ফারুক আমিন, অস্ট্রেলিয়া
ফিলিস্তিনে ইসরাইলের চলমান গণহত্যা বন্ধ এবং অপরাধীদের শাস্তির দাবিতে দেশটির ইতিহাসের সর্ববৃহৎ বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়েছে।
রোববার অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে প্যালেস্টাইন একশন গ্রুপ নামক সংগঠনের উদ্যোগে
এ বিক্ষোভ সমাবেশ সম্পন্ন হয়।
বিক্ষোভে সিডনির বিখ্যাত হারবার ব্রিজের উপর দিয়ে যাওয়া মিছিলে লক্ষাধিক মানুষের সাথে যোগ দিয়েছেন উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান এসাঞ্জ, গ্রিনস পার্টির সিনেটর ডেভিড শুব্রিজ সহ বিপুল সংখ্যক রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ।
প্যালেস্টাইন একশন গ্রুপ গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে সিডনি সেন্ট্রাল বিজনেস ডিস্ট্রিক্টের (সিবিডি) প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত হাইড পার্কে প্রতি রোববার ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধের দাবীতে প্রতিবাদ সমাবেশ করে আসছে।
সম্প্রতি তারা ঘোষণা দেয় ৩ আগস্ট রোববারের আয়োজনটি সিডনি হারবার ব্রিজের উপর মিছিলের মাধ্যমে করার। হারবার ব্রিজ সিডনি এবং অস্ট্রেলিয়ার সংস্কৃতিতে একটি প্রতীকী গুরুত্ব বহন করে।
জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ উপলক্ষ্য ছাড়া সাধারণত এই ব্রিজ কখনোই বন্ধ করা হয় না। প্যালেস্টাইন একশন গ্রুপ নিয়ম মেনে নিউ সাউথ ওয়েলস স্টেট পুলিশের কাছে হারবার ব্রিজে বিক্ষোভ সমাবেশের অনুমতি চেয়ে আবেদন করলে পুলিশ সে আবেদন প্রত্যাখ্যান করে এবং একই সাথে এ প্রতিবাদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
এনএসডব্লিউ স্টেটের প্রিমিয়ার এবং লেবার পার্টির ইসরাইলপন্থী নেতা ক্রিস মিনস নিজেও এ সমাবেশের বিরুদ্ধে কট্টর অবস্থান গ্রহণ করেন।
সাম্প্রতিক নির্বাচনে হেরে যাওয়া লিবারেল পার্টির ডানপন্থি ও কট্টরপন্থী নেতারা এবং অস্ট্রেলিয়ার সকল ডানপন্থি গণমাধ্যম ও বুদ্ধিজীবীরা একত্রে এই সমাবেশের বিরুদ্ধে দেশ জুড়ে বিষোদ্গার শুরু করে।
আয়োজনকারী সংগঠন প্যালেস্টাইন একশন গ্রুপ এনএসডব্লিউ পুলিশের এ নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে স্টেট সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করলে সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস শুক্রবারেও এর কোন সুরাহা হয়নি।
পরবর্তী ছুটির দিন শনিবার সকালে সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ সেশন আহবান করে বিস্তারিত শুনানি শেষে জাস্টিস বেলিন্ডা রিগ পুলিশের প্রহিবিশন অর্ডার বা নিষেধাজ্ঞাকে বাতিল ঘোষণা করে।
তিনি একই সাথে এই সমাবেশকে জনগণের মত প্রকাশের স্বাধীনতা হিসেবে আখ্যা দেন। সিডনির লর্ড মেয়র ক্লোভার মোর বিবৃতি দিয়ে বলেন, এই প্রতিবাদ অস্ট্রেলিয়ান গণমানুষের রাজনৈতিক অধিকারের একটি শক্তিশালী প্রতীক।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর বাধ্য হয়ে পুলিশ আজ রোববার দিনের বেলায় পাঁচ ঘন্টার জন্য সিডনি হারবার ব্রিজে যান চলাচল আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ ঘোষণা করে।
সকাল থেকে সিডনির দূর দূরান্তের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মানুষ সিডনি সিবিডিতে জড়ো হতে শুরু করে। প্রচণ্ড ঠান্ডা ও বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে নানা বয়স, ধর্মের ও বর্ণের মানুষ ট্রেনে ও বাসে চড়ে এবং নিকটবর্তী এলাকাগুলো থেকে মিছিল করে সিডনি সিবিডিতে জড়ো হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশ আরম্ভের নির্ধারিত সময় দুপুর একটার মাঝেই সম্পূর্ণ সিবিডি এলাকা মানুষের ভিড়ে অচল হয়ে যায়। দক্ষিণে হারবার ব্রিজের গোড়ায় উইনিয়ার্ড ট্রেন স্টেশনের পাশের ইয়র্ক স্ট্রিট থেকে শুরু করে সিডনি সিবিডির প্রতিটি রাস্তা এবং অপর প্রান্ত চায়নাটাউন ছাড়িয়েও মানুষের ভীড় উপচে পড়ে সারি হিলস, রেডফার্ন এসব এলাকায়। সবগুলো রাস্তায় মানুষ নিজেদের মতো করে স্লোগান দিচ্ছিলো।
ফ্রম দা রিভার টু দা সি, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি সহ নানা স্লোগান, ঢোলের তালে তালে আওয়াজ ও গানে মুখরিত হয়ে উঠে সিডনির রাস্তাগুলো।
এই বিপুল জনসমাবেশে অসংখ্য মানুষ নিজেদের উদ্যোগে বিভিন্ন শুকনো খাবার ও বৃষ্টি থেকে বাঁচার জন্য প্লাস্টিকের আবরণ অন্যদের মাঝে বিতরণ করে। অসংখ্য পরিবার তাদের দুগ্ধপোষ্য শিশুদেরকে প্র্যামে চড়িয়ে বিক্ষোভে অংশ নেয়।
বাবার কাঁধে চড়ে শিশুদেরকে এবং অনেক বৃদ্ধ ও বয়স্ক মানুষদেরকে হুইল চেয়ারে চড়ে বিক্ষোভে অংশ নিতে দেখা যায়। শিশু, কিশোর, তরুণ থেকে শুরু করে নারী, পুরুষ সব ধরনের মানুষের অংশগ্রহণ দেখা যায়। সিডনির মানুষ আজকের এ প্রতিবাদে বন্যার ঢলের মতো নেমে এসেছে।
দুপুর একটার পর হারবার ব্রিজের উপর দিয়ে বিপুল জনস্রোত নর্থ সিডনির দিকে অগ্রসর হতে শুরু করে। ধীরে ধীরে চলমান এ মিছিলের এক পর্যায়ে বিকেল আড়াইটার দিকে পুলিশ এক পর্যায়ে ঘোষণা করে ব্রিজের উপর নব্বই হাজার মানুষ উঠে গিয়েছে যা বিপদজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে।
এ সময় জিওলোকেশন টার্গেটেড মাস-এসএমএস এর মাধ্যমে পুলিশ সবার মোবাইলে মেসেজ পাঠিয়ে শান্ত থাকার এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য পুলিশের সাথে সহযোগিতা করার আহবান জানায়। সম্পূর্ণ ব্রিজ এবং ব্রিজের দুই পাশ মানুষের স্রোতে ভরে গিয়েছিলো। একই সাথে সিডনি সিবিডিও মানুষের ভিড়ে জনাকীর্ণ ছিলো।
বিপুল সংখ্যার কারণে অর্ধেকের বেশি অংশগ্রহণকারী ব্রিজের কাছাকিাছি যাওয়ার সুযোগও পায়নি। আয়োজক সংগঠন প্যালেস্টাইন একশন গ্রুপ তাদের ফেইসবুক পেইজে তিন লক্ষাধিক মানুষের অংশগ্রহণের দাবী করেছে।
অস্ট্রেলিয়ার মূল ধারার গণমাধ্যমগুলো তাদের রক্ষণশীল হিসেবে দেড় থেকে দুই লক্ষ মানুষের অংশগ্রহণের কথা লিখেছে।
পরবর্তীতে বিকেলের দিকে মাথার উপর উড়তে থাকা এবং মাইকে বিভিন্ন ঘোষণা দিতে থাকা বেশি কয়েকটি পুলিশ হেলিকপটার, বিপুল সংখ্যক হর্স-মাউন্টেড পুলিশ এবং কয়েক হাজার পদাতিক পুলিশের সহযোগিতায় প্রচণ্ড বৃষ্টির মাঝেই শেষ বিকেলে ধীরে ধীরে সমাবেশে অংশ নেয়া মানুষরা ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে সিবিডির বিভিন্ন ট্রেন স্টেশন এবং ফেরি ঘাটের দিকে চলে যায়।
