মুক্তির পর থেকেই সাড়া পাচ্ছে নাসেরের ‘অজানা শহরে’

বিনোদন রিপোর্টার
প্রকাশ : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪: ২৪

এক শহরে ঘুরতে গিয়ে ভিন্ন জগতের দুটি অপরিচিত মানুষের কাছে আসার গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘অজানা শহরে’। ১১ মিনিটের এই স্বল্পদৈর্ঘ্যটি নির্মাণ করেছেন নাসের হাসিব সিদ্দিকী।

ক্লোজআপ নিবেদিত ও ইন্ডি রিলস প্রযোজিত ‘অজানা শহরে’ সোশ্যাল মিডিয়ায় মুক্তি পেয়েছে ১৪ সেপ্টেম্বর। মুক্তির পর থেকেই নেটিজেনদের মাঝে বেশ আলোচিত হচ্ছে কাজটি।

বিজ্ঞাপন

মাত্র এক সপ্তাহে নাটকটি দেখা হয়েছে ১৬৭১০৭৩ বার। আর কমেন্ট বক্সেও লক্ষ্য করা যাচ্ছে নেটিজেনদের সাধুবাদ।

নাঈম নামে একজন লিখেছেন, ‘আমি জানি না ক্লোজআপ টিম এটি উপলব্ধি করে কিনা, যে মানুষ কতটা অধীর আগ্রহ নিয়ে এই নাটক গুলো দেখার জন্য বসে থাকে ️।অসাধারণ ছিল।‘

ইরফাতুর রহমান নামের একজন লিখেছেন, ‘গল্প, পরিচালনা, অভিনয় সবকিছু মিলিয়ে শুধু উপভোগ করলাম পুরো নাটকটা। খুবই সুন্দর।’

অর্ক নামের একজন লিখেছেন, ‘বর্তমান সময়ে এসে এমন শালীনতাশীল ড্রামা।চমৎকার।ধন্যবাদ ক্লোজআপ-বাংলাদেশ কে।’

এতে গল্পের মুখ্য দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন শারজিল আহমেদ ও আফিয়া তাবাসসুম বর্ণ। তাদের প্রাণবন্ত চরিত্রায়নে সম্পর্কের আবেগ ও পরিণতি ফুটে উঠেছে। দুজনের অনস্ক্রিন কেমিস্ট্রি গল্পটিকে করেছে আরও জীবন্ত ও বাস্তব।

কোন ভাবনা থেকে ‘অজানা শহরে’ নির্মাণ করেছেন জানতে চাইলে পরিচালক নাসের হাসিব সিদ্দিকী বলেন, ‘একজন বিজ্ঞাপন নির্মাতা হিসেবে আমার ইচ্ছা ছিল সিনেমার সত্তাকে ব্র্যান্ডেড স্টোরি টেলিংয়ের সহজলভ্যতার সাথে মিশিয়ে দেয়া। ক্লোজআপ সবসময়ই একসাথে থাকার বার্তা উদযাপন করেছে। আর এই ছবিতে আমি চেষ্টা করেছি অরিজিনাল, আনপলিশড আর মানবিক একটি গল্প উপহার দিতে। যেখানে প্রতিটি দৃষ্টি, নীরবতা আর দ্বিধাই অনেক বেশি কিছু বলে ফেলে।’

তিনি আরও যোগ করেন ‘এই কাজটি আমার জীবনের সবচেয়ে বড় সুযোগ ছিল; যা আমাকে আমার গল্প বলার স্বপ্নের আরও কাছে নিয়ে যাচ্ছে। এত প্রতিভাবান অভিনেতা আর সহকর্মীদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ আমাকে এই ভিশনকে হৃদয়স্পর্শী আর চিত্ররূপে কবিতার মতো করে গড়ে তুলতে সাহায্য করেছে। আমি আশা করি আমাদের দর্শকরা এই ছবিতে জীবনের কোলাহলের ভেতর একটুখানি আনন্দের মুহূর্ত খুঁজে পাবেন। সেটিই হবে আমাদের পুরো দলের সবচেয়ে বড় সাফল্য।’

স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করেছেন ইন্ডি রিলসের নির্বাহী প্রযোজক দিদারুল ইসলাম শিশির। এই কাজটা নিয়ে শিশির তার অভিজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ‘আমি চেষ্টা করেছি নিখুঁত পরিকল্পনা আর বাস্তবায়নের মধ্যে দিয়ে কাজটিকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার। এখন দর্শকদের কাছে কাজটা ভালো লাগলেই আমাদের সার্থকতা।’

গল্পের কলম ধরেছিলেন রাসেল মাহমুদ, যার লিখনি এই ছবির প্রতিটি দৃশ্যকে দিয়েছে আবেগের গভীরতা ও বাস্তবতার রং। আর সেই রং দুর্দান্ত সিনেমাটোগ্রাফি দিয়ে ফ্রেমিংয়ের ক্যানভাসে এঁকেছেন শেখ রাজীবুল ইসলাম। শ্যুটিং লোকেশন ছিল শ্রীমঙ্গল; সেখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রং, ছায়া সবকিছু যেন পর্দায় প্রাণ দিয়েছে। বিশেষ করে লেভেল ফাইভ ব্যান্ড এর ‘সিক্সটিজ লাভ’ কনটেন্টটাকে এক অন্য মাত্রা দিয়েছে।

অসদাচারণের দায়ে টঙ্গী পাইলট স্কুলের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে শোকজ

জরুরি অবস্থা জারি করলেন পেরুর প্রেসিডেন্ট

গুম-খুনে জড়িত ১৫ সেনা কর্মকর্তা চাকরিচ্যুত। ট্রাইব্যুনালে হাজির। সাবজেলে প্রেরণ

এবার ১ টাকায় গরুর মাংস বিতরণের ঘোষণা সেই এমপি প্রার্থীর

অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের বহন করা সেই প্রিজন ভ্যানে কী আছে

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত