন হাঁপ ছেড়ে বাঁচল! কাজ আর সময়ের সীমাবদ্ধতায় এভাবে বসে গল্প করার ফুরসত এখানে খুব কমই মেলে। সালেহ ভাই দুপুরের খাবার নিয়ে হাজির। গরুর গোশতের সঙ্গে পরোটা। দেশি খাবারের আমেজ।
বিকাল ৫টা। ফেরার সময়। তখনো সূর্যের প্রখরতা বিরাজমান। আমার কাজ শুরু ৬টায়। ঈদ বলে আলাদা ছুটি নেই। ট্রেন চলছে গন্তব্যের দিকে। আমার মনে ঘুরপাক খাচ্ছে দিনের জমা সব স্মৃতি; গ্রুপ ছবির জন্য দাঁড়িয়ে আবারও সমন্বিত সুরে গাওয়া গানের কথা—‘পরের জায়গা পরের জমিন ঘর বানাইয়া আমি রই, আমি তো সেই ঘরের মালিক নই...’
ইমাম ফয়সাল ভাইয়ের সঙ্গে বের হয়েছি। ঈদুল আজহার দিন। তখন ঘড়িতে সকাল ৮টা। রোদ ঝলমলে সকাল। ফয়সাল ভাইয়ের গন্তব্য গিডিএ পার্ক, সেখানে তিনি ঈদের জামাত পড়াবেন। আমি এক আত্মীয়ের সঙ্গে দেখা করতে গেলাম বিগল্যান্ড স্ট্রিটে। ফিরতে হবে সাড়ে ৯টার মধ্যেই। কারণ পূর্বনির্ধারিত সময়ে ঈদের জামাত পড়ব। শেডওয়েল স্টেশন পার্শ্ববর্তী এসটি জর্জস গার্ডেনে। ‘আমরা’ বলতে লন্ডনে বসবাসরত কানাইঘাট উপজেলার তরুণরাই।
যখন বের হয়েছিলাম তখন রোদ ঝলমলে পরিবেশ। কিন্তু আধা ঘণ্টা যেতে না যেতেই সে কী বৃষ্টি! নিমিষেই হারিয়ে গেল রোদ। বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ের তীব্রতা। মন খারাপ করা এক আবহাওয়া। চিন্তা হচ্ছিল সময়মতো ঈদের জামাত পড়তে পারা নিয়ে। কিন্তু বিলেত এমন এক আবহাওয়ার দেশ যেখানে কোনো ধরনের সম্ভাব্যতা নিরূপণ করা কঠিন। এই রোদ তো এই বৃষ্টি!
আবহাওয়ার প্রতিকূলতা ডিঙিয়েও পরিকল্পনা চলল—অনেক পরামর্শ, আলোচনা। ততক্ষণে বৃষ্টি আর ঝোড়ো বাতাসের প্রতিবন্ধকতা কেটেছে। আবারও সকালের সুন্দর রৌদ্রময় পরিবেশ। মওদুদ ভাইয়ের কল; জানালেন, তিনি রেডব্রিজ থেকে চলে এসেছেন আমাদের সঙ্গে যুক্ত হতে। যদিও শেডওয়েল থেকে রেডব্রিজের দূরত্ব একেবারে কম নয়, তবুও আপন নীড়ের মানুষের সঙ্গে ঈদ্ উদ্যাপনের সুযোগ হাতছাড়া করতে রাজি নয়। সময়ের আগেই সবাই পৌঁছে গেলাম। অন্যতম আয়োজক ইব্রাহীম আলী আর হাফিজ সুহেল ভাই মিলে সবকিছুর বন্দোবস্ত করে রেখেছেন। ফলে দ্রুত সময়েই আমরা ঈদ জামাত শুরু করতে পেরেছি।
ইব্রাহিম ভাই যথারীতি খুতবা দিলেন। ইংরেজি আর আরবির সমন্বয়। নামাজও তিনি পড়ালেন। এরপর শুরু হলো ঈদ আড্ডা ও কোলাকুলি। সেমাই, সন্দেশ ও ফলমূল থেকে শুরু করে আরো অনেক কিছু। চায়ের পর্বের সঙ্গেই সম্মিলিত কণ্ঠে গান—তাল ও সুর না মিললেও ঈদ আনন্দ বাড়িয়ে দিতে বেশ ভূমিকা রাখল।
কয়েক বছর ধরে লন্ডনে আছেন কাওছার আহমদ। তিনি বলেন, দেশ আর দেশের বাইরের ঈদের পার্থক্য বেশ, যা এখানে না এলে হয়তো উপলব্ধি করতে পারতাম না। কষ্টের অনুভূতিকে বাস্তবতার পাল্লায় রেখে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা, তবুও রয়ে যায় আক্ষেপ। তবে এই ঈদে এলাকার তরুণদের নিয়ে এমন আয়োজন যেন ভুলিয়ে দিয়েছে এটা প্রবাসের ঈদ। মনে হচ্ছে, দেশেই আছি। সৌভাগ্যের বিষয় নিশ্চয়ই।
