বিনোদন রিপোর্টার
একটি গান ‘জারি গান’। গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী সুরে গাইছেন দুজন মানুষ। সেই গানে উঠে এলো জ্বালাময়ী অতীত। দুজন গায়ক স্টুডিওতে বসে হেলেদুলে গাইছেন যাত্রাবাড়ী উত্তরা আর শাহবাগ মোড়ে, খালি হাতে স্বৈরাচারের কবরও খোঁড়ে, যায় পালিয়ে শেখের বেটি কঠিনও ডরে বন্ধু হে.../গণভবন সংসদ ভবন জয় বাংলা হইল, যার যার মতো আওয়ামী লীগ ভারত পালাইল, নাহিদ-আসিফ-সাদিক মিলে দেশটা বাঁচাইল বন্ধু হে...।
কী নেই এই গানে! ধারাবাহিকভাবে রাতের ভোট, পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা গণহত্যা, বিরোধীদের দমন, গুম-খুন, বিচারিক হত্যাকাণ্ড, ব্যাংক লুট, সীমাহীন দুর্নীতি, কোটা বহালের রায়, সারা দেশে আন্দোলন, আবু সাঈদের শাহাদাত, দেশব্যাপী রক্তস্রোত, সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ, কফিন মিছিল, কমপ্লিট শাটডাউন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের হাল ধরা, রেল যোগাযোগ বন্ধ, নেট শাটডাউন, সারা দেশে দেয়াল লিখন, সমন্বয়কদের গুম, কবি-সাহিত্যিকদের যোগদান, সুশীলদের নীরবতা, মেট্রোরেলের জন্য কান্না, প্রোফাইল লাল করার মধ্য দিয়ে ভারতের দালাল যাচাই, ৯ দফা থেকে এক দফা, ছয় তারিখ-না পাঁচ তারিখের মার্চ টু ঢাকা, যাত্রাবাড়ী উত্তরা শাহবাগে প্রতিরোধ, জনতার জয় ও স্বৈরাচারের পলায়ন, শহীদদের স্মরণে ঘরে ঘরে কান্না ও খুনিদের বিচার দাবি; ঐক্য, সংস্কার, ইনসাফের পক্ষে জনগণকে জোট বাঁধার আহ্বানের পাশাপাশি নতুন কেউ ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠতে চাইলে প্রতিরোধের প্রত্যাশা জানিয়ে শেষ করা হয় জারি গান।
আন্দোলন-সংগ্রাম ফুটিয়ে তোলা জারি গানটি লিখেছেন আজিজ হাকিম। গেয়েছেন গোলাম মওলা ও মালিক আব্দুল লতিফ মিলে। দোলনচাঁপা স্টুডিও ইউটিউব চ্যানেলে গানটি প্রকাশ করা হয়েছে দুদিন আগে। জারি গানে বর্ষাবিপ্লব নিয়ে লেখক আজিজ হাকিম আমার দেশকে বলেন, ‘বর্ষাবিপ্লব গানটিতে মূলত ফ্যাসিস্ট হাসিনার পুরো বৃত্তান্ত তুলে ধরারই প্রয়াস। একইসঙ্গে বাংলার আদি কালচারটা মানুষের সামনে নিয়ে আসা। গানটি পুঁথিপাঠের আদলে লেখা। সাধারণত অন্য সব গান এত বড় হয় না। বেশি বিষয় একসঙ্গে তুলে আনা যায় না। এর মধ্যে পুঁথি বা জারিগান একদম ভিন্ন। এক সময় তো গ্রামগঞ্জে এক পুঁথিপাঠেই সারা রাত পার হয়ে যেত। তেমনই আমার শৈশবের সবচেয়ে সুন্দর মুহূর্তগুলোর মধ্যে অন্যতম বাউলশিল্পীদের আসরে পালা ও লোকসংগীত শোনা।
পরিবার থেকে অন্য সবকিছুতে বাধা থাকলেও এ বিষয়টি আমার বাবার পছন্দের কারণে কেউ না বলত না। তাই জারিসারি-ভাওয়াইয়া ধরনের গান আমার রক্তে মিশে আছে।’
