বিনোদন রিপোর্টার
এখন ছাত্র-জনতার সমাবেশ বা যেকোনো রাজনৈতিক দলের মিছিলের অপরিহার্য স্লোগান হলো ‘আবু সাঈদ-মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’। অনেকেই জানেন না, এই স্লোগানটি কীভাবে তৈরি হলো। আর কীভাবেই বা ছড়িয়ে গেল সবখানে। মূলত লাইন দুটি সংগীতশিল্পী, সাংবাদিক ও লেখক আমিরুল মোমেনীন মানিকের একটি গান থেকে নেওয়া। এর একটি চমৎকার প্রেক্ষাপটও আছে।
এ প্রসঙ্গে আমিরুল মোমেনীন মানিক আমার দেশকে বলেন, ‘২০২৪-এর শ্রাবণের বৃষ্টিমগ্ন সময়ে অধিকার আদায়ে রাজপথে নেমে আসে সর্বস্তরের ছাত্র-জনতা। বহু মানুষের রক্ত, অঙ্গহানি, পঙ্গুত্বের বিনিময়ে ওই বছরের ৫ আগস্ট ঘটে বিরল এক গণঅভ্যুত্থান। কিন্তু অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করতে নানামুখী আন্দোলনের নামে চলতে থাকে ফ্যাসিবাদী চক্রান্ত। সুতরাং জুলাইয়ের আন্দোলন যে শেষ হয়নি, সেটি উপলব্ধি করেই প্রথমে লিখে ফেলি ‘তিতুমীর থেকে মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’। পরে মনে হলো, লাইন দুটোতে একটু পরিবর্তন আনলে সময়ের সঙ্গে আরো প্রাসঙ্গিক হবে। ফলে একটু পরিবর্তন করে লিখিÑ‘আবু সাঈদ-মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’। এই দুই লাইনকে সামনে রেখে পুরো একটি গান তৈরি করে ফেলি। কথার সঙ্গে সুরও প্রস্তুত হয়ে যায়।
এ সময় হঠাৎ মাথায় আরেকটি আইডিয়া আসে। ভাবলাম, শুধু গান নয়, স্লোগান আকারে লাইন দুটোকে ছড়িয়ে দেওয়া দরকার। তখন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক তসলিম ইসলাম অভি এবং বিক্ষুব্ধ কবি লেখক সমাজের আহ্বায়ক আবিদ আজমকে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানাই। তারা দারুণ উচ্ছ্বাস দেখান। এরপর তসলিম ইসলাম অভি বিভিন্ন মিছিলে দুটি লাইনকে স্লোগান হিসেবে ব্যবহার শুরু করে। ধীরে ধীরে এটি ছড়িয়ে পড়ে অগ্নিস্ফুলিঙ্গের মতো। এভাবেই মূলত জনপ্রিয় হয়ে উঠে দুটো অনুপ্রেরণাদায়ী লাইন ‘আবু সাঈদ-মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’।
এই স্লোগানটি কীভাবে গান হিসেবেও জনপ্রিয় হয়ে উঠল? এ প্রসঙ্গে আমিরুল মোমেনীন মানিক বলেন, 'গানটি প্রথম পরিবেশন করি ঢাকা কলেজের অডিটোরিয়ামে ‘কালের ধ্বনি’ আয়োজিত ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত কবি লেখকদের গল্প’ শিরোনামের অনুষ্ঠান। বিপুল সাড়া পড়ে যায়। কবি ও সাংবাদিক ইমরান মাহফুজের সভাপতিত্বে ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউশনের মহাপরিচালক ড. মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান, নজরুল ইনস্টিটিউশনের মহাপরিচালক লতিফুল ইসলাম শিবলী, কবি ও সংবিধান গবেষক শহীদুল্লাহ ফরায়েজী, লেখক ও সাংবাদিক ড. কাজল রশীদ শাহীন, আবরার ফাহাদের ভাই আবরার ফাইয়াজসহ বিশিষ্টজন। তারা গানটি শুনে আপ্লুত হন। গান শেষ হওয়ার পর শিক্ষার্থীরা গানের শুরুর দুটি লাইনকে স্লোগান হিসেবে লুফে নেয়। এরপর, খুব দ্রুত লাইন দুটো মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে।'