আর ইব্রাহীম আলী বলেন, এলাকার মানুষদের নিয়ে ঈদ করার চিন্তা অনেক দিনের। নানা কারণে সম্ভব হচ্ছিল না। এবার ছোট পরিসরে হলেও আয়োজন করা হয়েছে। এতে সাড়া দিয়ে এসেছেন অনেক ভাই। তাদের উপস্থিতি আয়োজনকে করেছে উৎসবমুখর। খানিকটা সময় যেন ভুলে গিয়েছিলাম প্রবাসে ঈদ করছি। সবার সঙ্গে গল্প-আড্ডায় মুহূর্তটা দ্রুতই শেষ হয়ে যায়। স্মৃতিতে লেগে আছে দেশীয় ঈদের আবহ। আগামী দিনে আরো বড় করে আয়োজন করার চিন্তা আছে।
এদিকে ঈদের জামাত শেষ। আমাদের গল্প যেন শেষ হতে চায় না, কিন্তু তাড়া সবার। কারো কাজের কারো আবার দূর গন্তব্যের। এমন সময় আবু সালেহ ইয়াহইয়া ভাইয়ের কল। বাসায় যেতে হবে, কিন্তু দ্রুত যেতে পারলাম না। গেলাম দুপুরে। সেখানে আরো দুজন মেহমান। একসঙ্গে ঢুকলাম। টেবিলে সাজিয়ে রাখা যথারীতি দেশীয় নাশতা। ক্ষুধা নেই। তবুও নিয়ম রক্ষার চেষ্টা। চলল গল্প। স্মৃতির ঝাঁপি থেকে গল্পেরা যেন হাঁপ ছেড়ে বাঁচল! কাজ আর সময়ের সীমাবদ্ধতায় এভাবে বসে গল্প করার ফুরসত এখানে খুব কমই মেলে। সালেহ ভাই দুপুরের খাবার নিয়ে হাজির। গরুর গোশতের সঙ্গে পরোটা। দেশি খাবারের আমেজ।
বিকাল ৫টা। ফেরার সময়। তখনো সূর্যের প্রখরতা বিরাজমান। আমার কাজ শুরু ৬টায়। ঈদ বলে আলাদা ছুটি নেই। ট্রেন চলছে গন্তব্যের দিকে। আমার মনে ঘুরপাক খাচ্ছে দিনের জমা সব স্মৃতি; গ্রুপ ছবির জন্য দাঁড়িয়ে আবারও সমন্বিত সুরে গাওয়া গানের কথা—‘পরের জায়গা পরের জমিন ঘর বানাইয়া আমি রই, আমি তো সেই ঘরের মালিক নই...’
সৌদি আরবে অবস্থানরত প্রবাসী কর্মীরা তাদের নিয়োগকর্তার (স্পন্সর) অনুমতি ছাড়াই চাকরি পরিবর্তন করতে পারবেন এবং সহজেই সৌদি আরবে প্রবেশ ও বের হওয়ার স্বাধীনতা পাবেন।
৪ ঘণ্টা আগেআসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে মালয়েশিয়াজুড়ে নিরাপত্তা ও আগমন কার্যক্রম নির্বিঘ্ন রাখতে মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগ তিন হাজারেরও বেশি কর্মকর্তাকে দেশের সব প্রবেশপথে নিয়োগ দিয়েছে।
৫ দিন আগেজার্মানির ফ্রাঙ্কফুট শহরে আরম্ভ হয়েছে পাঁচ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক বইমেলা। মেলায় বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন উদ্বোধন করেন জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জুলকারনাইন।
৭ দিন আগেজার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট শহরে আরম্ভ হয়েছে পাঁচ দিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক বইমেলা।বইমেলায় বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন উদ্বোধন করেন জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জুলকারনাইন।
৭ দিন আগে