তিনি বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই একটি পরিকল্পনা মাথায় ছিল যে, হাটবাজারে, মাঠে-ঘাটে হাসিনার কুকীর্তির কথা বর্ণনা করার মতো জারি লিখব। আর কিছু না হোক, যেন পরিচিত শিল্পীমহলকে কাজে লাগিয়ে এই কাজটা করতে পারি। কিন্তু এতদিন ইচ্ছা থাকলেও লেখা হচ্ছিল না।
কিন্তু একদিন এলাকার ছোট ভাই তরুণ কবি জায়িদ হাসান জোহা আমাকে কয়েক লাইন লিখে পাঠিয়ে দিলÑ‘ভাই পুরোটা লেখেন’ বলে। আমি তো অবাক। এটা তো আমারই লেখার কথা। শেষমেশ গানটি লেখা হয়ে গেল। একইসঙ্গে হাসিনার সময়কালের কুকীর্তিগুলোর একটা ফিরিস্তি দিয়েও সে সহযোগিতা করেছে।
লেখা থেকে গান হওয়ার ঘটনা বলতে গিয়ে আজিজ হাকিম জানান, এরপর দোলনচাঁপা স্টুডিওর নির্মাণে এই গানটি গেয়েছেন শিল্পী গোলাম মাওলা ও মালিক আব্দুল লতিফ। গানটি দ্রুত নির্মাণের পেছনে সব অবদান গোলাম মাওলার।
জারি গান নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি চিন্তার কথা জানিয়ে আজিজ হাকিম বলেন, ‘এ গানটি নিয়ে ইতোমধ্যেই সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি যেন এটি সর্বমহলে পৌঁছায়। একইসঙ্গে কবি-সাহিত্যিকরা এমন করে হাসিনার সময়কালের বিষয়গুলো গানে গানে তুলে আনবেনÑএ প্রত্যাশা রাখি। মূলধারার বেশিরভাগ সাংস্কৃতিক অঙ্গনের মানুষই জুলাই নিয়ে কাজ করছেন না। দেখে মনে হয়, আমাদের চোখের সামনে জুলাইয়ের মতো এত বড় একটি বিপ্লব দেখেও তাদের জুজুর ভয় কাটেনি। তাদের ঘোর কাটুক আর না কাটুক, জুলাই চলছে, জুলাই চলবে ইনশাআল্লাহ।’
ইউটিউবের কমেন্ট সেকশন ঘুরে দেখা যায় পরিচিত গ্রামীণ সুরে ফ্যাসিস্ট চরিত্র তুলে ধরার বিষয়টি দর্শক দারুণভাবে নিয়েছে।
মুন্তা চৌধুরী নামে একজন লিখেছেন, ‘অনেক সুন্দর হয়েছে। শুনে চোখের পানি ধরে রাখতে পারলাম না।’ জামাল প্রধান লিখেছেন, ‘ভালো লাগে যখন দেখি কেউ না কেউ ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জারি-সারি গান গায়। আমি চাই এভাবে ২০২৪-এর ৩৬ জুলাই কারো না কারো কলমে বেঁচে থাকবে। কারো গানে, কারো কবিতায়।’
একটি গান ‘জারি গান’। গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী সুরে গাইছেন দুজন মানুষ। সেই গানে উঠে এলো জ্বালাময়ী অতীত। দুজন গায়ক স্টুডিওতে বসে হেলেদুলে গাইছেন যাত্রাবাড়ী উত্তরা আর শাহবাগ মোড়ে, খালি হাতে স্বৈরাচারের কবরও খোঁড়ে, যায় পালিয়ে শেখের বেটি কঠিনও ডরে বন্ধু হে.../গণভবন সংসদ ভবন জয় বাংলা হইল, যার যার মতো আওয়ামী লীগ ভারত পালাইল, নাহিদ-আসিফ-সাদিক মিলে দেশটা বাঁচাইল বন্ধু হে...।