প্যালেস্টাইন একশন গ্রুপ (পিএজি) এই সমাবেশের আয়োজন করলেও মূলত সাধারণ মানুষের ছোট ছোট দলগুলো নিজেরাই নিজেদের মতো স্লোগান দিয়েছে। এতো বিপুল সংখ্যক মানুষের মাঝে কোন আনুষ্ঠানিক মঞ্চ ছিলো না, ছিলো না কোন নির্দিষ্ট বক্তাদের বক্তৃতা।
পুরো সিডনি সিবিডি জুড়ে কয়েক হাজার পিএজির স্বেচ্ছাসেবক হ্যান্ডমাইক হাতে শৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্ব পালন করেছে। সমাবেশটিতে অসংখ্য ধর্মীয় সংগঠন, পেশাজীবী সংগঠন, ইউনিয়ন ও সামাজিক সংগঠন নিজ নিজ ব্যানার নিয়ে অংশগ্রহণ করে।
পুরো সমাবেশ জুড়েই লক্ষাধিক মা্নুষ ফিলিস্তিনে চলমান গণহতার জন্য ইসরাইল ও নেতানিয়াহুকে ধিক্কার জানায়। সমাবেশে গণহত্যায় সমর্থনের জন্য প্রধানমন্ত্রী আলবানিজির ব্যাঙ্গাত্বক ক্যারিকেচার হাতে অনেককে অস্ট্রেলিয়ান সরকার ও লেবার পার্টির প্রতিও ধিক্কার জানাতে দেখা গেছে।
ফিলিস্তিনে ইসরাইলের চলমান গণহত্যা বন্ধ এবং অপরাধীদের শাস্তির দাবিতে দেশটির ইতিহাসের সর্ববৃহৎ বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়েছে।
রোববার অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে প্যালেস্টাইন একশন গ্রুপ নামক সংগঠনের উদ্যোগে
এ বিক্ষোভ সমাবেশ সম্পন্ন হয়।
বিক্ষোভে সিডনির বিখ্যাত হারবার ব্রিজের উপর দিয়ে যাওয়া মিছিলে লক্ষাধিক মানুষের সাথে যোগ দিয়েছেন উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান এসাঞ্জ, গ্রিনস পার্টির সিনেটর ডেভিড শুব্রিজ সহ বিপুল সংখ্যক রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ।
প্যালেস্টাইন একশন গ্রুপ গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে সিডনি সেন্ট্রাল বিজনেস ডিস্ট্রিক্টের (সিবিডি) প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত হাইড পার্কে প্রতি রোববার ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধের দাবীতে প্রতিবাদ সমাবেশ করে আসছে।
সম্প্রতি তারা ঘোষণা দেয় ৩ আগস্ট রোববারের আয়োজনটি সিডনি হারবার ব্রিজের উপর মিছিলের মাধ্যমে করার। হারবার ব্রিজ সিডনি এবং অস্ট্রেলিয়ার সংস্কৃতিতে একটি প্রতীকী গুরুত্ব বহন করে।
জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ উপলক্ষ্য ছাড়া সাধারণত এই ব্রিজ কখনোই বন্ধ করা হয় না। প্যালেস্টাইন একশন গ্রুপ নিয়ম মেনে নিউ সাউথ ওয়েলস স্টেট পুলিশের কাছে হারবার ব্রিজে বিক্ষোভ সমাবেশের অনুমতি চেয়ে আবেদন করলে পুলিশ সে আবেদন প্রত্যাখ্যান করে এবং একই সাথে এ প্রতিবাদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
এনএসডব্লিউ স্টেটের প্রিমিয়ার এবং লেবার পার্টির ইসরাইলপন্থী নেতা ক্রিস মিনস নিজেও এ সমাবেশের বিরুদ্ধে কট্টর অবস্থান গ্রহণ করেন।
সাম্প্রতিক নির্বাচনে হেরে যাওয়া লিবারেল পার্টির ডানপন্থি ও কট্টরপন্থী নেতারা এবং অস্ট্রেলিয়ার সকল ডানপন্থি গণমাধ্যম ও বুদ্ধিজীবীরা একত্রে এই সমাবেশের বিরুদ্ধে দেশ জুড়ে বিষোদ্গার শুরু করে।