২০১৩ সালে আমিরুল মোমেনীন মানিক মূলত জীবনমুখী গান দিয়ে আলোচনায় আসেন। প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তীর সঙ্গে তার গাওয়া ‘আয় ভোর’, ‘নীল পরকীয়া’, ‘সকাল হবে কি’ শিরোনামের গানগুলো জনপ্রিয়তা পায়। লেখক হিসেবে ২০১২ সালে বাংলা একাডেমির একুশে বইমেলায় তার লেখা ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় স্টুপিড শিক্ষক’ বইটি বেস্টসেলার হয়। সাংবাদিকতায় আমিরুল মোমেনীন মানিক ২০১১ সালে পেয়েছেন সম্মানজনক ‘ইউনেসকো ক্লাব জার্নালিজম অ্যাওয়ার্ড’। ইউটিউব জার্নালিজমের ধারণা দিয়ে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘চেঞ্জটিভি. প্রেস’। বর্তমানে মানিক হামদর্দ বাংলাদেশের পরিচালক তথ্য ও গণসংযোগ হিসেবে কর্মরত।
এখন ছাত্র-জনতার সমাবেশ বা যেকোনো রাজনৈতিক দলের মিছিলের অপরিহার্য স্লোগান হলো ‘আবু সাঈদ-মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’। অনেকেই জানেন না, এই স্লোগানটি কীভাবে তৈরি হলো। আর কীভাবেই বা ছড়িয়ে গেল সবখানে। মূলত লাইন দুটি সংগীতশিল্পী, সাংবাদিক ও লেখক আমিরুল মোমেনীন মানিকের একটি গান থেকে নেওয়া। এর একটি চমৎকার প্রেক্ষাপটও আছে।
এ প্রসঙ্গে আমিরুল মোমেনীন মানিক আমার দেশকে বলেন, ‘২০২৪-এর শ্রাবণের বৃষ্টিমগ্ন সময়ে অধিকার আদায়ে রাজপথে নেমে আসে সর্বস্তরের ছাত্র-জনতা। বহু মানুষের রক্ত, অঙ্গহানি, পঙ্গুত্বের বিনিময়ে ওই বছরের ৫ আগস্ট ঘটে বিরল এক গণঅভ্যুত্থান। কিন্তু অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করতে নানামুখী আন্দোলনের নামে চলতে থাকে ফ্যাসিবাদী চক্রান্ত। সুতরাং জুলাইয়ের আন্দোলন যে শেষ হয়নি, সেটি উপলব্ধি করেই প্রথমে লিখে ফেলি ‘তিতুমীর থেকে মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’। পরে মনে হলো, লাইন দুটোতে একটু পরিবর্তন আনলে সময়ের সঙ্গে আরো প্রাসঙ্গিক হবে। ফলে একটু পরিবর্তন করে লিখিÑ‘আবু সাঈদ-মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’। এই দুই লাইনকে সামনে রেখে পুরো একটি গান তৈরি করে ফেলি। কথার সঙ্গে সুরও প্রস্তুত হয়ে যায়।
এ সময় হঠাৎ মাথায় আরেকটি আইডিয়া আসে। ভাবলাম, শুধু গান নয়, স্লোগান আকারে লাইন দুটোকে ছড়িয়ে দেওয়া দরকার। তখন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক তসলিম ইসলাম অভি এবং বিক্ষুব্ধ কবি লেখক সমাজের আহ্বায়ক আবিদ আজমকে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানাই। তারা দারুণ উচ্ছ্বাস দেখান। এরপর তসলিম ইসলাম অভি বিভিন্ন মিছিলে দুটি লাইনকে স্লোগান হিসেবে ব্যবহার শুরু করে। ধীরে ধীরে এটি ছড়িয়ে পড়ে অগ্নিস্ফুলিঙ্গের মতো। এভাবেই মূলত জনপ্রিয় হয়ে উঠে দুটো অনুপ্রেরণাদায়ী লাইন ‘আবু সাঈদ-মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’।