কী নেই এই গানে! ধারাবাহিকভাবে রাতের ভোট, পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা গণহত্যা, বিরোধীদের দমন, গুম-খুন, বিচারিক হত্যাকাণ্ড, ব্যাংক লুট, সীমাহীন দুর্নীতি, কোটা বহালের রায়, সারা দেশে আন্দোলন, আবু সাঈদের শাহাদাত, দেশব্যাপী রক্তস্রোত, সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ, কফিন মিছিল, কমপ্লিট শাটডাউন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের হাল ধরা, রেল যোগাযোগ বন্ধ, নেট শাটডাউন, সারা দেশে দেয়াল লিখন, সমন্বয়কদের গুম, কবি-সাহিত্যিকদের যোগদান, সুশীলদের নীরবতা, মেট্রোরেলের জন্য কান্না, প্রোফাইল লাল করার মধ্য দিয়ে ভারতের দালাল যাচাই, ৯ দফা থেকে এক দফা, ছয় তারিখ-না পাঁচ তারিখের মার্চ টু ঢাকা, যাত্রাবাড়ী উত্তরা শাহবাগে প্রতিরোধ, জনতার জয় ও স্বৈরাচারের পলায়ন, শহীদদের স্মরণে ঘরে ঘরে কান্না ও খুনিদের বিচার দাবি; ঐক্য, সংস্কার, ইনসাফের পক্ষে জনগণকে জোট বাঁধার আহ্বানের পাশাপাশি নতুন কেউ ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠতে চাইলে প্রতিরোধের প্রত্যাশা জানিয়ে শেষ করা হয় জারি গান।
আন্দোলন-সংগ্রাম ফুটিয়ে তোলা জারি গানটি লিখেছেন আজিজ হাকিম। গেয়েছেন গোলাম মওলা ও মালিক আব্দুল লতিফ মিলে। দোলনচাঁপা স্টুডিও ইউটিউব চ্যানেলে গানটি প্রকাশ করা হয়েছে দুদিন আগে। জারি গানে বর্ষাবিপ্লব নিয়ে লেখক আজিজ হাকিম আমার দেশকে বলেন, ‘বর্ষাবিপ্লব গানটিতে মূলত ফ্যাসিস্ট হাসিনার পুরো বৃত্তান্ত তুলে ধরারই প্রয়াস। একইসঙ্গে বাংলার আদি কালচারটা মানুষের সামনে নিয়ে আসা। গানটি পুঁথিপাঠের আদলে লেখা। সাধারণত অন্য সব গান এত বড় হয় না। বেশি বিষয় একসঙ্গে তুলে আনা যায় না। এর মধ্যে পুঁথি বা জারিগান একদম ভিন্ন। এক সময় তো গ্রামগঞ্জে এক পুঁথিপাঠেই সারা রাত পার হয়ে যেত। তেমনই আমার শৈশবের সবচেয়ে সুন্দর মুহূর্তগুলোর মধ্যে অন্যতম বাউলশিল্পীদের আসরে পালা ও লোকসংগীত শোনা।
পরিবার থেকে অন্য সবকিছুতে বাধা থাকলেও এ বিষয়টি আমার বাবার পছন্দের কারণে কেউ না বলত না। তাই জারিসারি-ভাওয়াইয়া ধরনের গান আমার রক্তে মিশে আছে।’
তিনি বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই একটি পরিকল্পনা মাথায় ছিল যে, হাটবাজারে, মাঠে-ঘাটে হাসিনার কুকীর্তির কথা বর্ণনা করার মতো জারি লিখব। আর কিছু না হোক, যেন পরিচিত শিল্পীমহলকে কাজে লাগিয়ে এই কাজটা করতে পারি। কিন্তু এতদিন ইচ্ছা থাকলেও লেখা হচ্ছিল না।
কিন্তু একদিন এলাকার ছোট ভাই তরুণ কবি জায়িদ হাসান জোহা আমাকে কয়েক লাইন লিখে পাঠিয়ে দিলÑ‘ভাই পুরোটা লেখেন’ বলে। আমি তো অবাক। এটা তো আমারই লেখার কথা। শেষমেশ গানটি লেখা হয়ে গেল। একইসঙ্গে হাসিনার সময়কালের কুকীর্তিগুলোর একটা ফিরিস্তি দিয়েও সে সহযোগিতা করেছে।