আয়োজনকারী সংগঠন প্যালেস্টাইন একশন গ্রুপ এনএসডব্লিউ পুলিশের এ নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে স্টেট সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করলে সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস শুক্রবারেও এর কোন সুরাহা হয়নি।
পরবর্তী ছুটির দিন শনিবার সকালে সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ সেশন আহবান করে বিস্তারিত শুনানি শেষে জাস্টিস বেলিন্ডা রিগ পুলিশের প্রহিবিশন অর্ডার বা নিষেধাজ্ঞাকে বাতিল ঘোষণা করে।
তিনি একই সাথে এই সমাবেশকে জনগণের মত প্রকাশের স্বাধীনতা হিসেবে আখ্যা দেন। সিডনির লর্ড মেয়র ক্লোভার মোর বিবৃতি দিয়ে বলেন, এই প্রতিবাদ অস্ট্রেলিয়ান গণমানুষের রাজনৈতিক অধিকারের একটি শক্তিশালী প্রতীক।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর বাধ্য হয়ে পুলিশ আজ রোববার দিনের বেলায় পাঁচ ঘন্টার জন্য সিডনি হারবার ব্রিজে যান চলাচল আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ ঘোষণা করে।
সকাল থেকে সিডনির দূর দূরান্তের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মানুষ সিডনি সিবিডিতে জড়ো হতে শুরু করে। প্রচণ্ড ঠান্ডা ও বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে নানা বয়স, ধর্মের ও বর্ণের মানুষ ট্রেনে ও বাসে চড়ে এবং নিকটবর্তী এলাকাগুলো থেকে মিছিল করে সিডনি সিবিডিতে জড়ো হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশ আরম্ভের নির্ধারিত সময় দুপুর একটার মাঝেই সম্পূর্ণ সিবিডি এলাকা মানুষের ভিড়ে অচল হয়ে যায়। দক্ষিণে হারবার ব্রিজের গোড়ায় উইনিয়ার্ড ট্রেন স্টেশনের পাশের ইয়র্ক স্ট্রিট থেকে শুরু করে সিডনি সিবিডির প্রতিটি রাস্তা এবং অপর প্রান্ত চায়নাটাউন ছাড়িয়েও মানুষের ভীড় উপচে পড়ে সারি হিলস, রেডফার্ন এসব এলাকায়। সবগুলো রাস্তায় মানুষ নিজেদের মতো করে স্লোগান দিচ্ছিলো।
ফ্রম দা রিভার টু দা সি, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি সহ নানা স্লোগান, ঢোলের তালে তালে আওয়াজ ও গানে মুখরিত হয়ে উঠে সিডনির রাস্তাগুলো।
এই বিপুল জনসমাবেশে অসংখ্য মানুষ নিজেদের উদ্যোগে বিভিন্ন শুকনো খাবার ও বৃষ্টি থেকে বাঁচার জন্য প্লাস্টিকের আবরণ অন্যদের মাঝে বিতরণ করে। অসংখ্য পরিবার তাদের দুগ্ধপোষ্য শিশুদেরকে প্র্যামে চড়িয়ে বিক্ষোভে অংশ নেয়।
বাবার কাঁধে চড়ে শিশুদেরকে এবং অনেক বৃদ্ধ ও বয়স্ক মানুষদেরকে হুইল চেয়ারে চড়ে বিক্ষোভে অংশ নিতে দেখা যায়। শিশু, কিশোর, তরুণ থেকে শুরু করে নারী, পুরুষ সব ধরনের মানুষের অংশগ্রহণ দেখা যায়। সিডনির মানুষ আজকের এ প্রতিবাদে বন্যার ঢলের মতো নেমে এসেছে।
দুপুর একটার পর হারবার ব্রিজের উপর দিয়ে বিপুল জনস্রোত নর্থ সিডনির দিকে অগ্রসর হতে শুরু করে। ধীরে ধীরে চলমান এ মিছিলের এক পর্যায়ে বিকেল আড়াইটার দিকে পুলিশ এক পর্যায়ে ঘোষণা করে ব্রিজের উপর নব্বই হাজার মানুষ উঠে গিয়েছে যা বিপদজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে।
এ সময় জিওলোকেশন টার্গেটেড মাস-এসএমএস এর মাধ্যমে পুলিশ সবার মোবাইলে মেসেজ পাঠিয়ে শান্ত থাকার এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য পুলিশের সাথে সহযোগিতা করার আহবান জানায়। সম্পূর্ণ ব্রিজ এবং ব্রিজের দুই পাশ মানুষের স্রোতে ভরে গিয়েছিলো। একই সাথে সিডনি সিবিডিও মানুষের ভিড়ে জনাকীর্ণ ছিলো।