এই স্লোগানটি কীভাবে গান হিসেবেও জনপ্রিয় হয়ে উঠল? এ প্রসঙ্গে আমিরুল মোমেনীন মানিক বলেন, 'গানটি প্রথম পরিবেশন করি ঢাকা কলেজের অডিটোরিয়ামে ‘কালের ধ্বনি’ আয়োজিত ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত কবি লেখকদের গল্প’ শিরোনামের অনুষ্ঠান। বিপুল সাড়া পড়ে যায়। কবি ও সাংবাদিক ইমরান মাহফুজের সভাপতিত্বে ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউশনের মহাপরিচালক ড. মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান, নজরুল ইনস্টিটিউশনের মহাপরিচালক লতিফুল ইসলাম শিবলী, কবি ও সংবিধান গবেষক শহীদুল্লাহ ফরায়েজী, লেখক ও সাংবাদিক ড. কাজল রশীদ শাহীন, আবরার ফাহাদের ভাই আবরার ফাইয়াজসহ বিশিষ্টজন। তারা গানটি শুনে আপ্লুত হন। গান শেষ হওয়ার পর শিক্ষার্থীরা গানের শুরুর দুটি লাইনকে স্লোগান হিসেবে লুফে নেয়। এরপর, খুব দ্রুত লাইন দুটো মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে।'
২০১৩ সালে আমিরুল মোমেনীন মানিক মূলত জীবনমুখী গান দিয়ে আলোচনায় আসেন। প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তীর সঙ্গে তার গাওয়া ‘আয় ভোর’, ‘নীল পরকীয়া’, ‘সকাল হবে কি’ শিরোনামের গানগুলো জনপ্রিয়তা পায়। লেখক হিসেবে ২০১২ সালে বাংলা একাডেমির একুশে বইমেলায় তার লেখা ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় স্টুপিড শিক্ষক’ বইটি বেস্টসেলার হয়। সাংবাদিকতায় আমিরুল মোমেনীন মানিক ২০১১ সালে পেয়েছেন সম্মানজনক ‘ইউনেসকো ক্লাব জার্নালিজম অ্যাওয়ার্ড’। ইউটিউব জার্নালিজমের ধারণা দিয়ে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘চেঞ্জটিভি. প্রেস’। বর্তমানে মানিক হামদর্দ বাংলাদেশের পরিচালক তথ্য ও গণসংযোগ হিসেবে কর্মরত।
নতুন নির্মাণ নিয়ে ফিরছেন গুণী নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম । এবারের কাজটি রোমান্টিক কমেডি ধাঁচের, নাম ‘পারফেক্ট ওয়াইফ’ । এটি মুক্তি পাবে দেশের জনপ্রিয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে ।
৩ ঘণ্টা আগেশিক্ষকতা পেশা এবং আবৃত্তি, বিতর্ক, বক্তৃতা, অভিনয়ের প্রতি কতটা ভালোবাসা থাকলে, নিজে স্বাধীনমতো কাজ করার জন্য এক জীবনে বিয়েই করলেন না সাভার সরকারি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান শাহানা জাহান সিদ্দিকা।
৩ ঘণ্টা আগেআদালতের নির্দেশে চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ২৯ বছর পর হত্যা মামলা দায়ের করা হলো। মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে নায়ক সালমান শাহর স্ত্রী সামিরা হকসহ মোট ১১ জনকে।
১৮ ঘণ্টা আগেঅভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ দীর্ঘদিন পর চয়নিকা চৌধুরী পরিচালিত ‘দ্বিতীয় বিয়ের পর’ নামে একটি নাটকে অভিনয় করেছেন। নাটকে নওশাবার সহশিল্পী ইরফান সাজ্জাদ ও আইশা খান।
২০ ঘণ্টা আগে