লেখা থেকে গান হওয়ার ঘটনা বলতে গিয়ে আজিজ হাকিম জানান, এরপর দোলনচাঁপা স্টুডিওর নির্মাণে এই গানটি গেয়েছেন শিল্পী গোলাম মাওলা ও মালিক আব্দুল লতিফ। গানটি দ্রুত নির্মাণের পেছনে সব অবদান গোলাম মাওলার।
জারি গান নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি চিন্তার কথা জানিয়ে আজিজ হাকিম বলেন, ‘এ গানটি নিয়ে ইতোমধ্যেই সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি যেন এটি সর্বমহলে পৌঁছায়। একইসঙ্গে কবি-সাহিত্যিকরা এমন করে হাসিনার সময়কালের বিষয়গুলো গানে গানে তুলে আনবেনÑএ প্রত্যাশা রাখি। মূলধারার বেশিরভাগ সাংস্কৃতিক অঙ্গনের মানুষই জুলাই নিয়ে কাজ করছেন না। দেখে মনে হয়, আমাদের চোখের সামনে জুলাইয়ের মতো এত বড় একটি বিপ্লব দেখেও তাদের জুজুর ভয় কাটেনি। তাদের ঘোর কাটুক আর না কাটুক, জুলাই চলছে, জুলাই চলবে ইনশাআল্লাহ।’
ইউটিউবের কমেন্ট সেকশন ঘুরে দেখা যায় পরিচিত গ্রামীণ সুরে ফ্যাসিস্ট চরিত্র তুলে ধরার বিষয়টি দর্শক দারুণভাবে নিয়েছে।
মুন্তা চৌধুরী নামে একজন লিখেছেন, ‘অনেক সুন্দর হয়েছে। শুনে চোখের পানি ধরে রাখতে পারলাম না।’ জামাল প্রধান লিখেছেন, ‘ভালো লাগে যখন দেখি কেউ না কেউ ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জারি-সারি গান গায়। আমি চাই এভাবে ২০২৪-এর ৩৬ জুলাই কারো না কারো কলমে বেঁচে থাকবে। কারো গানে, কারো কবিতায়।’
বাংলা ব্যান্ড সংগীতের জনপ্রিয় শিল্পী নগরবাউল জেমসের জীবনে আবারও সুখবর। ৬১ বছর বয়সে ফের বাবা হয়েছেন তিনি। ২০২৫ সালের ৮ জুন, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের হান্টিংটন হাসপাতালে তাঁর পুত্রসন্তানের জন্ম হয়।
৯ মিনিট আগেআলিয়াঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকাতে চলছে শিল্পী সদরুল রাফি-এর একক চিত্রপ্রদর্শনী ‘ইন সার্চ অব পিস’। গত ১৭ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে এই প্রদর্শনী চলবে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত আলিয়াঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকার ধানমন্ডির গ্যালারি জুম-এ।
২ ঘণ্টা আগেদর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী সাবিলা নূর। প্রায় এক যুগেরও বেশি সময়ের ক্যারিয়ারে অসংখ্য নাটক ও বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন তিনি। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অভিনয় করেছেন ওটিটি মাধ্যমেও।
২ ঘণ্টা আগেনতুন নির্মাণ নিয়ে ফিরছেন গুণী নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম । এবারের কাজটি রোমান্টিক কমেডি ধাঁচের, নাম ‘পারফেক্ট ওয়াইফ’ । এটি মুক্তি পাবে দেশের জনপ্রিয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে ।
৮ ঘণ্টা আগে