বিপুল সংখ্যার কারণে অর্ধেকের বেশি অংশগ্রহণকারী ব্রিজের কাছাকিাছি যাওয়ার সুযোগও পায়নি। আয়োজক সংগঠন প্যালেস্টাইন একশন গ্রুপ তাদের ফেইসবুক পেইজে তিন লক্ষাধিক মানুষের অংশগ্রহণের দাবী করেছে।
অস্ট্রেলিয়ার মূল ধারার গণমাধ্যমগুলো তাদের রক্ষণশীল হিসেবে দেড় থেকে দুই লক্ষ মানুষের অংশগ্রহণের কথা লিখেছে।
পরবর্তীতে বিকেলের দিকে মাথার উপর উড়তে থাকা এবং মাইকে বিভিন্ন ঘোষণা দিতে থাকা বেশি কয়েকটি পুলিশ হেলিকপটার, বিপুল সংখ্যক হর্স-মাউন্টেড পুলিশ এবং কয়েক হাজার পদাতিক পুলিশের সহযোগিতায় প্রচণ্ড বৃষ্টির মাঝেই শেষ বিকেলে ধীরে ধীরে সমাবেশে অংশ নেয়া মানুষরা ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে সিবিডির বিভিন্ন ট্রেন স্টেশন এবং ফেরি ঘাটের দিকে চলে যায়।
প্যালেস্টাইন একশন গ্রুপ (পিএজি) এই সমাবেশের আয়োজন করলেও মূলত সাধারণ মানুষের ছোট ছোট দলগুলো নিজেরাই নিজেদের মতো স্লোগান দিয়েছে। এতো বিপুল সংখ্যক মানুষের মাঝে কোন আনুষ্ঠানিক মঞ্চ ছিলো না, ছিলো না কোন নির্দিষ্ট বক্তাদের বক্তৃতা।
পুরো সিডনি সিবিডি জুড়ে কয়েক হাজার পিএজির স্বেচ্ছাসেবক হ্যান্ডমাইক হাতে শৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্ব পালন করেছে। সমাবেশটিতে অসংখ্য ধর্মীয় সংগঠন, পেশাজীবী সংগঠন, ইউনিয়ন ও সামাজিক সংগঠন নিজ নিজ ব্যানার নিয়ে অংশগ্রহণ করে।
পুরো সমাবেশ জুড়েই লক্ষাধিক মা্নুষ ফিলিস্তিনে চলমান গণহতার জন্য ইসরাইল ও নেতানিয়াহুকে ধিক্কার জানায়। সমাবেশে গণহত্যায় সমর্থনের জন্য প্রধানমন্ত্রী আলবানিজির ব্যাঙ্গাত্বক ক্যারিকেচার হাতে অনেককে অস্ট্রেলিয়ান সরকার ও লেবার পার্টির প্রতিও ধিক্কার জানাতে দেখা গেছে।
আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে মালয়েশিয়াজুড়ে নিরাপত্তা ও আগমন কার্যক্রম নির্বিঘ্ন রাখতে মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগ তিন হাজারেরও বেশি কর্মকর্তাকে দেশের সব প্রবেশপথে নিয়োগ দিয়েছে।
৫ দিন আগেজার্মানির ফ্রাঙ্কফুট শহরে আরম্ভ হয়েছে পাঁচ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক বইমেলা। মেলায় বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন উদ্বোধন করেন জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জুলকারনাইন।
৭ দিন আগেজার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট শহরে আরম্ভ হয়েছে পাঁচ দিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক বইমেলা।বইমেলায় বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন উদ্বোধন করেন জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জুলকারনাইন।
৭ দিন আগেঅস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত হলো ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মিলনমেলা। গত শনিবার মেলবোর্নের ঐতিহাসিক ও আইকনিক সেন্ট কিল্ডা টাউন হলে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়।
৯ দিন আগে